- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মালয়েশিয়া: সরকার ভর্তুকি সংস্কৃতি বিলোপে বিলম্ব করছেন

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, মালয়েশিয়া, নাগরিক মাধ্যম, ব্যবসা ও অর্থনীতি, রাজনীতি

একজন মন্ত্রী সম্প্রতি সাবধান করে দিয়েছিলেন যে মালয়েশিয়া এক ‘গ্রিক বিয়োগান্ত ঘটনার [1]’ সম্মুখীন হতে পারে যদি ভর্তুকি বন্ধ না করা হয়। জাতি তখন হঠাৎ করে আবার জেগে ওঠে অবশ্যম্ভাবী কিন্তু রাজনৈতিকভাবে অজনপ্রিয় এই পদক্ষেপের ব্যাপারে। এ নিয়ে সরকারের অবস্থান হচ্ছে এটা এখন আর উচিত অনুচিতের স্তরে নেই, বরং ভর্তুকি তুলে নেয়া কিভাবে ধীরে ধীরে প্রয়োগ করা যায় আর গুরুতর সামাজিক নিরাপত্তার জাল ধরে রাখা যায় দরিদ্রদের জন্য। এই বিষয় বিবেচনার জন্য কিছু প্রধান দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে।

যেমন ধারণা করা হয়েছিল, এটা কখনই কেবলমাত্র অর্থনৈতিক ব্যাপার ছিলনা। সরকার জনগণের বিপুল সমর্থন চাচ্ছে মূল সিদ্ধান্তের আগে। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে [2] অনুসারে:

মালয়েশিয়ার সরকার হয়ত এই বছর তাদের মূল্যবান ভর্তুকি সাম্রাজ্য ভাঙ্গবেন না গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নির্বাচনের আগে আর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সমর্থন হারানোর ঝুঁকি নেবেন বিলম্বে সিদ্ধান্ত নেবার কারণে। [..] প্রধানমন্ত্রী নাজিব মে মাসে পরিকল্পিত তেলের দাম বৃদ্ধি থামিয়েছেন ভোটারদের বিরক্ত করার ভয়ে, বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র মালয়দের না ঘাঁটাতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করেন।

পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহ যেখানে দারিদ্রের হার এখনো বড় সমস্যা, সেখানের নাগরিকরা অনেক দিন ধরে ভর্তুকির উপরে নির্ভর করেন আর তারা সরকারের সিদ্ধান্তের সমর্থন না করতে পারেন। যেমন সাবাহকিনি [3] তর্ক করেছেন:

আমাদের আরো বেশী সুবিধা আর লাভ দরকার, আর সরকার এইসব দিতে পারবে না বলে বঞ্চিত হওয়া ঠিক না। [..] মানুষকে সাহায্য করার জন্য সরকারের ভর্তুকির ব্যবস্থা করা দরকার। তারা কেবল উচ্চ দারিদ্র্য সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে সাবাহতে যেখানকার (২৩.৪%) মানুষ এরই মধ্যে দরিদ্র ।

কিছু পক্ষ আছে যারা তর্ক করেন যে বৃহৎ ছবি আমাদের দেখা উচিত, যেমন লুকানো ভর্তুকি [4] আর বাজে খরচা বৃহৎ অভাবের সৃষ্টি করে। বাকরি মুসা বলেছেন:

যদি ইদ্রিস জালা (প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মন্ত্রী) কর্মঠ আর নির্ভীক হতেন তাহলে তিনি বাড়তে থাকা ঘাটতি আর বাড়তে থাকা খরচের দ্বৈত সমস্যা বুঝতে পারতেন। তিনি তাহলে বৃহৎ পেট্রোলিয়ামের ভর্তুকির স্থান থেকে শুরু করতেন, তার পরে লুকানো ভর্তুকি বের করতেন যা সরকারের চুক্তির অ-প্রতিযোগী নিলাম থেকে এসেছে, আর তার পরে অর্থ হারান জিএলসি (সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট কোম্পানী) বাতিল করতেন।

অনিল নেট্টো একমত হয়ে বলেছেন [5]:

অনেক মালয়েশিয়ান দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য সরকারকে দোষ দেন, যেখানে সাধারণ লোকের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে যে সরকার যদি ভর্তুকি থেকে অর্থ বাঁচাতে চায়, তাহলে তাদের উচিত সরকারী ব্যয়ের ‘ফাঁক’ বন্ধ করা আর লাগাতার দুর্নীতি বন্ধ করা। বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ অসৃষ্টিশীল সরকারী প্রকল্পে ঢালা হয় যেখানে খুব কম ফলাফল দেখা যায়।

আরো বিস্তারিত গবেষণার কথা বলা হচ্ছে ভর্তুকির কারণ ঠিক করা আর প্রাপ্ত অর্থ শেষ পর্যন্ত কোথায় ব্যবহার করা হবে তা বের করার জন্যে। ইপলিসি বলেছে [6]:

যদি ভর্তুকি সরানোর মানে সরকারের ঘাটতি বাজেটে অর্থ দেয়া, তাহলে আমার উত্তর হবে তা না করা। ভর্তুকি সরানোর একমাত্র কারণ হতে পারে অর্থনীতির প্রতিযোগিতা বাড়ানো। এর মানে অর্থনীতির কোন ক্ষেত্রকে অযাচিত সুযোগ দেয়া হবেনা সরকারের অর্থের সুবিধা নিয়ে।