- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

জাপান: হুমকির মুখে সিনেমা হলগুলো “দি কোভ” এর প্রদর্শনী বাতিল করছে

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, জাপান, চলচ্চিত্র, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা

প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ডানপন্থীরা অস্কার বিজয়ী তথ্যচিত্র “দি কোভ [1]” [ইংরেজী ভাষায়] প্রদর্শনের বিরোধিতা করছে [2]। এদিকে তিনটি হল বা থিয়েটার এই তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে:

এই বিতর্কিত ছবি যা ডলফিনদের নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য ধারণ করেছে, যা তাজির কাছে এক সাগরের খাঁড়ির মাঝ থেকে তোলা হয়েছে। তাজি, জাপানের দক্ষিণ উপকূলের এক ছোট্ট গ্রাম এবং ঐতিহাসিকভাবে এই এলাকা তিমি শিকারের উপর নির্ভরশীল। জাপানের সিনেমা হলগুলোতে জুনের শেষ সপ্তাহ এই ছবিটি প্রদর্শিত হবার [3] কথা ছিল [ইংরেজী ভাষায়]।

কিন্তু বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানে আসা বেশ কিছু হুমকি ও অফিসের সামনে করা প্রতিবাদের মুখে টোকিওর দুটি এবং ওসাকার একটি সিনেমা হল এটিকে প্রদর্শন করতে অস্বীকার করে। বাকী ২৩ টি হল এটিকে প্রদর্শন করতে রাজী হয়েছে, কিন্তু এখনো তার তারিখ নির্ধারণ করেনি।

যদিও সামান্য কয়েকজনেরই এই ছবি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তারপরে এই তথ্যচিত্রটিকে জাপানের অনেকেই জাপান বিরোধী হিসেবে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছে।

এর সুনাম একে ছাড়িয়ে গেছে এবং এটি জাপানে কুখ্যাত ছবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, যেটিতে একদল আমেরিকান জাপানের মাটিতে স্থানীয় জেলেদের বোকা বানিয়েছে এবং জাপানের ঐতিহ্যকে সমালোচনা করেছে।

কি নি নারু নিক্কির [4] ব্লগার বলছে, সে উপলব্ধি করেছে এই প্রতিবাদের কারণ কি।

日本人は一般的にいるかの肉を食べいないもの。。。
ザコーヴへ抗議が殺到するのも、分かります。。。
でもちょっと、見たいかな。。。ザコーヴの書籍でも読もうかな。

আমি বুঝতে পারি প্রতিবাদকারীরা কেন “দি কোভের” বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে
কারণ জাপানী লোকেরা সাধারণত ডলফিনের মাংস খায় না…কিন্তু এই ছবিটি দেখার আমার সামান্য উৎসাহ রয়েছে…
হয়ত আমি এই বইটি পড়ব
'The Cove' poster. By Christopher Carr. CC License. [5]

‘দি কোভ এর পোস্টার। ছবি ক্রিস্টোভার কার-এর। সিসি লাইসেন্স এর অধীনে তা ব্যবহার করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত “দি কোভ” একমাত্র যেখানে প্রদর্শিত হয়েছে সেটি হচ্ছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিম ফেস্টিভাল বা টিআইএফএফ)।যদি প্রাথমিকভাবে সেখানে এই তথ্যচিত্রটিকে প্রদর্শন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল [6] [ইংরেজী ভাষায়]।

এই চলচ্চিত্র, যেখানে উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন ছদ্মবেশী উচ্চ প্রযুক্তির ক্যামেরা (ক্যামোফ্লোজ হাই ডেফিনেশন ক্যামেরা), ডলফিন শিকার প্রতিরোধ কর্মীরা গোপনে ডলফিনকে হত্যার দৃশ্য এবং কালোবাজারে তিমির মাংস বলে ডলফিনের মাংস বিক্রির দৃশ্য ধারণ করে। এছাড়াও তারা পারদের ব্যবহারের বিপদের উপর গুরুত্ব প্রদান করেছে, তথাকথিত মিনিমাতা ঘটনার [7][ইংরেজী ভাষায়] পর বিষয়টি জাপানে বেশ পরিচিত।

উমিকারাহাজিমারুর [8] ব্লগার যিনি টিআইএফএফ-এ ছবিটি দেখেছেন, দেখার পর এর পক্ষপাতের ধরন ও অতিরিক্ত আবেগী স্বরে নির্মানের কারণে এর সমালোচনা করেছেন। তার মন্তব্যে এটা উঠে এসেছে যে, এই তথ্যচিত্র সংবাদ প্রদানের মত করে তৈরি করার বদলে একটিভিস্ট বা কর্মীদের লেখনীতে তৈরি হওয়া চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছে।

それはともかく、私が残念だと思うのは、太地町のことでも、この映画の作り手のことでもなくて、この映画の受け手のこと、つまり、こんな論理性もなく、具体的な論拠も証拠も示せずに、観客の情緒に訴えかけることで共感を得ようとするような、ドキュメンタリー映画とも言えないような代物を、最優秀ドキュメンタリー賞に選ぶアメリカ人が非常に多いことです。

এই চলচ্চিত্রের যে দিকটির আমি সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করব তা তাইজিতে যে ঘটনার কথা এই ছবি বলে সে বিষয়টির নয়, এমনকি কে এটা বানিয়েছে তাও নয়, অন্য কথায় বলা যায় অনেক আমেরিকানকে সেরা তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে যা আমার দৃষ্টিতে এমনকি তথ্যচিত্র বলে অভিহিত করার যোগ্য নয়। এটি কোন ধরনের স্পস্ট প্রমাণ ছাড়াই দর্শকদের কাছে সহানুভূতির জন্য আবেদন তৈরি এবং তাদের সহানুভূতি অর্জন করে এবং এই তথ্যচিত্রে যুক্তির অভাব রয়েছে।

[…]

太地町側は、『ザ・コーヴ』の上映中止に躍起になっているようですが、そういう活動は、かえって都合の悪いことを隠しているようにも見えるし、逆に、『ザ・コーヴ』を観てみたいという人を増やすことにもなるように思います。上映してみれば、「ひどい映画だ」という噂がさあーっと広まって、案外、早々に騒ぎが沈静化するということもあるかもしれません。

 

মনে হচ্ছে যে তাইজির লোকজন সিনেমা হল বা থিয়েটার থেকে এটিকে নামিয়ে ফেলতে চাইছে, কিন্তু এই কারণে মনে হচ্ছে যে তারা খারাপ কিছু লুকাতে চাইছে। এটার হয়ত ঠিক এর বিপরীত প্রভাব তৈরি করতে পারে এবং যে সমস্ত জাপানীরা এই ছবিটা দেখতে আগ্রহী তাদের সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলতে পারে। যদি তারা এই ছবিটিকে দেখতে দেয় এবং যদি ছবিটি প্রদর্শিত হয়, তা হলে হয়ত গুজব ছড়িয়ে পড়বে যে “ এটা “খুব বাজে ছবি’ এবং এই সমস্ত গুঞ্জন চোখের পলকে হারিয়ে যাবে।


প্রচারণায় প্রদর্শনের জন্য তৈরি ‘দি কোভের” সংক্ষিপ্ত অংশ

তবে ডানপন্থী কর্মী বা একটিভিস্টদের হুমকি সত্ত্বেও জাপানের জনগণ এই ছবির ব্যাপরে মত আলাদা করেনি । এই ঘটনায় অনেকে ২০০৮ সালের মত এক অবস্থায় রয়েছে, যখন তথ্যচিত্র ‘ইয়াসুকুনি [9]’ [ইংরেজী] (যা ইয়ুসুকুনি শিরিন বা সমাধিমন্দির সম্বন্ধে) সিনেমা হল থেকে একই ভাবে অপসারণ করা হয় [10] [ইংরেজী ভাষায়] কারণ এটিকে “জাপান বিরোধী” তথ্যচিত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। .

একই সময় জাপানের ৫৫ জন বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা এই প্রদর্শন বাতিল করার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নীতি প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছেন। তারা এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে যেখানে তিনি বলছেন, তারা যে কোন চলচ্চিত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা বা সেন্সরশিপ আরোপের বিপক্ষে এবং সেই সমস্ত চলচ্চিত্র এবং লোকজনকে সমর্থন জানাবেন, যারা হুমকির শিকার।

রেনজাকুডো এই বিবৃতির লেখা [11] তার ব্লগের মাধ্যমে আমাদের জানাচ্ছেন।

こういう事態が一般化すると、評価が分かれるような問題作というべき映画は上映できないことになってしまいます。そもそも海外では広く公開されているこの映画が、作品で描かれた当事国の日本で公開できないというのは、日本における「言論表現の自由」がいかに脆弱かを示す事柄といえましょう。

যদি এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়, তা হলে যে কোন বিতর্কিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে যা জনতার মতামতকে বিভক্ত করে ফেলতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে এ রকম একটি ছবি যা বিদেশের অনেক জায়গায় প্রদর্শিত হচ্ছে এবং জাপানকে তুলে ধরছে তা স্বয়ং জাপানে প্রদর্শন করা যাচ্ছে না, এতেই বোঝা যায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা এই দেশে কতটা ক্ষণভঙ্গুর।