মেক্সিকোর ব্লগাররা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দৃশ্য প্রদর্শন করা নাগরিক ভিডিও (সিটিজেন ভিডিও) ও ছবি নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে। এই সমস্ত ছবি যে সংঘাতময় চিত্র প্রদর্শন করে সে ক্ষেত্রে কেউ বলছে গণমাধ্যমে মাদক পাচার নিয়ে যে লড়াই, এটি তার এক ধরনের প্রতিরোধ, আবার অন্যদের কাছে এটি এটি কেবল ভয় এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর অন্য আরেক মাধ্যম।
রাতের মেক্সিকো সিটি নগরী। ছবি এনেয়স ডে ট্রোয়ার, ক্রিয়েটিভ কমন্স এট্রিবিউশন লাইসেন্স এর মাধ্যমে তা ব্যবহার করা হয়েছে।
কিছু কিছু মেক্সিকোবাসীর মতে ভয়ঙ্কর সব অপরাধের সংবাদ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যম তাদের কাজটি ঠিকভাবে করছে না। তারা ভয়ঙ্কর সব মাদক পাচারকারী ও গুণ্ডাদের কার্যক্রমের উপর মনোযোগ প্রদান করার বদলে সরকার ও রাষ্ট্রের সমালোচনার দিকে মনোযোগ প্রদান করছে। তাদের কাজ দেখে মনে হচ্ছে, যদি তারা গুণ্ডাদের সব কার্যক্রমের সংবাদ প্রদান করতে পারত।
কার্লোস রামিরেজ হার্নানদেজ লা পালাব্রা.কমে ব্লগ করেন। তিনি মনে করেন মারপিটের মত অপরাধ মূলক কার্যক্রমের সংবাদ প্রদান না করা, প্রচার মাধ্যমের জন্য বিশেষ কোন সুযোগ নয়। তিনি বলেন বিশেষ করে, এটি প্রকৃত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিমাণ কমিয়ে আনবে না, কেবল তার পরিমাণকে লুকিয়ে ফেলবে। তবে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা হওয়া উচিত নয় যে, সে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে গৌরবান্বিত করবে, তার বদলে তার কাজ হচ্ছে শুধু এই বিষয়ে প্রাপ্ত সংবাদ প্রদান করা, তবে তা করা উচিত সঠিক ভাবে:
Los medios, a su vez, han perdido el foco de la información. La mayor parte del contenido informativo de prensa, radio y televisión ha insistido en criticar severamente al gobierno y al Estado y no a denunciar la criminalidad del narcotráfico. Se ha llegado al punto de que algunos medios de comunicación parecen narcomantas de los capos y no representantes de la sociedad. No se trataría de elogiar por sí solo sino de convertir la información en un instrumento social de crítica a una realidad.
তাহলে প্রচার মাধ্যম এখানে কি ধরনের ভূমিকা পালন করবে? গত মাসে এক মাদক পাচারকারী দল চারজন সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানকে অপহরণ করে। এদের জন্য মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল তিনটি নারকোটিক ভিডিও টিভি স্টেশনে প্রচারের দাবী জানিয়ে। ১৫ মিনিটের সম্পাদনা ছাড়াই প্রচার করা এই ভিডিও জনতার সামনে কর্তৃপক্ষ এবং বিরোধী মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কের বিষয়টি উন্মোচন করে। যে দিন এই ভিডিও টিভিতে প্রচার করা হয় তার পরের দিনই তাদের মুক্তি প্রদান করা হয়।
এটা নতুন কোন উদ্বেগের বিষয় নয়, ২০০৭ সালে জর্জ জেপাডো প্যাটারসন নার্কো ভিডিওর ব্যাপারে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে লিখেছিল।
Sin embargo, tampoco es sencillo para los medios de comunicación erradicar estos temas. Si bien es cierto que los noticieros de televisión se han convertido en un inventario de nota roja, no es tan fácil dejar de hacerlo. Entre otras cosas, porque es gravísimo lo que está pasando. Los periodistas haríamos un flaco favor a la comunidad si nos pusiéramos hablar de otras cosas, mientras el crimen organizado toma el control de Monterrey, el narcomenudeo se enseñorea de nuestros barrios y escuelas, y los tribunales y cuerpos policíacos terminan por ser quebrados totalmente por los carteles. Y justamente eso es lo que está sucediendo. En este momento se está librando una verdadera guerra en nuestras calles y en nuestras sierras. Una guerra que estamos perdiendo. Pero aún menos oportunidades tendremos de ganarla si ofrecemos sucedáneos a la opinión pública y construimos una operación “avestruz” distorsionada pero tranquilizante.
মাদক পাচারকারীরা গোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠছে এবং তাদের অনেকে এখন অনলাইনে তাদের নিজস্ব গণসংযোগ সাধন করছে। এর একটি উর্বর ক্ষেত্র হচ্ছে ইউটিউব.কম। যেমন এই পাঠক এটি “লাস্ট অফ দি ডোডোস” ব্লগে পাঠিয়েছে। ডোডোস ইউটিউব চ্যানেল পর্যালোচনা করেছে (যা এই মূহূর্তে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে), যাকে বলা হচ্ছে গাল্ফ কার্টেল (মেক্সিকোর একদল মাদক পাচারকারী গোষ্ঠী) নিজস্ব চ্যানেল। যেখানে তারা বিরোধী বিরোধী জেটা দলের কারো পরিচয় জেনে থাকে তাহলে তা তুলে ধরার এবং একটি শান্তিপূর্ণ মেক্সিকো গড়ার আহ্বান জানাচ্ছে:
Un ejercicio de relaciones públicas perverso, que muestra la incapacidad del gobierno federal para llevar una guerra de amplio espectro que incluya el manejo de la opinión pública.
ইনফরমেসিওন সিভিকা ব্লগে, ডেভিড সাসাকি মেক্সিকোর অনলাইন ভিডিও দৃশ্যের ভালো, খারাপ এবং মন্দ দিক নিয়ে লেখেন ( দি গুড, ব্যাড এন্ড আগলি)। নারকো ভিডিওর (মাদক পাচারকারী ও তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে তৈরি করা ভিডিও) বিষয়ে বলা যায়, সেখানে মাদক পাচারকারী দলগুলো খুন, প্রহার, অত্যাচার, এবং স্বীকারোক্তির ভিডিও পোস্ট করে, এই বিষয়ে ডেভিড মিকা রোজেনবার্গের কথা উল্লেখ করে লেখেন:
নামছাড়া পোস্ট করা এই ভিডিওগুলো অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পুলিশের খুব সামান্য কাজে লাগে, কিন্তু মারিয়া গুয়াদালুপ লিসেয়ার মতে এগুলো কেবল সংঘর্ষের এক চক্র তৈরি করছে। মারিয়া গুয়াদালুপ লিসিয়া নামক ভদ্রলোক বাজা ক্যালিফোর্নিয়ার বিচার বিভাগের প্রধান। লিসেয়া বলেন, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রচার মাধ্যমে সংঘর্ষ একটি চক্রের এক অংশ, যার মধ্যে ধাক্কা দেবার মত হামলাগুলো একই ভাবে অনুকরণ করে খুন করার (কপিক্যাট) এক উৎসাহজনক মাধ্যম। রোজেনবার্গ লিখেছে।
তবে কেবল মাত্র যে মাদক পাচারকারী দলের সদস্য বা সমর্থকরাই এই সমস্ত সংঘর্ষের ভিডিও সরবরাহ করছে না: নাগরিকরাও এ ধরনের ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করছে যা মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের শিকার ব্যক্তি। এইসব বিচিত্র রক্তাক্ত উপাদানের ভিডিও পোস্ট করার কারণ অনেকে এগুলো অনেক বেশি পছন্দ করছে, অন্যরা মনে করছে যদি গণ মাধ্যম জনতাকে এই সব বিষয়ে কোন কিছু না জানায়, তাহলে তারাই তা জানাবে, কাজেই এই সমস্ত কর্মকাণ্ড এড়িয়ে যেতে পারে না। এই তথ্য জানানোর জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করা এই সমস্ত তথ্য প্রদর্শন করার জন্য যার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত সেই সমস্ত এলাকা যেখানে লোকজন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয় জানতে পারে, বিপজ্জনক শহরগুলো সম্বন্ধে আলোচনা করতে পারে, সংঘর্ষের উত্থান এবং কি ভাবে মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলো পরিচালিত হয় সে সম্বন্ধে জানতে পারে।
যখন নাগরিকরা সেই ভূমিকা গ্রহণ করছে যা এর আগে গণ মাধ্যম পালন করছিল, তখন একই প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, অনেক শহরে যা ঘটছে সেই সংঘর্ষের বিষয় প্রকাশ করা কি ক্ষতিকর, নাকি চুপ থাকা বেশি ক্ষতিকর?