দক্ষিণ কোরিয়া: এক ভিয়েতনামী বধূর মৃত্যুতে জাতীয় শোক

দক্ষিণ কোরিয়ার ব্লগাররা এক ভিয়েতনামী বধূর মৃত্যুতে শোকাহত। যেই বধূটি এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসে পৌঁছায়। থাচ থি হোয়াং নগক (যার বয়স ২০ বছর)-কে তার স্বামী জাং ডু হোইয়ো (বয়স ৪৫ বছর) ছুরিকাঘাত ও আঘাত করে মেরে ফেলে। জাং এক মানসিক রোগী। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি মিইয়ু বাক ভিয়েতনামে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার দূতের মাধ্যমে মৃতের পরিবারের কাছে শোকবার্তা পৌছে দেন। এদিকে কোরিয়ার ব্লগাররা মৃত বধূটির জন্য শোক প্রকাশ করেছে, তারা সরকার ও পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা যেন অবৈধ বিবাহ প্রদানকারী বা ঘটকালী করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করে দেয়, যারা প্রায়শই স্বামীর মানসিক অবস্থা, চরিত্র এবং মর্যাদা লুকিয়ে রেখে বিদেশী কনেকে বিয়ে দিয়ে বিষয়টিকে বেদনাদায়ক পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়।

ভিয়েতনামী কনে শব্দ দিয়ে অনুসন্ধান করার পর একটি কোরিয়ান পোর্টাল সাইটের ছবি।

যখন আপনি “ভিয়েতনামী বধূ” শব্দটি দিয়ে কোরিয়ার সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত নাভের.কম নামক সাইটে-এ অনুসন্ধান করবেন, দেখবেন দশটির মধ্যে নয়টি বিয়ে সংক্রান্ত সাইট। তারা তরুণ কোরিয়ান পাত্রদের প্রলুব্ধ করে, যারা এক গ্রহণযোগ্য দামে ভিয়েতনামী অথবা বিদেশী কনে বিয়ে করতে পারে।

খুন হয়ে যাওয়া কনে, নগকের বিয়ে এ ভাবেই হয়েছিল। সে ১ জুলাই কোরিয়ায় উপস্থিত হয়, বিয়ে করে এবং ৮ জুলাই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সে কোরিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারত না এবং সে তার স্বামী এবং স্বামীর মানসিক রোগ সম্বন্ধে কিছুই জানত না। পরে তার স্বামী স্থানীয় পুলিশকে জানায় যে এক ভূত তাকে তার স্ত্রীকে খুন করতে আদেশ দেয়। .

অনেক কোরিয়ান নাগরিক এই সংবাদে আতঙ্কিত, তাদের বেশির ভাগই এই ঘটনাকে জাতীয় লজ্জা বলে অভিহিত করেছে।

একজন আইনজীবী ব্লগার স্প্রীংল একটি পোস্টে মন্তব্য করেছে, যা শুরু হয়েছে এই বাক্য দিয়ে, “আমি এই লেখাটি পোস্ট করছি, এই আশায় যে আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না’। শুরু থেকে এই বিয়েটি ছিল এক ভূল, এবং যোগাযোগ বিভ্রান্তি, উপেক্ষা, এবং দেরি করে সাড়া প্রদানের কারণে তা আরো খারাপের দিকে গড়ায়।

신부를 거의 구매하다 싶이하고 서로 말이 통하지 않는 상태에서 폭력과 폭언으로 얼룩진 한국의 결혼생활 그 동안 많은 문제로 곪다 곪다 이제는 터져 버린거 같네요. 이제는 한 가정의 문제가 아닌 국가와 국가의 일로 커질거 같아 정말 걱정인 국제 결혼…이러한 잘못된 결혼 행태는 이미 전부터 사기결혼이라고 불릴만한 결혼들이 성행했었고, 그로 인해 가슴에 상처를 입은 해외 여성들이 많이 생겨났습니다. 이러한 문제를 이미 방송과 같은 언론에서 지적을 했지만 안일한 대처를 지속하던 국가와 국민들에게 베트남 신부의 피살이라는 부끄러운 일이 벌어졌습니다.

এই ধরনের সমস্যা ক্রমাগত খারাপ থেকে খারাপের দিকে যায় এবং অবশেষে তা বিস্ফোরন ঘটায় যা এই ঘটনার ক্ষেত্রে দেখে গেছে। কোরিয়ার পুরুষরা বিদেশি বধূ প্রায় কিনে ঘরে আনে এবং তাদের বিবাহিত জীবন শারিরীক আক্রমণ এবং মারপিটের কারণে দাগ পড়ে যায় এবং এই রকম পরিস্থিতিতে বাজে বাজে শব্দ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে ভাষাগত কারণে কেউ কারো কথা বোঝে না। আমি উদ্বিগ্ন, কারণ এই ধরনের ঘটনা দুটি পরিবারের পরিবারিক বিষয়ের বাইরে চলে গিয়ে, দুটি দেশের সম্পর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে….এই রকম অন্যায়, অনেক লম্বা সময় ধরে চলে আসা ভয়াবহ রকমের প্রতারণাপূর্ণ বিবাহ অনেক ভয়াবহ সমস্যার কারণ ঘটায় এবং এতে অনেক বিদেশী বধূ আহত হয়েছে। বলা যায় প্রচার মাধ্যম অবশ্যই এই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করেছিল, তবে কোরিয়ার জনগণ এবং সরকার এতে তেমন একটা সাড়া দেয়নি এবং বিষয়টি ভিয়েতনামী বধূ হত্যার মত এক লজ্জাজনক ঘটনার দিকে ঠেলে দিল।

দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক বিয়ের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। কোরিয়ার পরিসংখ্যান অফিসের মতে সেখানকার ১১ শতাংশ (৩৫ হাজার) বিয়ে আন্তর্জাতিক বিয়ে। তবে অনেকে সন্দেহ করেন এটি উপযুক্ত পাত্র নয় এমন পুরুষের সাথে এক বিদেশী তরুণী বধূর শর্তাধীন বিয়ে, যেখানে এই বধূটিকে ৭ থেকে ১০ হাজার ডলারে (প্রায় ৪,৯০,০০০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকায়) বিক্রি করা হয়। প্রায় প্রতিটি বিদেশী বধূ বিয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিবাহিত দম্পতিরা একে অন্যের ভাষায় কথা বলতে পারে না এবং এই অকার্যকর বিয়ের পরিসমাপ্তি হয় স্বামীর স্ত্রীকে প্রহার করা এবং স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে। যখন পরিস্থিতি সহনীয়, তখন স্ত্রীটি তার ফেলে আসা মাতৃভূমিতে বাস করতে থাকা বাবামার কাছে টাকা পাঠায়। তরুণী বধূটি যে টাকা পাঠায় তা মুদ্রা বিনিময়ের করণে বিশাল অঙ্কের টাকায় পরিণত হয়।

একজন কোরিয়ান ব্লগার ট্রাস্ট মি৭৭ লিভিং ইন কোয়েলেসেড ভিয়েতনাম জানাচ্ছে ভিয়েতনামীরা এই সংবাদের উপর মন্তব্য করেছে। এদের কেউ কেউ তাদের হৃদয় বিদারক ঘটনার কথা জানাচ্ছে অন্যরা ঘটকালী প্রতিষ্ঠান বা দালাল এবং সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ লুকিয়ে রাখতে পারেনি।

슬프다. 많은 베트남 여성들이 돈 때문에 그들 스스로의 존엄성을 상관하지 않는다. 더 슬픈 것은 베트남 법이 너무 느슨하다는 것이다. (Bui Tan Man)
도박같은 삶. 젊은 여성들은 외국 생활을 이해하지 못한다. 대부분 천국일 것이라고 생각한다. 그것은 순진한 여성들이 실수일 뿐이다. (Ta Duc Thong)
당신이 깨달았을 때 행복은 없다. 나는 한국 남성과 결혼하여 한국에서 살고 있다. 나는 브로커를 통해서 결혼했고 수백명의 여성들 사이에서 선택되었을 때 울었다…몇 달 간의 서류 절차를 거처 한국에 갔을 때 나의 꿈은 완전히 무너졌다. 그는 직업이 없었고 간질병 환자였다. 속았다는 것을 알았을 때 고향을 그리워하며 많이 울었다. (Nguyen Thi Hong)
국제 결혼 브로커들은 처벌되야 한다. 왜 당국은 나서지 않는가? (Anh Minh)

একজন কোরিয়ান ব্লগার ট্রাস্ট মি৭৭ লিভিং ইন কোয়েলেসেড ভিয়েতনাম জানাচ্ছে ভিয়েতনামীরা এই সংবাদের উপর মন্তব্য করেছে। এদের কেউ কেউ তাদের হৃদয় বিদারক ঘটনার কথা জানাচ্ছে অন্যরা ঘটকালী প্রতিষ্ঠান বা দালাল এবং সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ লুকিয়ে রাখতে পারেনি।
এটা দুঃখজনক: অনেক ভিয়েতনামী মহিলা টাকার দিকে খেয়াল করতে গিয়ে তাদের মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রাখে না এবং আরো বেদনাদায়ক বিষয় হচ্ছে ভিয়েতনামের আইন অনেক দুর্বল। (বুয়ই তান মান)
জীবন এক জুয়া: অনেক তরুণী বুঝতে পারে না বিদেশের মাটিতে জীবন কেমন হবে। অনেকে মনে করে সেখানকার জীবন স্বর্গের মত। কিন্তু এই বোকা মেয়েগুলো এই ভুল করে থাকে (টা ডুক থঙ্গ)
যখন আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন, দেখবেন সেখানে কোন সুখ নেই: আমি এক কোরিয়ান পুরুষকে বিয়ে করেছি এবং এখন কোরিয়াতে বাস করছি। এক দালাল ঘটকের মাধ্যমে আমি বিয়ে করেছিলাম এবং যখন কয়েকশত মেয়ের মধ্যে থেকে আমাকে বধূ হিসেবে নির্বাচিত করা হয় আমি কেঁদে ফেলি (সুখের কথা ভেবে).. কয়েকমাস ধরে কাগজপত্র ঠিকঠাক করার পর আমি কোরিয়ায় উপস্থিত হই এবং এখানে আসার পর আমার স্বপ্ন নির্বাপিত হয়ে যায়। আমার স্বামীর কোন চাকুরি ছিল না এবং সে ছিল এক মৃগী রোগী। যখন আমি উপলব্ধি করলাম আমি প্রতারিত হয়েছি, তখন দেশের কথা ভেবে আমি অনেকক্ষণ কাঁদলাম।(নগুইয়েন থি হঙ্গ)
এই সমস্ত আন্তর্জাতিক বিয়ের ঘটক বা দালালদের শাস্তি প্রদান করা উচিত। কেন সরকার এই বিষয়ে গুরুত্বের দিয়ে কাজ করে না? (আনহ মিনহ)

কোরিয়ান সমাজের সহানুভূতি এই বিষযে তেমন একটা সাহায্যে লাগছে না, ডানবি৯২৮ নামক ব্লগার এই মন্তব্য করেছে। তিনি কোরিয়ার নাগরিকদের স্মরণ করিয়ে দেন তাদের কষ্টকর সময়ের কথা যা ১৯৬০ ও ৭০ দশকে বজায় ছিল, যে সময় অনেক কোরিয়ান ঘরের জন্য টাকা কামানোর লক্ষ্য যুদ্ধক্ষেত্র বা পশ্চিমা দেশগুলোতে যেত।

우리에게도 과거 가난을 탈출하겠다고 서독 광부로, 간호사로, 그리고 월남전으로 떠난 일이 있습니다. 낯설고 물설은 이역만리에서 가난을 이겨 나가겠다고 그리고 되물림 하지 않겠다고 얼마나 힘들게 지냈는지. 왜 개구리 올챙이적 생각을 하지 못할까요?

টাকা কামানোর জন্য আমরাও অন্য দেশে গিয়েছি, আমাদের কেউ খনি শ্রমিক হিসেবে পশ্চিম জার্মানীতে কাজ করেছি, কেউ বা সেবিকা হিসেবে, অন্যরা (সৈনিক বা কর্মী হিসেবে) ভিয়েতনাম যুদ্ধে কাজ করেছি। আপনারা স্মরণ করতে পারবেন, বিদেশের মাটিতে আমরা কতটা পরিশ্রম করেছি, দেশ থেকে অনেক দুরের এক বিদেশের মাটিতে, যা একেবারে পরিচিত কোন পরিবেশ নয়, দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং আমাদের শিশুদের ক্ষুধার্থ না রাখার জন্য। কেন আমরা আমাদের কঠিন সময়গুলোর কথা স্মরণ করতে পারি না?

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা সারাদেশের সকল বিবাহ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত পরিচালনা করবে। পুলিশ দেখবে, সেগুলো কি নিবন্ধনকৃত নাকি নিবন্ধণকৃত নয়। ব্লগাররা আশা করছে এই তদন্ত বিস্তারিত এবং চূড়ান্তভাবে জাতির নামের উপর যে কলঙ্ক তৈরি করেছে, তা দুর করতে পারবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .