ক্যারিবিয়ান: স্বাধীনতার বিষয়ে
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অনেক ইংরেজীভাষী এলাকা গতকাল, পহেলা আগস্ট দিনটিকে ১৭২ তম মুক্তি দিবস হিসেবে স্মরণ করেছে। এই দিনে এখানকার ব্রিটিশ উপনিবেশের অনেক দেশে আফ্রিকা থেকে আসা দাসেরা দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে। এই সমস্ত এলাকার অনেক দেশেই এই দিনটি সাধারণ ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয় এবং কয়েকজন ব্লগার এই সমস্ত উন্নয়নশীল দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে এই অনুষ্ঠানের মানে কি, তার উপর এক প্রতিফলন তৈরি করার সুযোগ গ্রহণ করেছেন, এই প্রশ্ন করে যে: আমরা, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের লোকেরা সত্যিকার স্বাধীনতার কতটা কাছে?
জ্যামাইকার প্রবাসী ব্লগার জেফরি ফিলিপ দাসত্ব মোচনের এই ঐতিহাসিক ঘটনার উপর দ্রুত নজর দেবার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, তিনি জানাচ্ছেন:
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অনেক দেশে দাসত্ব মুক্তি দিবস এক উৎসবের অংশ হিসেবে উদযাপন করা হয়, যেমনটা এই সময় ক্যারিবিয়ান উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো নিউজ ব্লগ সেখানকার প্রধানমন্ত্রীর দাসত্বমুক্তি দিবসের বাণী পুনরায় প্রকাশ করেছে এবং মূল ধারার প্রচার মাধ্যমে স্থানীয় আনন্দ উদযাপন সম্পর্কিত সমন্বিত সব সংবাদ এক তালিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
বাহামা থেকে রিক লোয়ে বলছে:
এটা এমন এক দিন যা সাধারণ ছুটি হবার যোগ্য।
তিনি সরবরাহকৃত একটি সংযোগে (লিঙ্কে) গেছেন “এই বিষয়ের প্রতি কৌতুহল হয়ে যে, দাসত্ব নামক বিষয় এবং কিছু লোকের দাসত্বমুক্তির সমাধানের মধ্যে দিয়ে দেখা, এই ঘৃণ্য নীতির পরিসমাপ্তি ঘটেছে”।
বাহামার বাসিন্দা ওমেনিশ ওয়ার্ডস এই দিবসটি উপলক্ষে তার অন্যতম এক চিন্তাশীল পোস্ট করেছে। তিনি এই দিনের অর্থকে স্মরণ এবং আধুনিক সময়ের দাসত্বের কঠিন বাস্তবতার কথাকে উপলব্ধি করছেন:
এই সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি আমরা দাসত্ব প্রথা খতম হবার দিন হিসেবে উদযাপন করলাম, সেই সমস্ত মানুষদের কথা স্মরণ করুন যারা এই প্রথায় টিকে থাকতে অসমর্থ হয়েছে এবং তাদের কথা যারা টিকে গিয়েছিল, কারণ তারাই ছিল আমাদের শঙ্কিত পূর্বপুরুষ। আমরা একটু বিরতি নেই অনেক বড় এবং ছোট স্বাধীনতার কথাকে বিবেচনার জন্য, যা আজকে আমরা উপভোগ করতে পারছি এবং আমাদের গ্লাস ও কণ্ঠস্বর তাদের জন্য শ্রদ্ধার সাথে তুলে ধরতে পারছি।
এবং যদি আমরা সাহসী হই, তাহলে আজকে আমরা চিন্তা করব এবং কথা বলব বিশ্বের সেই সমস্ত লোকদের জন্য, যারা এখনো স্বাধীন নয়, হয়ত তাদের জন্য কথা বলব, কারণ তারাই যে আমরা, এবং যতক্ষণ না বিশ্বের সকলে স্বাধীন হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের কেউই স্বাধীন নই। আমি ধারণা কৃত হিসেবের সেই ২ মিলিয়ন (২০ লক্ষ) মানুষের কথা ভাবছি, যাদের বেশির ভাগই মহিলা এবং কিশোরী, যারা এই বছর পাচার হয়ে যাবে, অনেকে বলে সংখ্যাটি চার মিলিয়ন (৪০ লক্ষ)…আমাদের প্রজন্মের অনেক মহিলা এবং কিশোরীর লড়াই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। যদি আমরা আজকের দিনটা উদযাপন করার মত এতটা স্বাধীন হয়ে থাকি, বোনেরা, তাহলে আসুন আমরা দিনটি তাদের নামে পালন করি যারা এখনো স্বাধীন হয়নি।
এই পোস্টে যে “এমানসিপেশন স্ট্যাচু (শৃঙ্খলা মোচন ভাস্কর্য)” নামক থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তা রিচার্ডজিনহোর, এটি ক্রিয়েটিভ কমন্স এ্যাট্রিবিউশন-ননকমার্শিয়াল-শেয়ারএলাইক লাইসেন্সের অধীনে ব্যবহার করা হয়েছে- রিচার্ডজিনহোর ফ্লিকার ফটোস্ট্রিম দেখুন।