- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

যুদ্ধ এবং উইকিলিকসের বাইরে আফগান ফোটো ব্লগাররা

বিষয়বস্তু: মধ্য এশিয়া-ককেশাস, আফগানিস্তান, ছবি তোলা, নাগরিক মাধ্যম, মানবতামূলক কার্যক্রম, মানবাধিকার, শিল্প ও সংস্কৃতি, সরকার

দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের ছবি প্রকাশ করে আফগান ব্লগাররা যুদ্ধ এবং উইকিলিকসের [1] বাইরে এক আফঘানিস্তানকে তুলে ধরেছে।

এক পুরষ্কার বিজয়ী ব্লগার নাসিম ফেকরাত আমাদের আফঘানিস্তান দেশটির দুটি দিক তুলে ধরছেন [2]- দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য – একই সাথে “কুৎসিত” দিক, দেশটির দারিদ্র্যকে।

আফঘানিস্তানের সৌন্দর্য্য

বন্দ-ই আমির হ্রদ। [3]

বন্দ-ই আমির হ্রদ। ছবির স্বত্ত্বাধিকারী নাসিম ফেকরাত (অনুমতি নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে)

নাসিম লিখেছেন [3]:

১৯৬০ সালে বন্দ-ই আমির আফঘানিস্তানের প্রথম জাতীয় উদ্যানে পরিণত হয়, কিন্তু সে সময় কাবুলে অস্থিতিশীল সরকার থাকার কারণে, এটি পূর্ণতা লাভ করতে পারেনি। ২০০৪ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে একে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য বন্দ-ই আমিরের নাম জমা দেওয়া হয়। অবশেষে ২০০৮ সালে বন্দ-ই আমিরকে আফঘানিস্তানের জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা প্রদান করা হয়।

তিনি একই সাথে গরিবরা যে দারিদ্রের সাথে লড়াই করছে তা তুলে ধরেছেন:

জীবনের নির্মম ছবি, বামিয়ানের বিশাল বৌদ্ধমূর্তির কাছে এলাকাটি অবস্থিত, এক বিরল প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। ছবি নাসিম ফেকরাত [4]

জীবনের নির্মম ছবি, বামিয়ানের বিশাল বৌদ্ধমূর্তির কাছে এলাকাটি অবস্থিত, এক বিরল প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। ছবি নাসিম ফেকরাত (অনুমতি নিয়ে ছবি ছাপা হয়েছে)

এই ব্লগার বলছেন [4]:

অনেক দরিদ্র্য পরিবার গুহার মধ্যে বাস করে, কারণ তারা এত গরীব যে সরকার যদিও তাদের বলছে, তারা ওই এলাকার ক্ষতি সাধন করছে, তারপরেও তারা এই এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও বাস করতে পারছে না। বামিয়ানের বিশাল বৌদ্ধমূতির কাছের এলাকটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। এরা সকলেই উদ্বাস্তু যারা তালেবান শাসনামলে এরা পালিয়ে গিয়েছিল এবং এখন তারা আফঘানিস্তানের অন্য সব এলাকা থেকে ফিরে আসছে। গুহায় যারা বাস করে তারা সকলেই হাজারা জাতির লোক। যারা ধর্মীয় দিক থেকে ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক ও জাতিগতভাবে আলাদা এবং তারা তালেবানদের নিষ্ঠুর শাসনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

আসাদুল্লাহ হাবিবজাদে একজন ফটো ব্লগার (ছবি প্রকাশ করে এমন ব্লগার) ও সাংবাদিক যিনি আফঘানিস্তানের হেরাতে [5] বাস করেন। আসাদুল্লাহ হেরাতের বেশ কিছু ছবি প্রদর্শন করেছেন [5]

হেরাতের গ্রন্থাগারে কার্টুন ছবি প্রদর্শনী:

[6]

এই সব ছবি আমাদের আফঘানিস্তানের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়, হেরাতের মৌমাছি পালন ব্যবসা [7] থেকে শুরু করে শহরের এক নারী সম্মেলন [8] পর্যন্ত।