- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইকুয়েডর: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের ইকুয়েডর ভ্রমণ

বিষয়বস্তু: ল্যাটিন আমেরিকা, ইকুয়েডর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, তাজা খবর, নাগরিক মাধ্যম, রাজনীতি, সরকার

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী [1] হিলারি ক্লিন্টন ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে অনুষ্ঠিত চার ঘন্টার একটি অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মধ্যাহ্নে ইকুয়েডর সরকারের সদর দফতর কারন্দেলেত প্রাসাদে [2]-এ ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতির এবং দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্রসংঘের (সাউথ আমেরিকান নেশন ইউনিয়ন বা ইউএনএএসইউআর) অস্থায়ী প্রধান রাফায়েল কররেয়ার [3] সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য ক্লিনটন সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। হিলারি ক্লিনটন তার বার্তাতে জোরালো ভাবে বলেছেন, “একবিংশ শতাব্দীর সমস্যা সমাধান করতে যুক্তরাষ্ট্র ইকুয়েডর এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গী হতে চায় [4]। [স্প্যানিশ ভাষায়]

[5]

সংবাদিক সম্মেলনের সময় কারন্দেলেত প্রসাদের হলুদ কক্ষে হিলারী ক্লিনটন ও কাররেয়া। ছবি প্রেসিডেন্সিয়া ডে লা রিপাবলিকা ডেল ইকুয়েডোরের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূত লুইস গালেগোস এক উদ্ধৃতিতে বলেছেন [স্প্যানিশ ভাষায়] [6], ক্লিনটন অভিবাসন, পারস্পরিক সহযোগিতা, বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মত বিষয় আলোচনা করার জন্য কররেয়া এর সঙ্গে দেখা করেন [স্প্যানিশ ভাষায়]। গালেগোস জোরাল ভাবে বলেছেন, তারা অভিবাসন নিয়ে আলোচনা করছে এবং সভায় আলোচনার বিষয় সূচিতে প্রথমেই ছিল তথাকথিত আরিজোনা আইনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি। এক হিসাব অনুসারে ইকুয়েডরের আনুমানিক প্রায় ২ লক্ষ লোক যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে; কাজেই অভিবাসন-সংক্রান্ত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ইকুয়েডেরবাসীদের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। গালেগোস উপসংহারে বলেন, ইকুয়েডর এবং ল্যাটিন আমেরিকাকে (আমেরিকার স্প্যানিশ ও পর্তুগীজভাষী অংশ) বিশ্বের ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রের সাথে কথা বলার সময় আতঙ্কিত না হতে শিখতে হবে।

৮ জুন কুউটোতে কি ঘটেছিল সিআরই ব্লগ [স্প্যানিশ ভাষায়] [7] তার সার-সংক্ষেপ করেছে। বেশির ভাগ অংশের ক্ষেত্রে তারা বলছে যে, দুটি দেশ জানাচ্ছে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তারা এক সাথে কাজ করার ব্যপারে একমত হয়েছে। কররেয়া বলেন. দুটি দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে ঠিক, তারপরে সেগুলোর সমাধান করা গেছে; এর সাথে তিনি যোগ করেন তারা বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছেন, যেমন গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই, এবং অভিবাসন। এছাড়াও কররেয়া বর্ণনা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ভ্রমণের পর দুটি দেশ আরো বড় লক্ষ্য অর্জনে একসাথে কাজ করে যাবে।

টুইটার ব্যবহারকারীরা ক্লিন্টনের ইকুয়েডর পরিদর্শন সম্বন্ধে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছে। পাবলো কজ্জোগিলিওর [স্প্যানিশ ভাষায়] [8] (@কজ্জোগিলিও) মত কিছু ব্যবহারকারী বিস্মিত:

[…] Qué buscarán los gringos, con ese súbito interés por Ecuador?

[…]গ্রিঙ্গো (আমেরিকার নাগরিক) হঠাৎ ইকুয়েডরে কি খোঁজার চেষ্টা করছে?

অন্যদিকে, অ্যান্ডি মারতিনেয [স্প্যানিশ ভাষায়] [9] (@এনড্রেস৭৮) বেশ আশাবাদী । সে টুইটার বলেছে:

Hillary Clinton en Ecuador….quizas algo esta cambiando?

হিলারি ক্লিনটন ইকুয়েডর-এ, হয়ত কোন পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে?

উত্তর আমেরিকার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ক্লিনটন কিছু প্রস্তাব উথাপন করেছে। তবে সকল ইকুয়েডরিয়ান তার পরিদর্শনে খুশি ছিল না। বামপন্থী একটিভিস্টদের একটি দল [স্প্যানিশ ভাষায়] [10]কারন্দেলেত প্যালেস এর বাইরে প্রতিবাদ করেছে; তারা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ আগমনে আপত্তি জানিয়েছিল এবং এমনকি তারা যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেয়। বাধাদানকারীদের পপুলার ডেমেক্রেটিক মুভমেন্ট (এমপিডি [11]) এবং ইকুয়েডরের মার্ক্সবাদীলেনিনপন্থী সাম্যবাদী দল (মার্ক্সসিষ্ট লেলিনিষ্ট কমিউনিস্ট পার্টি বা (পিসিএমএলই [12]) সদস্য হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছিল। তারা চিহ্ন দেখিয়েছিল যে” বর্ণবাদী অভিবাসন আইন প্রত্যাহার করো“এবং “হিলারী ক্লিন্টন ইকুয়েডর ছাড় “।
তবে টুইটার ব্যবহারকারী ভিসেন্তে আলভারাদো [স্পেনিশ ভাষায়] [13]বিরোধীতাকারীদের সঙ্গে একমত নন। তিনি তার একটি টুইটে উদ্ধৃতি করেন:

Ecuador avanza en relaciones con USA… MPD atrasa pueblo,protestando contra de Clinton. Saben cuanto comercializamos con USA? Ignorantes

ইকুয়েডর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অগ্রগতি হচ্ছে… ক্লিনটনে সাথে বিরোধ তৈরির মাধ্যমে এমপিডি জনগণকে পিছনে ধরে রেখেছে। তারা কি জানে আমরা কি পরিমাণ দ্রব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করি?