জাপান: যেখানে ছুটি নেয়ার চল নেই

কোন এক সমুদ্রসৈকতে প্রখর রৌদ্রে একটি ছাতার ছায়ায় শুয়ে থাকা, পর্যটক হিসেবে হাতে একটি গাইড বুক নিয়ে একটি অচেনা শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, অথবা শুধুই বাসায় বসে অলস সময় কাটানো – এগুলোই ছুটি কাটানোর সাধারণ চল মনে হয়, তবে, অনেক জাপানী এগুলো প্রতি বছর এড়িয়ে যায় কাজে যত কম সম্ভব কামাই দেবার জন্যে।

এক্সপিডিয়া জাপান কর্তৃক ১১টি উন্নত দেশে “ছুটির অভাব” সংক্রান্ত একটি সাম্প্রতিক জরীপে দেখা গেছে যে একজন জাপানী শ্রমিক বছরে গড়ে মাত্র ৭.৯ দিন ছুটি নেয়। জাপানে সরকারীভাবে ১৫ দিন ছুটি নেবার নিয়ম আছে এবং এই সংখ্যা আমেরিকার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম। তবে জাপান কম ছুটি না নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে।

এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাপ এবং উদ্বেগ এবং সেই কাজের পরিবেশ যেখানে খুব কম লোকই অনুপস্থিত থেকে সহকর্মীদের অসুবিধা করার দু:সাহস করতে পারে। তাই তারা নিজে থেকে তাদের কাজের চাপ বাড়িয়ে দেয়।

একটি প্রস্তাব যা গতানুগতিক অফিসের বাইরে আছি বার্তাকে প্রতিস্থাপন করবে। ছবি লুইস গোজালবেজের

একটি প্রস্তাব যা গতানুগতিক অফিসের বাইরে আছি বার্তাকে প্রতিস্থাপন করবে। ছবি লুইস গোজালবেজের সৌজন্যে, সিসি লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত।

হাতেনালাবোর একজন নাম না জানা ব্যবসায়ী একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে তার অধীনস্থ সহকর্মীদের ছুটি দেবার ব্যাপারে তার কর্তৃত্বের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। নির্বাহী থেকে শুরু করে ছোট বিভাগের কর্তা পর্যন্ত কাউকে ছুটি দেবার দায়িত্ব নিতে চায়না যারা তার চুক্তি অনুযায়ী ছুটি নিতে চায়। পুরোনো কর্মীরা ছুটি নিতে চায় না, তাই নতুন কর্মীরাও নিতে পারে না। এটাই চল!

入社して半年ばかりたった男の子が、「来月友達と旅行行くんで1週間休んでもいいですか?」とかいってきた。
急にそんなこと言い出したから「ちょっと、さすがに一週間は無理でしょ」って注意したら、酷く怯えたような、物悲しいような恐ろしい顔で私のこと見てたけど、今考えるもっととソフトな言い方すればよかった。
とくに立て込んだ予定も入ってなかったから休ませてあげたい気持ちもないことはなかったけど、そんな習慣はなく、そもそもだれも有給休暇を消費しない社内環境で、上司や他の同僚が聞き耳立ててる状況ではやっぱり無理だよ。そんな恐い顔しないでよ。
あっても使えなくてさらにへんな罪悪感を植えつけるような制度なら最初から無くなって欲しいよ。

৬ মাস আগে কোম্পানীতে যোগ দেয়া একজন আমাকে জিজ্ঞেস করেছে: “আগামী মাসে আমি কিছু বন্ধুর সাথে বেড়াতে যেতে চাই তাই এক সপ্তাহ ছুটি নিতে পারি?”

“এক সপ্তাহ? এটি অসম্ভব, তোমাকে বুঝতে হবে!” আমি বললাম, এর জন্যে আমি প্রস্তুত ছিলাম না। সে আমার দিকে দু:খী এবং ভয়ার্ত চেহারায় তাকাল। আমার মনে হয় নরম করে বলা উচিৎ ছিল। এর মধ্যে জরুরী কোন কাজ ছিল না যে তাকে রাখা জরুরী ছিল কিন্তু সে ছুটি নেক তা আমি চাই নি। কারণ এটি আমাদের কোম্পানির চল না। প্রথমত: আমাদের কোম্পানীর পরিবেশ এমন যে এখানে কেউ তার চুক্তিভুক্ত ছুটি সম্পূর্ণ ভোগ করে না। এছাড়াও উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সহকর্মীরা আমাদের কথা শুনছিল। আমার পক্ষে তার অনুরোধে হ্যা বলা অসম্ভব ছিল। “এরকম অঙ্গভঙ্গি করো না…”

আমাদের যেই ছুটির ব্যবস্থা আছে তা মোটেই স্থিতিশীল নয় এবং এর উপরে এক ধরণের অপরাধবোধের জন্ম দেয়। এর চেয়ে কোন নিয়ম না থাকাই ভাল ছিল।

বিশ্বের ২৪টি দেশের উপর করা রয়টার্স এবং ইপসস এর “না নেয়া ছুটি” সংক্রান্ত আর একটি সাম্প্রতিক জরীপে দেখা গেছে যে মাত্র ৩৩% জাপানী কর্মী তাদের ছুটির কোটা সম্পূর্ণ করে ছুটি নেন। ফ্রান্স এর মধ্যে প্রথম ৮৯% হিসেবে।

আরেকজন ব্যবসায়ী সাসা স্বীকার করছেন যে তার কোম্পানিতেও কর্মীরা ছুটি নেবার আগে দুবার ভাবে কারণ সেটি তার সহকর্মীদের কাছে জনপ্রিয়তা কমাবে।

sasaの周りでも有給なんて、あってないようなもの。取れない風潮がある。
残業しないで帰ろうとすると、えっ?まさか帰るわけじゃないよね?という雰囲気で言葉をかけられる。

আমাদের পরিবেশে চুক্তিভুক্ত ছুটি কাগজে কলমে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই। সাধারণ পরিস্থিতি হচ্ছে যে কর্মীরা ছুটি নিতে পারে না।

যদি কেউ দিনের কাজের শেষে বাড়ি যেতে চায় ওভারটাইম না করে, হয়ত সহকর্মীরা তার সাথে অভিযোগের সুরে বলবে “কি? তুমি নিশ্চয়ই বাড়ি যেতে চাচ্ছ না, না কি?”

জাপানে অসুস্থতার ছুটি সংক্রান্ত পর্যাপ্ত নিয়মের অভাব অনেক কর্মীকে এজন্যে তাদের জমানো ছুটি থেকে সেটি নিতে হয়। এই কারণে অনেক কর্মী তাদের জমানো ছুটি ভোগ করে ফেলতে চায়না কারণ যদি স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয় তাহলে তাদের হাতে আর ছুটি থাকবে না।

এইচ এন একজন জাপানী প্রবাসী যার ব্লগের নাম কুশোশিগোতো “বাজে কাজ”। তার জাপানী শ্রম নীতির প্রতি কোন ভক্তি নেই এবং তিনি এ নিয়ে পর্যাপ্ত সরকারী নীতির অভাব এবং সামাজিক কারণে কর্মীদের উপর অপরাধবোধ চাপানোর সমালোচনা করেছেন:

正直、sick leave(病欠給)がない国ってのは聞いた事がない。特に日本は先進国、経済大国wとか言っておきながらsick leave(病欠給)すら定められてなくて、病気で休んだら有給が削られるなんてエグ過ぎるだろ? これはクソ会社の問題って言うより傲慢な国の問題かもな。仕事絡みのストレスでウツ病なったり、過労死や過労自殺など世界でも類を見ないような社会問題が頻発してるのに見ないふり、聞こえないふりか? 連日終電ギリギリまで働かせておいて「体調管理も仕事のうちw」って言ってるのと同じレベルでクソだな。

সত্যি বলতে আমি এমন দেশের কথা শুনিনি যার অসুস্থতার জন্যে ছুটির ভাল ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে জাপান যখন নিজেকে দাবী করে একটি উন্নত দেশ হিসেবে এবং অন্যতম সেরা অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে, অথচ তার এই ধরণের ছুটি ব্যবস্থাপনার জন্যে কোন বিশেষ নীতি নেই। আপনি যদি অসুস্থ হন এবং কাজে যোগদান না করেন তবে এই ছুটি আপনার জমানো সাধারণ ছুটি থেকে কাটা যাবে। এটি কি খুবই ভয়াবহ না? এটি কোন ছোট বাজে কোম্পানির নীতি নয় এটি দেশব্যাপী একটি উদ্ধত ব্যবসায়িক সংস্কৃতি।

তারা কি ভান ধরছে যে কাজের পরিবেশের জন্য সামাজিক সমস্যা যেমন অতিরিক্ত কাজ করার জন্যে হতাশা এবং চাপ যা আত্মহত্যার দিকে কর্মীদের নিয়ে যায় সেটা কি এই দেশে অনুপস্থিত (এই সমস্যা অন্যান্য দেশে কিন্তু নেই)? যারা ব্যবস্থাপনার কাজে জড়িত তারা লোকদের কাজ করায় বাড়ি ফিরে যাবার জন্যে দিনের শেষ ট্রেনের সময় পর্যন্ত। অথচ তাদের আস্পর্ধা হয় “স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা কাজের অংশ” এজাতীয় বাণী দেয়া এবং এটাই এই বাজে সিস্টেমের সমস্যা।

এইচ এন এর পর প্রশ্ন করেন জাপানের কাজের নৈতিকতা নিয়ে তার স্বভাবসুলভ বাগ্মিতা সহকারে।

本来、仕事は生活するための手段に過ぎないのに、日本ではいつの間にか仕事自体が目的になってしまっているんだよな。諸外国では当たり前のwork to live(生きるために働く)の価値観が、live to work(働くために生きる)にすり替わってるんだから。

যদিও কাজ চিরকালই জীবন ধারণের নিমিত্ত হিসেবে ছিল, জাপানী কর্মীরা এখন কাজকে নিজের সর্বনাশের কারণ হিসেবে দেখে। যখন অন্য যে কোন দেশে লোকেরা “বাঁচার জন্যে কাজ করে”, জাপানে এই ব্যাপারটি পুরোই উল্টো – এখানে কর্মীরা “কাজ করার জন্যে বাঁচে”।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .