- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মিশর: বিদায় ওসামা আনোয়ার ওকাশাহ

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., মিশর, চলচ্চিত্র, তাজা খবর, ধর্ম, নতুন চিন্তা, নাগরিক মাধ্যম, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, শিল্প ও সংস্কৃতি

ওসামা আনোয়ার ওকাশাহ মিশরের অন্যতম বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার এবং বিগত ২৫ বছর ধরে প্রচারিত হওয়া প্রায় সকল মিশরীয় সোপ অপেরার (সোপ অপেরা-মূলত নির্দিষ্ট জায়গাকে বা ঘরের ভেতরে তৈরি হওয়া কাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া ধারাবাহিক টিভি নাটক) লেখক। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

মিশরের প্রতিক্রিয়া:
শুক্রবারে তিনি মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আহমেদ শউকির লিখেছেন যে কি ভাবে তিনি ইতোমধ্যে তাঁর লেখার অভাব অনুভব করছেন [1]:

وداعا يا من علمنا أن حب هذا الوطن من حب أبناءه.. وداعا يا أعظم من كتب دراما في هذا التاريخ المزدحم.. أول مرة في حياتي أجد نفسي فعلا عاجزا عن التعبير والرثاء.. وحشتنا.. والله وحشتنا من دلوقتي
সেই ব্যক্তিকে বিদায় জানানো, যে আমাদের দেশের মানুষকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। এই জাতীর ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা চিত্রনাট্যকারকে বিদায় জানাচ্ছি। আমার জীবনে এই প্রথম কোন বেদনা ও শোক প্রকাশের জন্য আমি কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা তোমার অভাব অনুভব উপলব্ধি করবো। ইতোমধ্যে আমরা তোমার অভাব অনুভব করতে শুরু করেছি।

মিনা তার ব্লগ ভযেস অফ ইজিপ্ট ওকাশাহর মৃত্যু এবং এ ক্ষেত্রে নিজস্ব মন্তব্য সম্বন্ধে লিখেছে:

رحل عنا أروع كاتب سيناريو في الدراما التليفيزيونية و أفضل من عبر عن المصريين و منحهم أصدق صورة عنهم. مسلسلات أسامة أنور عكاشة هي أروع دراسة للشخصية المصرية في ال١٠٠ سنة الأخيرة
মিশরের সেরা চিত্রনাট্যকার মারা গেছেন। মিশরীয় লোকদের নিয়ে যারা লিখত তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে সেরা, এবং তার লেখা এই সমস্ত মানুষের সত্যিকারের জীবনচিত্র সফল ভাবে তুলে ধরেছিল। ওসামা আনোয়ার ওকাশাহর ধারাবাহিক লেখা বিগত ১০০ বছর ধরে মিশরীয় ব্যক্তিত্বের উপর তৈরি করে সেরা গবেষণা।

মিনা এরপর ওকাশাহর বিখ্যাত সব ধারাবাহিক নাটকগুলোর তালিকা তৈরি করেছে:

من ينسي ليالي الحلمية و أرابيسك و الشهد و الدموع و الرايا البيضا و أبو العلا البشري و زيزينيا و ضمير أبلة حكمت و امرأة من زمن الحب و أخيراً ملحمة المصراوية؟
কে ভুলে যেতে পারে “লায়লাই এল হেলমেইয়া”, “এ্যারাবেস্ক”, “এল শাহাদ এল দোমু”, “এল রায়া এল বেইদা” “আবু এল আলা এল বেশরি” “জেজিনিয়া”, “দামিদ আবলা হেকমাত”, “এমরা মেন জামান এল হব”, এবং সবেশেষে তার মহাকাব্য “এল মারাওইইয়া”-এর কথা?

আহমেদ শউকিরও তার ব্লগে লিখেছেন যে, কি ভাবে তিনি প্রথম ওকাশাহ সম্বন্ধে জানতে পেরেছিলেন [2]। তিনি তার মন্তব্য লেখা শুরু করেন ওকাশাহ-এর অন্যতম এক প্রথমদিককার সোপ অপেরা নিয়ে, যার নাম এল শাহাদ ওয়েল দোমু (মধু এবং কান্না) :

أتذكر أن بدايته الحقيقية كانت متأخرة في عام 82 عندما عرض له مسلسل الشهد والدموع للمرة الأولى .. عرض كمسلسل عادي دون أي دعاية أو بروباجندا .. شاهدته وبعد قليل من بداية الحلقة شعرت أنني أمام عمل فني مختلف .. سرعة الأحداث والربط بين اللقطات وعدم المط والتطويل الذي تشتهر به المسلسلات كان العلامة المميزة للمسلسل لدرجة أن الحلقة الواحدة بأحداثها تكفي لعمل مسلسل كامل
আমি স্মরণ করতে পারি তার সত্যিকারের খ্যাতি তৈরি হয় ১৯৮২ সালে যখন “এল শাহাদ ওয়েল দোমু” প্রথম প্রচারিত হওয়া শুরু করে। সে সময় এটাকে আর সব ধারাবাহিক নাটকের মত করেই প্রচার করা শুরু হয়, বিশেষ কোন বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা ছাড়াই তার প্রচার হওয়া শুরু হয়। আমি এটি দেখতে শুরু করি এবং কিছুদিনের মধ্যে উপলব্ধি করা শুরু করি আমি ভিন্ন কিছু এক ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী। এই অনুষ্ঠানের ধারা বা সিকোয়েন্স, এর দৃশ্য, এবং উভয়ের মধ্যে যে সংযোগ, এবং গুরুত্বহীন ঘটনা এবং মানসিক চাপ-এর অনুপস্থিতি, যে সমস্ত বিষয় ধারাবাহিকগুলোতে খুব সাধারণভাবে দৃশ্যমান। এই ধারাবাহিকের ওই সকল চরিত্র, খুব সহজেই চোখে পড়েছিল এবং এর ঘটনা প্রত্যেকটি পর্বকে এতটা ঘটনাবহুল করে তোলে যে, প্রতিটি পর্বকে অন্যটির চেয়ে আলাদা মনে হত।

এরপর আহমেদ ওকাশাহর মস্টারপীস বা সেরা নাটক লায়লাই এল হেলমেইয়া (এল হেলমেইয়া এলাকার রাত) সম্বন্ধে মন্তব্য লিখেছেন:

ثم جاءت تحفة أسامة انور عكاشة ليالي الحلمية والتي تعد من أهم المسلسلات التلفزيونية على مدار التاريخ حيث أحدثت ثورة في الكتابة التلفزيونية بل وأنشأت فناً جديداً مستقلاً إسمه الدراما التلفزيونية عرفنا من خلاله أننا لم نكن من قبل نشاهد فناً، كانت ليالي الحلمية هي نموذج لدراما الرأي والموقف باعثة للتأمل والتحليل، كانت دراما الإنسان النابعة من الشخصيات الحية والواقعية فكنا نشاهد أنفسنا وغيرنا داخل العمل دون إفراط ولاتزييف
এরপর আসে ওসামা আনোয়ার ওকাশাহর অন্যতম সেরা কাজ বা মাস্টারপীসের কথা। লায়লাই এল হেলমেইয়া নামক নাটকে আসা যাক, যাকে মিশরীয় টেলিভিশন চ্যানেলের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক নাটক হিসেবে বিবেচিত করা হয়। চিত্রনাট্যের জগতে এটি ছিল এক বিপ্লব এবং নতুন ধারার এক শিল্প প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে। ধারাবাহিক নাটকের শুরুতে যে সমস্ত সোপ অপেরা আমরা দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম, সেগুলো শিল্পের পর্যায়ে পড়ে না। লায়লাই এল হেলমেইয়া নতুন ধরনের লেখনীর উদাহরণ হয়ে উঠেছিল, যা দর্শকদের মনের ভেতর প্রবেশ করত এবং তাদেরকে এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে প্রশ্ন ও বিশ্লেষণ করতে এবং মন্তব্য করতে বাধ্য করত। এটি সত্যিকারের মানব চরিত্র অঙ্কন করতে সমর্থ হয়েছিল যেখানে আমরা আমাদের দেখতে পেতাম এবং এতে আমরা জানতাম এই সমস্ত চরিত্রগুলোকে অঙ্কন করা হয়েছিল তার উপর অতিরিক্ত বা মিথ্যা কোন গুরুত্ব আরোপ করা ছাড়াই।

أحزنى رحيل أسامة أنور

اقتحم عكاشة قضايا شائكة في ليالي الحلمية‏,‏ حيث قدم تاريخا موازيا لمصر في القرن العشرين‏,‏‏ أنصف ثورة يوليو بشكل حاسم‏,‏ بينما تناول الفساد في أحد أمتع أعماله الراية البيضاء للاستثنائية سناء جميل‏,‏ وخاض أعقد مشكلة عن هوية مصر في أرابيسك وزيزينيا‏
ওকাশাহর মৃত্যুতে আমি ব্যথিত।

ওকাশাহা “লায়লাই এল হেলমেইয়াতে” বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেখানে তিনি ২০ শতকের মিশরীয় ইতিহাসের ভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেছেন এবং তিনি বিপ্লবকে রক্ষা করেছেন। যেখানে তিনি তার সবচেয়ে কৌতুহলজনক ধারাবাহিক, “এল রায়া এল বেইদায়” দুর্নীতি নিয়ে লিখেছেন। এবং পরবর্তীতে তিনি মিশররের পরিচয় নিয়ে এরাবেস্কে ও জেজিনিয়াতে আলোচনা করেছেন।

সাধারণত লোকজন চলচ্চিত্র বা সোপ অপেরার ক্ষেত্রে চিত্রনাট্যকারকে নাম নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না, কিন্তু এখানে মোস্তফা আবদেল রাবায়ু তার ব্লগে ওকাশাহ সম্বন্ধে লিখেছে এবং জানাচ্ছেন কি ভাবে তার বেলায় এই মনোভাব বদলে গিয়েছিল: :

منذ أكثر من خمسة عشر عامًا كنت أشاهد هذه المسلسلات دون أن أعرف من هو كاتبها ، ولم أكن أكترث من الأساس ، فهي جيدة وكفى ، وأستمتع وأنا أشاهدها .
وبعد أن بدأ الوعي المراهق في التشكل ، بدأت أهتم ، فإذا بي أجد أن المسلسلات التي أحبها مؤلفها شخص واحد !
১৫ বছর আগে, আমি টিভি নাটক দেখার সময় চিত্রনাট্য লেখকের প্রতি তেমন মনোযোগ না দিয়েই নাটক দেখতে বসতাম।
যদি সেগুলো ভালো হত তা হলে আমি কেবল নাটকেই মনোযোগ দিতাম, কেন আমি লেখকের নাম নিয়ে ভাবতে যাব।
হ্যাঁ, যখন আমি আরো পরিণত হলাম তখন আমি লেখকের নাম নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম, এবং আমি উপলব্ধি করলাম যে সমস্ত নাটক আমি দেখতে ভালোবাসি তার সবগুলোই একজন ব্যক্তির লেখা।

এবং অন্যান্য আরব দেশের থেকে আসা প্রতিক্রিয়া

দেখে মনে হচ্ছে কেবল মিশরীয় ব্লগাররাই তার মৃত্যুতে ব্যথিত নয়, একই সাথে অন্য অনেক আরব দেশের ব্লগাররাও তার মৃত্যুতে ব্যথিত। জর্ডান থেকে রানিয়া এল গাব্বারে ওকাশাহ সম্বন্ধে লিখেছেন এবং কি ভাবে তিনি তার লেখার উপর প্রভাব বিস্তার করেছেন সেই কথা জানাচ্ছেন [3]। .

عندما عرفت الكاتب المصري أسامة أنور عكاشة من خلال المقابلات التلفزيونية لم أكن قد تجاوزت الرابعة عشرة من عمري, كنت أكتب الشعر والقصة, وأعتقد أن ما أكتبه هو الأفضل.
لم يردعني عن غروري آنذاك سوى سماعي له ولحنا مينا, لأشعر أن الدرب طويل, وأمامهم كنت أشعر أن كلماتي تحتاج للكثير, لتليق بها القراءة والمتابعة.
حينها كان الغرور يتحول إلى طموح, أسير نحوه ويصبح هؤلاء مع الزمن مشاعل تنير دربي.
واليوم انطفأ أحد هذه المشاعل..
صحيح أن ذلك لن يسبب لي التعثر, لكنه يؤلم, يشعرني أن أنوار الدنيا لو اجتمعت لا يمكنها أن تحل مكان ذلك النور
আমি টেলিভিশন-এ প্রদান করা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মিশরীয় লেখক ওসামা আনোয়ার ওকাশাহকে চিনেছি। সে সময় আমি ছিলাম এক তরুণী, বয়স ছিল ১৪ বছর। সে সময় আমি কবিতা এবং গল্প লিখতে ভালোবাসতাম। সে সময় আমি বিশ্বাস করতাম যে, আমি যা লিখছি সেটাই সবচেয়ে সেরা। কেবল তার কথা শোনা এবং হান্না মিনা টক শোর (টক শো-কথোপকথন ভিত্তিক আলোচনা সভা) মাধ্যমে আমি দেখতে পেলাম আমি আসলে কতটা বিনয়ী, এবং এর জন্য এখনো আমাকে অনেক দুর যেতে হবে। তারা আমাকে এই বিষয়ে পরিষ্কার করেছে যে, আমার লেখার ধারা তৈরির ক্ষেত্রে আমাকে আরো অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং তারা আমার ঔদ্ধত্যকে উচ্চকাঙ্খায় রূপান্তরিত করেছে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য একটা লক্ষ্য স্থির করতে সাহায্য করেছে। তারা যেন আমার রাস্তায় পথপ্রদর্শক আলো হয়ে উপস্থিত হয়েছিল এবং আজ সে রকম এক মোমবাতির আলো নিভে গেল। আমি এতে একেবারে ধ্বংস হয়ে যাব না, তারপরেও বিষয়টি বেদনাদায়ক, এবং এটা আমাকে অনুভব করায় যে আলো আজ আমরা হারিয়েছি, পৃথিবীর সকল আলো দিয়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।

এছাড়াও মোহামেদ আম্মননিউজ-এর সংবাদ পোস্টে মন্তব্য করেছেন [4]। তাতে তিনি বলেছেন, তার এ রকম চাওয়া ছিল যে, যদি আরেকজন ওসামা আনোয়ার থাকত, যে জর্ডানবাসীদের জন্য লিখতে, যে ভাবে ওকাশাহ মিশরীয় সমাজ নিয়ে লিখেছিলেন:

كم تمنيت لو لدينا فب الاردن مثل اسمه انور عكاشه ليكتب عن عمان , عمان التي يتنكر لها الجميع, اتمنى لو كتب عن ليالي الرينبو او التاج او شارع منكو
আমি চেয়েছিলাম যে আমাদের যদি ওসামা আনোয়ার ওকাশাহর মত একজন থাকত যে আম্মানকে (জর্দানের রাজধানী) নিয়ে লিখত। সেই আম্মান যার কথা কেউ ভাবে না। তিনি যদি “লায়লাই এল রেনবো” অথবা লায়লাই এল তাজি লিখত [লায়লাই এল হেলমেইয়ার বদলে]

ইয়ায়াজ একজন ইরাকী যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাস করে, সে নিচের টুইটটি পাঠিয়েছে [5]

Allah yer7ama!. Such an amazing writer.

আল্লাহ তার আত্মাকে শান্তিতে রাখুক! তিনি এক অসাধারণ লেখক।

এবং আলি আলমাসরি টুইটে [6] বলছে::

الله يرحمه…افضل كاتب في تاريخ الدراما العربيه
আল্লাহ তার আত্মাকে শান্তিতে রাখুক…আরবের সর্বকালের সর্বেশ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার।

তবে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা তাকে এতটা পছন্দ করেন না….
মনে হচ্ছে অনেক ব্লগার একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে না। হাজেম গোহরাব ওকাশাহর লেখার উপর খুশি ছিলেন না [7] এবং তিনি মনে করেন এই লেখকের নিজস্ব গোপন উদ্দেশ্য ছিল:

رحم الله الكاتب الدرامي أسامة أنور عكاشة، فقد لازمه، دون شفاء، داء “المراهقة الدرامية”. وذلك داء يستعذبه بعض ” الكتاب الثوريين” ويتكاسلون عن بذل أي جهد للاستشفاء منه. وأقصد بالمراهقة الدرامية أن يتوقف الكاتب عند مفاهيم ثورية تولد مع لحظات التغيير. ويزيد الطين بلة عندما يصبح أصحابها برضاهم أدوات إعلامية لطمس التاريخ وتشويه الأغيار المناضلين من خارج الدائرة الثورية الحاكمة
ঈশ্বর এই চিত্রনাট্যকার ওসামা আনোয়ার ওকাশাহর মঙ্গল করুক। কিন্তু তার একটা রোগ ছিল যার কোন প্রতিকার ছিল না। আমি এই রোগের নাম দিয়েছিলাম, “অপরিণত লেখনি”। অনেক বিপ্লবী লেখক এই একই ধরনের রোগে ভুগে থাকে। তারা এটাকে পছন্দ করে এবং তারা এতটাই অলস যে এর প্রতিকার খুঁজে বের করার চেষ্টা করে না। এবং এই ‘অপরিণত লেখনি’ এতে আমি বোঝাতে চাইছি যে ভাবে লেখকরা যে কনসেপ্ট বা ধারণা বিপ্লবের শুরুর দিনগুলোতে জন্মগ্রহণ করেছিল সেগুলোকে বিব্রত করে, এমনকি তারচেয়েও খারাপ ঘটনা ঘটায়। তারা বিপ্লবের প্রচারণার একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে মুছে দিতে এবং বিকৃত করতে শুরু করে এবং যারা বিপ্লবের অংশ নয় বলে বিবেচিত হয়, তাদের নিন্দা করতে শুরু করে।

কোন এক সময় ওকাশাহ এক ঐতিহাসিক ইসালিমক চরিত্রের সমালোচনা করেছিলেন, যার নাম আমর ইবনে আল আস [8] ফোরসান এল হাক (সত্য সন্ধানী বীর) ফোরামে অংশগ্রহণ করা লোকেরা এখানে যা লিখেছে [9] তাতে দেখা যাচ্ছে, তারা ওকাশাহর সমালোচনাকদের সাথে একমত নন এবং তাদের অনেকে লেখকের মৃত্যুতে সুখী।

এখানে মাহমোলুডেন্ট ওকাশাহর মৃত্যুতে তার অনুভূতির কথা লিখেছেন [10]

و الله انى فرحت لموتة فرحا كبيرا لانة كان يسئ لرموز الاسلام كثيرا
আমি স্রষ্টার নামে শপথ করে বলছি তার মৃত্যুতে আমি সত্যি খুশি, কারণ সে ইসালামের প্রতীক হিসেবে বিবেচিতদের নিন্দা এবং আক্রমণ করত।

এই বিষয়টি আলজুবের আবু আবদুল্লাহকে বিস্মিত করেছে, সত্যি কি তিনি আমর ইবনে আল আসকে আক্রমণ করেছিলেন [11]: :

فهلا أخبرتنا كيف ومتى سب هذا الكاتب عمرا بن العاص رضي الله عنه
দয়া করে আপনি কি আমাদের জানাবেন কি ভাবে এবং কখন তিনি আমর ইবনে আল আসকে (আল্লাহ তার উপর রহমত নাজিল করুক) অপমান করেছিলেন।

তারেক ইব্রাহিম এর উত্তর দিচ্ছেন [12]:

في أحد جرائد المعارضة والتي لا يحضرني اسمها الان عنون لمقالته الحمقاء أن عمرو بن العاص من أسوأ الشخصيات في تاريخ الاسلام وطعن كذلك في معاوية بن ابي سفيان وكذلك عائشة رضوان الله عليهم أجمعين وعامله الله بما يستحق
মিশরের এক সরকার বিরোধী সংবাদপত্রে তার এক প্রবন্ধ পাঠ করেছিলাম, যার শিরোনাম এখন আমি স্মরণ করতে পারছি না, এখন এটিকে বলা হচ্ছে , “ আমর ইবনে আল আস ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ চরিত্র”। এছাড়াও তিনি মুয়াইয়া ইবনে আবি সুফিয়ান, এবং “আয়েশা” (আল্লাহ তার উপর রহমত নাজিল করুক) অপমান করেছেন এবং তাদের সাথে তিনি সেই আচরণ করেছেন, যা তার নিজের প্রাপ্য। .

তবে আহমেদ শউকির-এর মতে, আমার ইবনে আল আসের উপর করা ওকাশাহর মন্তব্যকে ভুল বোঝা হয়েছে এবং তিনি সে সময় কি বলেছিলেন লোকজন তা সত্যিই উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়নি:

في حين ان تصريحاته أسيئ فهمها على خلفية إنفعالات نابعة من الغيرة الدينية وخصوصاً أنها تزامنت مع شهر رمضان الذي تزداد فيها المشاعر الروحية والدينية، فلم يتبين أحد أن أسامة كان يقول وجهة نظره ورأيه عن الجانب السياسي في شخصية الصحابي عمرو بن العاص وليس الديني
এ বিষয়ে ওকাশাহ যা বলেছিলেন তাকে ভুল বোঝা হয়েছিল, বিশেষ করে সে সময়টি ছিল রমজান মাস, সাধারণত বছরের যে মাসটিতে লোকজনের ধর্মীয় আবেগ অনেক জোরালো থাকে। কেউ বের করার চেষ্টা করেনি যে তিনি আমর ইবনে আল আসের রাজনৈতিক অবস্থানের সমালোচনা করেছিলেন, তার ধর্মীয় অবস্থানের নয়।

মারাওয়া রাখা [13]আহমেদ শউকির [14] এই পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।