ফ্রিডম ফ্লোটিলা ত্রাণ বহরের সমর্থনে বিক্ষোভ চলছে বিশ্বব্যাপী

এমভি মাভি মারমারা জাহাজে ইজরায়েলি বাহিনীর হামলার ফলে নয়জন নিহত আর অনেকে আহত হয়েছেন, এবং এর ফলশ্রুতিতে বিশ্বব্যাপী গাজার জন্য সমর্থনের জোয়ার দেখা গেছে। বেশ কিছু দেশ, যার মধ্যে তুরস্ক, ইকুয়েডর আর দক্ষিণ আফ্রিকা আছে, তারা ইজরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফেরত নিয়েছেন, আর অন্যরা এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে করানোর দাবি করেছেন। নিকারাগুয়া একধাপ এগিয়ে গিয়ে, ইজরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে

একই সময়ে, বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ হচ্ছে। স্স্টকহোম থেকে সাও পাওলো পর্যন্ত, কর্মীরা আর সচেতন নাগরিকরা পথে নেমে এসেছেন এই সংঘাত আর ইজরায়েলের লাগাতার গাজার অবরোধের প্রতিবাদ জানাতে।

কাছের বৈরুতে, বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে তুরস্কের পতাকা নিয়ে মাভি মারমারার সমর্থন করতে।

বৈরুতে বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে তুরস্কের পতাকা নিয়ে মাভি মারমারার সমর্থন করতে। ছবি মোখতার জোন্দির।

বৈরুতে বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে তুরস্কের পতাকা নিয়ে মাভি মারমারার সমর্থন করতে। ছবি মোখতার জোন্দির।

অর্ধেক পৃথিবী ঘুরে বোস্টনে, আমেরিকান বিক্ষোভকারীরা ইজরায়েলি কন্সুলেটের বাইরে সমবেত হন, ফিলিস্তিনি পতাকা নাড়িয়ে আর প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ইজরায়েলের কাজের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপনের আহ্বান জানিয়ে।

বোস্টনবাসী ইজরায়েলি কন্সুলেটের বাইরে সমবেত হয়েছেন। ছবি আনাস কিতেশ

বোস্টনবাসী ইজরায়েলি কন্সুলেটের বাইরে সমবেত হয়েছেন। ছবি তুলেছেন আনাস কিতেশ

বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়াতে বিক্ষোভকারীরা বিশাল ফিলিস্তিনি পতাকা তুলেছে গাজার সাথে সংহতি দেখাবার জন্য।

বু্লগেরিয়ার বিক্ষোভকারীরা বিশাল ফিলিস্তিনি পতাকাসহ, ছবি রুসলান ত্রাদ।

বু্লগেরিয়ার বিক্ষোভকারীরা বিশাল ফিলিস্তিনি পতাকাসহ, ছবি তুলেছেন রুসলান ত্রাদ।

নিউ ইয়র্ক শহরের বিক্ষোভকারীরা জনবহুল টাইমস স্কোয়ার ভরিয়ে ফেলেছে ফিলিস্তিনি পতাকা আর সমর্থনের চিহ্নে।

নিউইয়র্কের বিক্ষোভকারীরা একটা প্লাকার্ড নিয়ে ঘুরছেন যেখানে লেখা: 'ইজরায়েল আত্মরক্ষার্থে বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।' ছবি অ্যাস্টেরিক্স৬১১ এর সৌজন্যে।

নিউইয়র্কের বিক্ষোভকারীরা একটা প্লাকার্ড নিয়ে ঘুরছেন যেখানে লেখা: ‘ইজরায়েল আত্মক্ষার্থে বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।’ ছবি অ্যাস্টেরিক্স৬১১ এর সৌজন্যে।

লন্ডনে র‍্যাপার আর কবি লোউকি একটা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন আর অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের সাথে স্লোগান দিয়েছেন, ‘আমরা এটা আর সহ্য করতে পারি না!’। হ্যাভ আ গুড টাইম নামের ব্লগার লোউকির আসা নিয়ে লিখেছেন:

লোউকি তার ব্রিটিশ দর্শকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে তাদের চুপ থাকা ফ্লোটিলাতে ইজরায়েলি আক্রমণ আর গাজায় ইজরায়েলি অবরোধে অংশগ্রহনের সমান। “আমরা আমাদের প্রদত্ত করের মাধ্যমে ওখানে ছিলাম: যেসব গুলি আমাদের ভাই, বোন আর বন্ধুদের উপর ছোঁড়া হয়েছে তাতে আমাদের করের টাকা ছিল…আমাদের করের টাকা সেখানে ছিল, আমাদের বালফুর ঘোষণা সেখানে ছিল।“ কিন্তু লোউকি এই দু:খজনক কথা মনে করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি গাজার প্রতি একাত্মতার আহ্বানে সরে এসেছেন। “তারা যখন গাজার উপরে সাদা ফসফরাসের বোমা ফেলে, তারা আমাদের উপরে সাদা ফসফরাসের বোমা ফেলে…এইসব মানুষের সাথে আমাদের একাত্মতা জানানো দরকার, কারন তারা আমরাই।“ আমরা কেবলমাত্র ফ্রিডম ফ্রোটিলা না, আমরাও গাজা। এটা জানার সাথে সাথে যে আমরা গাজার উপরে বিপদ ফেলছি, আমরা সেই ক্ষতি নিজেরাও অনুভব করছি যেন সেটা আমাদেরকেও আঘাত করেছে।

বিক্ষোভটি ভিডিওতে রেকর্ড করা হয়:

গ্লোবাল ভয়েসেস এর লেখক রাফায়েল সাভকো গার‌সিয়া ব্রাজিলের সাও পাওলোতে একটা বিক্ষোভের ছবি তুলেছেন যেটা তিনি তার ব্লগে পোস্ট করেছেন বিক্ষোভের বিবরণসহ।

সাও পাওলোতে বিক্ষোভকারীরা টিশার্ট পরেছে যেখানে লেখা আছে “আমি ফিলিস্তিনি।“ ছবি রাফায়েল সাভকো গার্সিয়া।

সাও পাওলোতে বিক্ষোভকারীরা টিশার্ট পরেছে যেখানে লেখা আছে “আমি ফিলিস্তিনি।“ ছবি রাফায়েল সাভকো গার্সিয়া।

O protesto em si foi breve, durou cerca de uma hora, mas os discursos foram enérgicos e emocionados. Gritos de “Israel Genocida”, “Israel Nazista” e “Palestina Livre” eram constantes e distribuímos muitos folhetos entre quem passava. Estes, aliás, em geral nos apoiava, acenando, comentando que era um absurdo a situação dos Palestinos e repudiando Israel e suas ações criminosas.
[…]
Foi um ato pequeno mas cheio de significado. Pelo menos algumas poucas pessoas mostraram seu desagrado, seu repúdio e deixaram claro que não tolerarão mais agressões.

বিক্ষোভটা স্বল্প সময়ের জন্য ছিল, প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী, কিন্তু বক্তব্য উত্তেজনাকর আর মন থেকে ছিল। ‘ইজরায়েল গণহত্যাকারী’, ‘ইজরায়েল নাজি’, আর ‘প্যালেস্টাইনকে মুক্ত কর’ ডাক লাগাতার শোনা যাচ্ছিল আর পাশ দিয়ে যাওয়া লোকদের কাছে আমরা প্রচারপত্রও বিলি করেছি। তারা, আমাদেরকে অনেকটা সমর্থন করেছেন, হাত নেড়ে, মন্তব্য করে যে ফিলিস্তিনিদের জন্য এটা একটা অসম্ভব পরিস্থিতি আর ইজরায়েল আর তাদের অপরাধী কাজকে ঘৃণা প্রকাশ করে।
[…]
এটা ছোট একটা প্রদর্শন ছিল কিন্তু অর্থপূর্ণ। অন্তত কিছু মানুষ তাদের অপছন্দ জানিয়েছেন, তাদের ক্ষোভ আর এটা পরিষ্কার করেছেন যে তারা এ ধরনের আর কোন আক্রমণ সহ্য করবেন না।

পরিশেষে, ইজরায়েল তার নিজের নাগরিকদের সমালোচনা থেকে মুক্ত ছিল না। তেল আবিবে, বিক্ষোভকারীরা দখলের বিরুদ্ধে প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এই চিত্রগ্রাহক অনুসারে, একজন বিক্ষোকারীকে আটক করা হয়, সাথে একজন বিক্ষোভ বিরোধীও গ্রেফতার হয়েছিল।

ছবিতে ক্লিক করুন আরও ছবি দেখতে এবং হিব্রু লেখার অনুবাদ পড়ার জন্যে। ছবি ফটোস ফ্রম জিয়নের সৌজন্যে

বিক্ষোভকারীরা বন্দর শহর আশদোদেও সমবেত হন, পুলিশের বারবার চেষ্টা তাদের তেল আবিবে পাঠানোর সত্ত্বেও।

আশদোদের সমুদ্র সৈকতে বিক্ষোভকারীরা দাড়িয়ে আছেন। ছবি মিয়া গুয়ারিনিয়েরির সৌজন্যে।

আশদোদের সমুদ্র সৈকতে বিক্ষোভকারীরা দাড়িয়ে আছেন। ছবি মিয়া গুয়ারিনিয়েরির সৌজন্যে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .