বাংলাদেশ: একটি শিশুর কারনে একটি স্কুল পুনর্গঠিত হয়েছে

বেশী কিছু লাগেনি, শুধু একটি শিশু একটা ক্যামেরার সামনে তার ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্কুলের কথা বলে গেছে। আনকালচার্ড প্রজেক্টের শন আহমেদ এবং নার্ডফাইটারদের ধন্যবাদ, এর পরবর্তী কয়েক মাস জুড়ে ইউটিউবের মাধ্যমে এই ভিডিও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং যার ফলশ্রুতিতে স্কুলটির পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করা হয়।

সাইনবোর্ডে ফিরদৌসের-এর ছবি, ছবি শন আহমেদের,সিসি বাই-এনসি-এসএ লাইসেন্স এর অধীনে তা ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ভিডিও ঘটনাটি তুলে ধরছে: ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর বাংলাদেশে আঘাত হানে: শন এই ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য ধারণ করে এবং অনেক শিশুর জীবন হানিতে ধাক্কা খায়। এরপর সে একটা ছেলের উপর মনোযোগ প্রদান করে যার নাম ফিরদৌস, সিডর থেকে বেঁচে যাওয়া এক শিশু, যে তাকে শহরের নিয়ে যায়, তাকে দেখায় এই ঘূর্ণিঝড়ে তার স্কুল কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন ভিডিওটি দেখানো শুরু হয়, তখন ভ্লগ ব্রাদারস ইউটিউব চ্যানেলের নার্ডফাইটার্স (প্রযুক্তিবিদদের) সম্প্রদায় ছেলেটিকে সাহায্য করার জন্য আনকালচার্ড প্রজেক্টকে অর্থ তুলতে সাহায্য করেছে। প্রথম ছাদ মেরামত করার জন্য যথেষ্ট টাকা সংগ্রহ করা হয় এরপর যখন আরো অর্থ সাহায্য আসে, তখন স্কুলটিকে মেরামত ও নতুন করে রঙ করা হয়। পরিশেষে নতুন ডেস্ক (বই রাখার আসবাব) কেনারও অর্থ যোগাড় হয়। এমনকি যে বিষয়টি আরো উৎসাহ জনক ওই সমস্ত দানের ক্ষেত্রে কর ছাড় দেয়ার সুযোগ ছিল না, যেমনটা শন তার সাইটে লিখেছে:

এটা কোন বদান্যতা বা কোন বেসরকারী কাজ নয়- এটা দাতব্য অর্থ প্রদান করা এক সম্প্রদায়ের একটি পরীক্ষামূলক কাজ।

কারণ এই কাজে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, দাতব্য অর্থে করে কোন ছাড় পাওয়া যায় না

গত বছর শনের ব্যস্ততা বজায় ছিল এবং আমরা তার মানবিক অভিযাত্রার বিষয়টিকে অনুসরণ করছিলাম। ২০০৭ ও ২০০৮ সালের ত্রাণ প্রচেষ্টার পর, তিনি বিশুদ্ধ পানি নিয়ে কাজ শুরু করেন। যদিও তার সাইটে অনেক ভিডিও রয়েছে, তবে তিনি ঘন ঘন পোস্ট লেখে না, এবং এটা হয়ত একটা ভালো বিষয়, এমনকি যদিও তা তার ইউটিউব ভিডিওর ক্ষেত্রে নম্বর অর্জনে-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে:

যদিও আমি চাই, তারপরেও আমি নিয়মিত এবং ঘন ঘন ভিডিও নির্মাণ করতে পারি না। একটি ভালো কাজ করার পাশাপাশি ভিডিও নির্মাণ করার মধ্যে আমাকে ভারসাম্য তৈরি করতে বাধ্য হতে হয়।

কোন কোন ক্ষেত্রে, যে পরিকল্পনা আমি গ্রহণ করি, সেটি সম্পন্ন করতে বছর লেগে যায়। এসবের ক্ষেত্রে লাগে পরিকল্পনা, যোগাযোগ, বাজেট বা অর্থ বরাদ্দ, কাজের ক্ষেত্রে আস্থা অর্জন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়, যা কাজের সময়সূচিকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করে।

নীচে ভিডকনে শনের একটি ভিডিও দৃশ্যমান, সেটি অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স (ভিডিওর মাধ্যমে অন্যদের সাথে সরাসরি কথা বলা) দৃশ্য, যেখানে তিনি দর্শকদের একটি ভিডিও প্রদর্শন করছেন: দি বয় হু লিভড (এক বালকের বসবাস) নামক ভিডিওটি এমন এক গল্প প্রদর্শন করা হচ্ছে, যা ১০০০ দিন ধরে বলা হয়েছে।

শন আহমেদের ব্লগ পোস্ট হৃদয় ছুঁয়ে যায়, যার লেখায় অন্তর্দৃষ্টি রয়েছে এবং লেখাগুলো বিস্তারিত বর্ণনার মধ্যে দিয়ে উপস্থাপন করা হয়: এই সমস্ত লেখা বহুবিধ বিষয় নিয়ে লেখা রয়েছে যা মূলত দারিদ্র্যের কথকতা নিয়ে লেখা: ভালো কাজ, ভালো অনুভূতি এবং স্বেচ্ছাশ্রম, দারিদ্রতার উপর তোলা নগ্ন ছবির নৈতিকতা, এছাড়াও দাতব্য কাজের ক্ষেত্রে তারকা কোন মুখপাত্র ছাড়াই কাজ করা এবং সাধারণ মানুষদের নিয়ে কাজ করা এবং তাদের অনলাইন শ্রোতাদের নিয়ে কাজ করা হয়। ইউটিউবে তার ভিডিও দেখতে এবং সেটি পাওয়ার মধ্যে দিয়ে দেখতে পাবেন একটি আশাবাদ এবং কি ভাবে একজন ব্যক্তি জনতার জীবন বদলে দিতে পারে তার এক ঝলক, সামান্য কিছু সময়ের মধ্যে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .