হাজার হাজার বছর ধরে শিল্পের মাধ্যম হিসাবে মেহেদি ব্যবহারের চল আছে। মরোক্কো থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত দেখা যায় যে মেহেদি ব্যবহার করা হয় চুল রঙ করতে আর শরীরে নকশা আকঁতে। মরোক্কোতে মেহেদি ব্যবহার করা হয় হাত আর পায়ে সূক্ষ্ম নকশা করার জন্য, আর হাম্মামে (গোসলখানায়) চুলের রঙ করার জন্য।
সম্প্রতি প্রাচীন মেহেদির শিল্প নিয়ে একটা বই বের হয়েছে। ‘মুর: আ হেনা এটলাস অফ মরোক্কো’ শিরোনামে এই বই চিত্রসহ মেহেদি শিল্পের মরোক্কোর সংস্করণ ব্যাখ্যা করেছে। বইটির কিয়দংশ এখানে দেখুন:
এই বই এর লেখকদের একটা ব্লগ ও আছে যার নাম মুর হেনা।
পিস কোর স্বেচ্ছাসেবী এমিলি সম্প্রতি মেহেদির দেবার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। তার (মরোক্কোতে এমিলি আর জন ) ব্লগে, তিনি যেখানে কাজ করেন সেখানে মেহেদি দেয়ার ছবি পোস্ট করেছেন:
এমিলি মেহেদি দেয়ার পরে তার নিজের হাতে একটি ছবি দিয়েছেন:
এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এমিলি বলেছেন:
বাড়ি আসার পরে শুকনো মেহেদির উপরে আমি অল্প জলপাই তেল দিয়ে ওটা উঠিয়ে ফেলি। মেয়েরা আমাকে সব্জির তেল ব্যবহার করতে বলেছিল (সম্ভব ওটা সস্তা বলে), কিন্তু আমি ভালোটা দিয়েছি। আমার মনে হয় তেল মেহেদিকে ‘বসতে’ সাহায্য করে, তা ছাড়া চামড়াতেও আরাম লাগে কারন শুকনা হেনার টান ভালো লাগে না। মেহেদি তোলার পরে প্রথমে উজ্জ্বল হলুদ রঙ হয়, তার পরের কয়েক ঘন্টায় এর রঙ গাঢ় হয়। আজকের মধ্যে সুন্দর বাদামি রঙ হয়েছে।