চীন: আমি লিউ জিয়ানবিন

প্রথমত: কে লিউ জিয়ানবিন (劉賢斌)? ৪২ বছর বয়সী লিউ তার জীবনের এক তৃতীয়াংশ জেলে কাটিয়েছেন। এখন তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নীচে তার ছবি:

লিউ

তিনি কি করেছেন? ১৯৮৯ সালে তার বয়স যখন ২০ বছর ছিল, জুনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হিসাবে দুর্নীতি রোধে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি তুলে তিনি বেইজিং এর তিয়েনানমেন স্কয়ারে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। তবে, সেনার আক্রমণ লিউ এর রাজনৈতিক বিপ্লব থামাতে পারেনি আর অবশেষে তাকে ১৯৯১ সালের ১৫ই এপ্রিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় আর ২.৬ বছরের সাজা দেয়া হয় ‘রাষ্ট্রদ্রোহ বিদ্রোহ প্রচারণা চালানোর’ অপরাধে। ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে তিনি মুক্তি পান, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল গঠন চালাতে থাকেন আর এর পর আবার ১৩ বছরের জেল হয় ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি আবার মুক্তি পান।

লিউ এর স্বাধীনতা মাত্র ২০ মাস স্থায়ী হয়। ২০১০ সালের ২৮শে জুন তাকে সিচুয়ান পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার রাজনৈতিক লেখার জন্য। ১২ই আগস্ট তার মামলা আদালতে তোলা হয় ‘রাষ্ট্রদ্রোহ প্রচারণার’ অভিযোগে।

লিউর প্রতি সমর্থন জানাতে, স্থানীয় আর বিদেশী কর্মীরা জুলাই এর প্রথম দিকে একটা প্রচারণা শুরু করেন ‘আমি লিউ জিয়ানবিন’ স্লোগান দিয়ে। এই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ১৬ টা দল গঠিত হয়েছে যেমন হংকং দল, শ্যান্ডং দল, আনহুই দল, ইনার মঙ্গোলিয়া দল, গুয়াংজি দল, শাংজি দল ইত্যাদি।

হুবেই থেকে সামাজিক কর্মী লিউ ফিয়াও ব্যাখ্যা করেছেন কেন তিনি লিউ জিয়ানবিনের পক্ষে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন:

民间反响如此之大,除了因刘贤斌对民主、人权长期的不懈地追求外,除了他为了自己的理想受尽磨难以外,还有一个原因就是当局这次做得太过了。大家实在难以 理解和接受,刘贤斌这次出狱只有一年多的时间,除了声援被抓的朋友等不多的行动外,他又能有多少“颠覆国家政权”的行为呢?更何况声援一下被抓的朋友也是 “颠覆“吗?

লিউ জিয়ানবিনের গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর স্বপ্নের প্রতি নিষ্ঠার জন্য সম্মান ছাড়াও, সরকার এইবারে আসলেই বেশী বেশী করেছে। লিউ জিয়ানবেন সবেমাত্র এক বছরের জন্য মুক্ত হয়েছেন আর তিনি তার কর্মী বন্ধু যাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল তাদের জন্য সমর্থন দেখাচ্ছিলেন। তিনি আর কি করতে পারতেন? কি করে বন্ধুদের জন্য সমর্থন দেখানো ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ হতে পারে?

চীনের প্রধান ধারা আর অনলাইন মিডিয়াতে লিউ জিয়ানবিনের কেস আর প্রচারণার বিষয়ে সকল তথ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর সংশ্লিষ্ট দলের কর্মীদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। আগস্টের প্রথম থেকে শুরু প্রচারণা চালানোর জন্য কর্মীরা অনশন শুরু করেন আর নীচে লিউ জিয়ানবিনের জীবনদর্শনের উপরে কিছু অনশনকারী কর্মীর মন্তব্য রয়েছে।

সিচুয়ানএর চেন ইউনফে ছিলেন এমন একজন বন্ধু যাকে লিউ সমর্থন করেছিলেন। এখন চেন অনশনের মধ্য দিয়ে লিউকে সমর্থন করছেন:

贤斌救同胞出狼窝,他又深陷虎口。放眼望去,哪里有清静之地?大陆国人谁能会幸免不被伤害?这都是掌权者丧失“政治伦理”所致,是“阶级斗争”思维所赐。 为让我的孩子,我们的孩子不再因言获罪,不再是为争生存权而抗争,我们现在就必须“公开、理性、非暴力”地抗争到天明。

জিয়ানবিন তার সাথীদের পালাতে সাহায্য করেছেন কিন্তু নিজে বাঘের মুখে পড়েছেন। কোথায় আমরা শান্তির ভূমি পেতে পারি? চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে কে আঘাত না পেয়ে পালাতে পারে? এই সকল কষ্ট শ্রেনী সংগ্রামের’ মতাদর্শের আড়ালে শাসক সম্ভ্রান্তদের কাছে ‘রাজনৈতিক নীতির’ হারিয়ে যাওয়ার কারনে ঘটছে। তাদের বক্তৃতা আর প্রকাশ থেকে আমাদের সন্তানদের বাঁচানোর জন্য আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে ‘বুঝে, খোলাখুলিভাবে অহিংসার মতাদর্শের মধ্যে’ যতদিন না ভবিষ্যৎ আসে।

শাংজি থেকে জু জিয়ানজিয়ং:

Xu Jianxiong from Shaanxi:

刘贤斌是我们的好兄弟,是中国的好公民。今天他身陷囹圄是因为他无法放弃对正义和良知的坚持。如果我们自己的同胞可以被无端陷害、可以被因言治罪,那么, 这个国家的公正还存在吗?这个民族的希望还存在吗?我们深知,没有每一个中国公民的觉醒和行动,中国的自由和民主是永远不会到来的。绝食,只是表达我们的 一种态度--我们永远将和正义与良知站在一起!愿刘贤斌早日获得自由,愿国家早日实现民主。

লিউ জিয়ানবিন আমাদের ভালো সাথী, ভালো চীনা নাগরিক। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারন সে ন্যায় আর বিবেককে ছেড়ে দিতে পারেনি। আমাদের সাথীকে যদি মত প্রকাশের জন্য সাজা দেয়া হয়, এই দেশে কি তাহলে ন্যায় বিচার থাকবে? আমাদের কি এখনো আশা আছে? আমরা সবাই জানি যে স্বাধীনতার আর গণতন্ত্র আসবে না নাগরিকরা যদি পদক্ষেপ না নেয়। এই অনশন দেখানোর জন্য যে আমরা সব সময় ন্যায় বিচার আর বিবেকের সাথে আছি। আমি আশা করি লিউ জিয়ানবিন মুক্ত হবেন আর শীঘ্র গণতন্ত্র আসবে।

শাংজি থেকে উয়েই কিয়াং:

我,是刘贤斌;我的名字却是魏强,这是种声音,是人类精神的桥梁,是社会发展的力量,是追逐自由的奔跑,是精神对人格的塑造。
我,是刘贤斌,我要呼吸,我要奔跑!我要打破所有摧残生命的牢笼。
我,是刘贤斌,我要光,我要自由。

আমি- লিউ জিয়ানবিন, কিন্তু আমার নাম উয়েই কিয়াং। এটা একটা কণ্ঠ, মানবতার দিকে যাওয়া একটা সেতু, সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটা শক্তি, স্বাধীনতার জন্য একটা প্রচেষ্টা আর আধ্যাত্মিক চরিত্রের সিঞ্চন।

আমি লিউ জিয়ানবিন, আমাকে নিশ্বাস নিতে হবে, আমাকে পালাতে হবে! জীবন ধ্বংসকারী খাঁচা আমাকে ভাঙ্গতে হবে।

আমি- লিউ জিয়ানবিন, আমি আলো চাই, আমি স্বাধীনতা চাই।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .