বরাবরের মতো টুইটার জগত এবারকার বিশ্বকাপ ফুটবলের ১২ই জুনের একটি খেলা নিয়ে মুখর ছিল: যুক্তরাষ্ট্র বনাম যুক্তরাজ্যের খেলা। খেলাটি যুক্তরাষ্ট্রে সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছিলেন, যেখানে টিভির বিজ্ঞাপন সেটাকে বিশ্বকাপের সব থেকে অপেক্ষার খেলা বলে অভিহিত করেছে। আর ইংল্যান্ডের দেশ ভরে সমর্থকরা মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন যে তাদের দল জিতবে। উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও টুইট জগৎ এ নিয়ে মজা করার কিছু সময় পেয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্রিটিশ- সিরিয়ান তার সিরিয়ানিউজ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিষ্কার জানিয়েছেন কে জিতবে বলে তিনি মনে করেন [1]:
আমি বেশ খুশি হবো দেখতে যা আগামীকাল ইংল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রকে লজ্জিত করবে। এটা ‘ফুটবল’ যা নিয়ে আমি বলছি।
খেলা যখন চলছিল, গ্লোবাল ভয়েসেস এর নিজের ২০১০ নামক টুইটার অ্যাকাউন্টে [2] যুক্তরাষ্ট্র দল সম্পর্কে একটা মজার কথা জানিয়েছে:
যুক্তরাষ্ট্র দলের ২৩ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ১১ জন এমন পরিবার থেকে আসে যেখানে তাদের বাবা মার মধ্যে একজন বিদেশে জন্মেছে।
ওয়াশিংটন ডিসির ফাদি এলসালামিন, যিনি সবার সাথে খেলা দেখছিলেন, বলেছেন [3]:
আমেরিকার আক্রমণভাগ কোথায়? আমার পাশের একজন চিৎকার করে জানিয়েছেন “ইরাকে?”
বেলজিয়াম/দক্ষিণ আফ্রিকার সিসিওয়ামি জানিয়েছেন [4], হয়তো কিছুটা গর্ব নিয়ে, যে সবার চোখ এখন দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে:
এখন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের সবাই দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে তাকিয়ে আছে
আমেরিকার ফুটবলের তুলনা দিয়ে, এর সাড়াতে মিশরীয় আলা আবদ এল ফাত্তাহ মজা করেছেন [5]:
@খাদিজাপ্যাটেল @সিসিওয়ামি হ্যাঁ, পুরো আমেরিকা ভাবতে থাকবে কখন তারা গোল করবে!
ব্রিটিশ জেমস কুক সাম্প্রতিক বিপি তেল পড়ার ঘটনার উল্লেখ করেছেন, [6] শব্দ নিয়ে এই খেলায়:
আমেরিকানরা এখন ব্রিটিশদের (তেল) ফেলে দেয়া উদযাপন করবে, পরিবর্তন হিসাবে।
বেলফাস্ট থেকে কিথ এন্ডারসন ও তেল পড়া নিয়ে মজা করার একটি পথ পেয়েছেন [7]:
হে ইংল্যান্ড, আপনাদের গোলরক্ষক আপনাদের তেলের রিগের মতই লিক করে। #ওয়ার্ল্ডকাপ [8] [9] #ইউএসএ [10] [11] #ইং [12] [13] #আইলাভডিগকমেন্টস [14]
খেলা যখন শেষ হচ্ছিল, এটা পরিষ্কার ছিল যে আমেরিকার ভক্তরা- অন্তত সাময়িকভাবে- ভালোবাসার জন্য নতুন একটা খেলা পেয়েছে। মিসৌরির লরা বার পরবর্তী খেলার অপেক্ষায় আছেন:
#ইউএসএ মাত্র একটি খেলেছে #বিশ্বকাপ এর খেলা আর এরই মধ্যে আমার গলা বসে গেছে। [15] আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে বাকি খেলার সময় আমার গলা পুরুষের মতো শোনাবে।