চিলি: ভূমিকম্প আর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা

২০১০ গ্লোবাল ভয়েসেস নাগরিক মিডিয়া সামিট চেষ্টা করেছে ওসিডি ইবেরোআমেরিকা প্রতিষ্ঠানের সহোযোগিতায় একটি ব্লগিং প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে চিলির ব্লগারদের অংশগ্রহন করার সুযোগ দেয়ার। মূল সম্মিলনের প্রথম দিনে পাঁচজন চিলির ব্লগারকে চুড়ান্ত প্রতিযোগী হিসাবে সম্মান জানানো হয়, যাদের মধ্যে একজন সেরা পুরষ্কার নিয়ে গেছে।

এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল চিলির ব্লগারদের উৎসাহিত করতে যাতে তারা বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে লেখে, অর্থাৎ ভূমিকম্পের পরবর্তী সময়ে দেশের পুনর্গঠনের কঠিন কাজের ব্যাপারে তাদের ধারনা প্রকাশ করে। দুইজন গ্লোবাল ভয়েসেস এর লেখক, সিলভিয়া ভিনাস আর ফেলিপে কর্ডেরো প্রতিযোগিতার বিচারক হিসাবে কাজ করেছেন। নীচে ৪ চূড়ান্ত প্রতিযোগীর দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া যাক।

ব্লগার মার্সেলো আলাইগা ভূমিকম্পের সময় তার আটকা পড়ার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন [স্প্যানিশ ভাষায়]:

El terremoto me encontró en Santiago. El edificio en el que vivo, el caos, las sirenas, la oscuridad, el lobby lleno y la vigilia siguen en mi mente. También la caminata zombie por la mañana para ver cómo había quedado la ciudad, la moneda, la plaza, la polvareda, pero no fue ahí cuando la magnitud del daño fue asimilada.

সান্তিয়াগোতে আমি ভূমিকম্পের মুখোমুখি হই। যে বাড়িতে আমি থাকি সেখানে বিশৃঙ্খলা, সাইরেন, অন্ধকার, ভরা লবি আর সতর্ক থাকার ব্যাপার আমার এখনো মনে আছে। আর সকালে মৃতের মতো হাঁটা দেখার জন্য যে শহরের কি এখনও দাঁড়িয়ে আছে, (প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ) লা মোনেদা, প্লাজা, ধুলা, কিন্তু তখনও ক্ষতির ব্যাপকতা বোঝা যায় নি।

ক্যারোলিনা ক্যাস্ট্রো কতিপয় ক্ষতিগ্রস্ত সমাজের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছেন [স্প্যানিশ ভাষায়]:

Constitución es hoy una ciudad estancada en el tiempo. No parece que el maremoto haya pasado hace cuatro semanas, pues su rutina parece ser la de un eterno domingo. A diferencia de otras localidades asoladas por el terremoto en menor intensidad, aquí jamás ha sido lunes. El comercio no ha vuelto a funcionar y las personas no han vuelto a trabajar. El silencio de la gente es la característica reinante del lugar. Los adultos no cruzan más que un breve saludo y los niños no salen a jugar a las calles. Silencio al caminar, silencio al comer y muchos silencios al hablar.

আজকের কন্সটিটিউশন সময়ে হারিয়ে যাওয়া একটা শহর। মনে হচ্ছে না চার সপ্তাহ আগে সুনামি হয়েছে এখানে, এর রুটিন দেখে মনে হচ্ছে শেষ না হওয়া রবিবারের মতো। ভূমিকম্পের ফলে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত সমাজের সাথে পার্থক্য হল তীক্ষ্ণতায়, এখানে কখনো সোমবার হয়নি। ব্যবসা আবার শুরু হয়নি আর মানুষ তাদের কাজে ফিরে যায়নি। মানুষের নিস্তব্ধতা এই স্থানের জাজ্বল্যমান নিদর্শন। বড়রা সংক্ষিপ্ত সম্ভাষণ জানিয়ে চলে যাচ্ছেন আর বাচ্চারা রাস্তায় খেলছে না। নিস্তব্ধে হাঁটা, খাওয়া আর কেউ কেউ নিস্তব্ধে কথা বলছেন।

তবে দেশ পুনর্নির্মাণের দিকে যাচ্ছে আর সিসিলিয়া মোঙ্গে চিলিবাসীদের মানসিকতা নিয়ে লিখেছেন [স্প্যানিশ ভাষায়]:

Y finalmente la reconstrucción. Comenzamos a dejar de sentir el miedo y empezamos a sólo a recordarlo. La emoción fue reemplazada por el deber moral y nos impusimos cuotas diversas de sacrificio personal, una donación, un trabajo voluntario, unas lágrimas frente al reportaje humano de un canal de televisión.

আর পরিশেষে পুনর্নির্মাণ। আমরা ভয় পাওয়া বন্ধ করেছি আর কেবল ভয়ের কারণটা মনে রাখছি। এই অনুভূতি আমাদের মানবিক দায়িত্ব দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে আর আমরা বিভিন্ন কোটা ধার্য করেছি যা ব্যক্তিগত বলিদান, একটা দান, স্বেচ্ছাসেবকের কাজ, টেলিভিশনে মানবিক রিপোর্টের সময়ে অশ্রুপাত ইত্যাদিতে প্রকাশিত হচ্ছে।

পরিশেষে, পাবলো রামিরেজ তার দেশবাসীর জন্য কিছু উৎসাহের কথা বলেছেন

Quiero seguir las palabras de Oscar Guillermo Garretón: Chile saldrá adelante. Siempre lo ha hecho. Será más fácil si lo hacemos juntos. Me apasiona soñar en un mañana mejor. Más bello, seguro y amable gracias a todos nosotros.

আমি (সংসদ সদস্য) অস্কার গুলের্মো গারেতনের কথা বলতে চাই: চিলি বেরিয়ে আসবে সামনে। সব সময় পেরেছে। সহজ হবে যদি আমরা এটা একসাথে করি। ভালো ভবিষ্যৎের কথা চিন্তা করতে আমি আবেগী হয়ে পড়ি। আরো সুন্দর, নিরাপদ আর দয়াশীল হ্রোক তা আমাদের সকলের কল্যাণে।

প্রতিযোগীতায় সেরা ব্লগারের লেখা আমরা শীঘ্রই উপস্থাপন করবো।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .