মিশরী কর্মীরা তাদের ব্লগ, মোবাইল ফোন আর নতুন মিডিয়া ব্যবহার করে গত কয়েক বছর ধরে পুলিশের করা অসংখ্য নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেছে। ওয়ায়েল আব্বাস (মিসর ডিজিটাল), শাহিনাজ আব্দেল সালাম (ওয়া৭দা মাস্রেয়া), রামি রাউফ (হিউমান রাইটস ডিফেন্ডার), আমর ঘার্বিয়া (ঘার্বিয়া), নোহা আতেফ (টর্চার ইন ইজিপ্ট), মোহাম্মাদ খালেদ (ম্যাক), সামেহ এল আরুসে (আই অন দ্যা ওয়ার্ল্ড), মালেক মোস্তাফা(মালেক এক্স), ও হোসাম এল হামালাউ (৩আরাবাউই) সহ আরো অনেকে মানবাধিকারের ব্যাপারে কথা বলেছেন আর পুলিশের আইন ভঙ্গ আর দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছেন।
সব থেকে নামকরা ঘটনা হলো এমাদ এল কেবির এর, যাকে অত্যাচার আর যৌন নির্যাতন করে ইসলাম নাবিহ আর রেদা ফাতিহ -যেই পুলিশ অফিসারদের বিচার করা হয় অত্যাচারের ভিডিও প্রচারের পরে। আর সাম্প্রতিক হচ্ছে তীরবর্তী শহর আলেকজান্ড্রিয়ার ২৮ বছরের মিশরীয় খালেদ সাঈদের অত্যাচার আর নৃশংস হত্যা যিনি একটা সার্চ ওয়ারেন্টের কথা জিজ্ঞাসা করায় মারা যান।
আমর ঘার্বিয়ার সাম্প্রতিক পোস্টের নাম:
এটার বিষয়বস্তু জনসাধারণের সাম্প্রতিক অত্যাচার বিরোধী অবস্থান নিয়ে। ঘার্বিয়া লিখেছেন:
حادث التعذيب و القتل الأخير و الذي راح ضحيته خالد سعيد أعاد الاهتمام بالتعذيب كواحد من أكبر ما يعوق حركة الناس نحو تحسين ظروف حياتهم. الأفراد المحتجزين هم أضعف من أن يمكنهم الدفاع عن أنفسهم، و لهذا فإن سلامة الأفراد مسؤولية المجتمع.يبدأ اليوم موقع جديد لقوة العمل المناهضة للتعذيب في العمل. تتكون قوة العمل من “مجموعة من المنظمات الحقوقية والأفراد – أطباء ومحامون وصحفيون ومدونون – اجتمعوا على العمل معا من أجل مناهضة التعذيب والتضامن مع من يتعرضون له مستخدمين في ذلك كافة الوسائل بداية من الدعم النفسي والقانوني وكشف جرائم التعذيب والنشر في الاعلام والأبحاث ومخاطبة الرأي العام بخطورة القضية ومعدل انتشارها وسبل التصدي للقائمين عليها”، و هي مدعومة من المجلس الدولي لتأهيل ضحايا التعذيب في كوبنهاجن.
باكورة إنتاج قوة العمل فيلم بعنوان رامي: قصة من تمي الأماديد، و رامي هو “طفل من قرية تمى الأماديد بمحافظة الدقهلية عذبته الشرطة في عام 2008 ليعترف بجريمة قتل لم يرتكبها”
আজকে, অত্যাচারের প্রতিরোধে নতুন এক সাইট চালু করা হয়েছে। এই সাইটে বেশ কয়েকটা মানবাধিকার সংস্থা আর ব্যক্তি যারা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করেন আছেন যেখানে তারা একসাথে কাজ করেন অত্যাচারিত মানুষকে মানসিক আর আইনগত পরামর্শ দিতে অনেক ঘটনা তুলে ধরেন। তারা এইসব খবর মূলধারার মিডিয়া সংস্থার কাছে পৌঁছাচ্ছেন আর মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছেন এই ঘটনা আর তার ফল সম্পর্কে। নতুন এই সাইটকে অত্যাচারিত লোকের জন্য কোপেনহাগেন আন্তর্জাতিক পুনর্বাসন কাউন্সিল ও সমর্থন করে।
এই উদ্যোগের প্রথম সফলতা হল “রামি: তামি এল আমাদিদ গ্রামের একটি গল্প”- মিশরের একটা গ্রামের একজন তরুণের গল্প যাকে ২০০৮ সালে পুলিশ নির্যাতন করে একটা হত্যার স্বীকারোক্তির জন্য যেটা সে করেনি।
ওয়ায়েল আব্বাস অনুসারে, মনে হচ্ছে যে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যারা পুলিশ বাহিনীর দুর্নীতি আর লাগাতার অত্যাচারের ঘটনা তুলে ধরেছেন। সামেহ এল আরুসী, যিনি পুলিশ স্টেশনে অত্যাচারের অনেক ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন, তার কাছ থেকে ওয়ায়েল একটি বার্তা পেয়েছিলেন যে তাকে লিবিয়াতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বার্তাতে বলা হয়েছে:
الأخ والزميل العزيز / وائل عباس
تحية طيبة ,,
نحيطكم علما بأنني قد أعتقلت من قبل الأمن الداخلي الليبي لمدة 43 يوم في حبس إنفرادي بأحد مقرات الأمن الداخلي الليبي بتحريض من ضابط الإتصال بالقنصلية المصرية ويدعي اللواء هشام النجار والذي توعدني
كما قاموا بمصادرة جهازين لاب توب والباسبور الخاص بي
وتم الإفراج عني بعد أن وقعت علي تعهد بعدم إنتقاد النظام المصري علي المدونة أوعلي أي موقع علي شبكة الإنترنيت
وأنا الأن ومنذ ما يقرب من العام لم أتسلم جواز السفر ولا أجهزة الكمبيوتر ومحدد إقامتي بمدينة قمينس والتي تبعد عن مدينة بنغازي ب50 كيلو
আপনাকে জানাচ্ছি যে আমাকে লিবিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে আর ৪৩ দিন ধরে একা আটক করে রেখেছে। আমার গ্রেপ্তার আর ধরে রাখাকে প্ররোচনা দিয়েছে জানারেল হিশাম এল নাগগার – যিনি মিশরীয় কন্সুলেটের একজন তথ্য অফিসার। আমার দুটি ল্যাপটপ আর মিশরীয় পাসপোর্ট আটক করা হয়েছে আর আমাকে ছাড়া হয় যখন জোর করে একটা স্বীকারোক্তিতে সই করিয়ে নেয় তারা যে আমি কথা দিচ্ছি মিশরী শাসক সম্পর্কে আমার ব্লগ বা অনলাইনে কোথাও আমি সমালোচনা করবো না। আজকে, প্রায় এক বছর ধরে, আমি আমার পাসপোর্ট বা ল্যাপটপ ফেরত পাইনি, আর আমি প্রায় নির্বাসিত আছি কামিনিস শহরে, যা বেন গাজি শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে।
ওয়ায়েল এই বার্তা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন:
وانها لن تتسامح وأن لها ثأرا يتخطى حدود البلاد
فأنقذوا من كشفوا التعذيب