- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

পেরু: দুর থেকে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখা

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, পেরু, খেলাধুলা, নাগরিক মাধ্যম

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ গত ১১ই জুলাই রোববার শেষ হয়েছে। এই মাসটিতে সারা বিশ্বব্যাপী ফুটবল নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। পেরুর ফুটবলপ্রেমীদের দুর থেকে এই টুর্নামেন্ট দেখতে [1] বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এবং এখন তারা স্পেনের নতুন চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে উদযাপন করছে।

[2]

লিমার মূল স্কয়্যার (প্লাজা দো আরমাস) এ এই বড় স্ক্রিনে এবারের বিশ্বকাপের খেলা দেখান হয়েছে। ছবি তুলেছেন ফ্লিকার ব্যবহারকারী আরাম কুরদুরশিয়ান এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় তা ব্যবহৃত হয়েছে।

 টিয়েম্পো এক্সট্রা (স্প্যানিশ ভাষার) ব্লগে ওমার ভেলার্দে সংক্ষেপে বলেছেন [3]:

Con un agónico gol de Andrés Iniesta, España se consagró campeón por primera véz en su historia al vencer por 1 a 0 a Holanda. El ‘Soccer City’ de Johanesburgo se tiñó de rojo al ver la algarabía de ‘la furia’.

আন্দ্রে ইনিয়েস্তার একটি হৃদয়-কাড়া গোলে স্পেন নেদারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাসের প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল। জোহানেসবার্গের ‘সকার সিটি’ লাল হয়ে গিয়েছিল ‘লা ফিউরিয়ার’ [ভয়ঙ্কর – স্প্যানিশ ফুটবল দলের ডাক নাম] প্রতি সমর্থকদের ভালবাসায়।

এন লা কাঞ্চা পেরু ব্লগ এই ফাইনালকে ইতিহাসের দৃষ্টিকোণে দেখেছে [4]:

Los ibéricos fueron superiores a lo largo del trámite y volvieron a exhibir su claridad, estilo y buen manejo de pelota ante unos holandeses combativos y batalladores. El partido decisivo, disputado en el Estadio Soccer City de Johannesburgo el 11 de julio, fue el tercero que se definió en la prórroga luego de Italia 1934, Inglaterra 1966 y Argentina 1978. La Furia Roja vive su momento de gloria e inscribe así su nombre en el trofeo más codiciado del fútbol. Para Países Bajos, fue su tercera final perdida, tras Alemania 1974 y Argentina 1978.

স্প্যানিশরা সারা খেলায় ভাল খেলেছে এবং আবারো তাদের পরিচ্ছন্ন ফুটবল শৈলী, নান্দনিকতা এবং বল নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছে মারদাঙ্গা এবং জোর দিয়ে খেলা ডাচদের সাথে। এই সেই চুড়ান্ত ম্যাচ, যা ১১ই জুলাই জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে, ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৩য় ফাইনাল ম্যাচ যা অতিরিক্ত সময়ে নিস্পত্তি হয়েছে। এর আগে এমন হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ এবং ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। ফুরজা রোজা (লাল ভয়ঙ্কর) টিম এখন তাদের স্বর্ণ সময় অতিবাহিত করছে এবং সবচেয়ে কাঙ্খিত ফুটবল ট্রফিতে তাদের নাম লিখিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের জন্যে এটি ছিল তাদের তৃতীয় ফাইনাল যেটাতে তারা হেরেছে। ১৯৭৪ সালে জার্মানি এবং ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা তাদের হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে।

এমনকি কতিপয় স্প্যানিশ জাতীয় চিহ্নও সমর্থকদের আগ্রহের কবলে পড়েছে, জানিয়েছেন ফুলবিতো ঈ ফুলিয়াসো [5] ব্লগের লেখক [স্প্যানিশ ভাষায়]:

En España hay devoción al pulpo Paul, ese molusco que acabó por vaticinar el triunfo de la selección española sobre Holanda en la final del Mundial. Tanta, que en la embajada peruana apareció un curioso emblema: la bandera del país ibérico modificada, con un pulpo como escudo.

স্পেনে তারা নিবেদিত অক্টোপাস পলের প্রতি, যেই জলীয় প্রাণী নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে স্পেনের জাতীয় টিমের জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। এতই মত্ত এই সমর্থকরা ছিল যে পেরুর স্প্যানিশ এমবাসির সামনে একটি স্প্যানিশ পতাকা ওড়ানো হয় মজার এক চিহ্নসহ – একটি অক্টোপাসের ছবি।

অবশেষে মহিলারা তাদের কণ্ঠ শোনাতে পেরেছে। ওত্রাস টার্ডেস [6] [স্প্যানিশ ভাষায়] এর ব্লগ থেকে আমরা বিশ্বকাপকে অন্য ধরণের এক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখি বিশেষ করে চিত্র ব্যবহার করে:

El mundial no debe vivirse desde un único punto de vista. A algunas mujeres les gusta el fútbol, a otras no, pero aún así las poco o nada interesadas en este deporte pueden entretenerse viendo a los jugadores más guapos, atléticos y sexys del mundo. Además hay para todos los gustos. Veamos quienes son los que llaman más la atención.

বিশ্বকাপকে আমাদের মাত্র একটি দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে হবে না। কিছু মহিলারা ফুটবল ভালবাসে, কারও হয়ত ভালো লাগে না এই খেলা। কিন্তু ভাল লাগুক আর নাই লাগুক তারা সবাই বিশ্বব্যাপী যৌন আবেদনময়, সুদর্শন ও সুঠামদেহী এইসব ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে থাকে। এছাড়াও এটি সবাইকেই কিছু না কিছু মজা দিতে সক্ষম। চলুন আমরা দেখি কারা সবচেয়ে বেশী মনোযোগ কেড়েছে:

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ এখন গত একটি বিষয়। আমাদের আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে দেখতে যে ২০১৪ সালে ব্রাজিলে ফিফা বিশ্বকাপে আমাদের জন্যে কি আকর্ষণ অপেক্ষা করছে।