ডেজান ভেলকোভস্কি ওরফে ভনুকট [নাতি] ম্যাসেডোনিয়ার একজন ব্লগার ও লেখক যিনি এবারের বিশ্বকাপের প্রথম তিন দিনের ফুটবল খেলা দেখে হতাশ। তিনি এসব খেলাকে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে অভিহিত করেছেন [ম্যাসেডোনিয়ান ভাষায়]।
ভনুকট মনে করে যে রক্ষণশীল কৌশল বা বাংকার ট্যাকটিস (যুদ্ধের সময় গর্ত খুড়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করার কৌশল) খেলার মজাকে মাটি করছে, কারণ কোচেরা দলের সব “খেলোয়াড়দের গোলের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখছে” এবং সুযোগ পেলে পাল্টা আক্রমণে যাচ্ছে। তিনি মনে করেন ট্রাম্পেটের (ভুভুজোলা নামক দক্ষিণ আফ্রিকার তূর্য বা জোরালো আওয়াজ করা বাঁশি) ক্ষেত্রে ব্লাটারের নেওয়া সিদ্ধান্তটিকে বিবেচনা করা যায় সবচেয়ে বিপর্যয়কর বলে। যে বিষয়টি ফুটবলকে ধ্বংস করেছে তা হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক তস্করদের প্রিমিয়ার লীগের (ইংল্যান্ডের প্রথম বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা) দলগুলোকে কেনার অনুমতি প্রদান করা হয়। এর চূড়ান্ত ফল হচ্ছে “চমৎকার পরিবেশ” নষ্ট হচ্ছে টিভির ধারাভাষ্যকারদের দ্বারা, যারা একটি দাবা প্রতিযোগিতার চেয়ে কম উত্তেজনার সাথে এই প্রতিযোগিতায় ধারাভাষ্য প্রদান করছে।
এর বাইরেও, প্রচার মাধ্যম যে ভাবে এই প্রতিযোগিতার সংবাদ প্রদান করছে, ভনুকট তার সমালোচনা করছে:
ম্যাসেডোনিয়ার প্রচার মাধ্যম এই বিশ্বকাপ তুলে ধরতে অনিচ্ছুক। তারা গতানুগতিকভাবে সংবাদ প্রদান করছে। তারা সর্বশেষ পর্যন্ত একঘেয়ে ভাবে সংবাদ প্রদান করে যাচ্ছে, কি ভাবে পুরুষেরা কেবল ফুটবল খেলা দেখছে এবং মেয়েদের এ ক্ষেত্রে আর কিছুই করার নেই। সংবাদপত্রগুলো তোতা পাখির মত কিছু নিয়মের তালিকা বলে যাচ্ছে- অন্যরা অখাদ্য জিনিস উগরে দিচ্ছে। এসব পাঠ করা মহান কিছু, সেই সমস্ত লোকের জন্য, সময়গত কিছু অস্বাভাবিকতাকে ধন্যবাদ, তারা ১৯৫০ এর দশকে আটকে রয়েছে!
বলা যায় আমার বেশিরভাগ মেয়ে বন্ধু আমার চেয়ে বেশি ফুটবল পাগল। যে সব খেলার সাথে তারা আবেগে জড়িয়ে রয়েছে, সেই সমস্ত খেলা চলাকালীন সময়ে যদি আপনি টিভির শব্দ কমিয়ে দেবার চেষ্টা করেন, তা হলে তারা আপনার হাত কেটে ফেলবে। আমি চ্যানেল পাল্টে ফেলার কথা উল্লেখ করলাম না, এক্ষেত্রে আপনার শাস্তি হতে পারে পুরুষত্ব হরণ। অন্যদিকে আমার অনেক পুরুষ বন্ধুর ফুটবল খেলায় কোন রকম আগ্রহ নেই। এবং এ সকল কিছুই একেবারে স্বাভাবিক এমন এক সময়, যখন সকলেই তাদের নিজস্ব আগ্রহকে অনুসরণ করে, প্রতিবেশীরা কি বললো সেই বিষয়টি মাথায় না রেখেই। এটা সকলের নিজস্ব মানসিকতার বিষয়।