- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০১০ বিশ্বকাপের অর্থনৈতিক লাভ

বিষয়বস্তু: সাব সাহারান আফ্রিকা, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, খেলাধুলা, নাগরিক মাধ্যম

যখন আমরা বিশ্বের কোন প্রধান অনুষ্ঠানের কথা বলি তখন সব সময় এর মজার দিকগুলো তুলে ধরি। তবে এর একটি বিপরীত দিকও থাকে যেখানে কর্পোরেট গুরু বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রভাব বিস্তার করে। আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকজন ব্লগার উল্লেখ করেছে যে ২০১০ সালে বিশ্বকাপের আয়োজন করে কারা সৌভাগ্যবান এবং ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভবান হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য এইসব ব্লগারদের বেশিরভাগই দক্ষিণ আফ্রিকার-যে দেশটি এবার বিশ্বকাপের আয়োজক।

[1]

দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল সমর্থক

এই বিষয়ে আমরা দিস্পোটর্সইকোনমিষ্ট [2] থেকে উদ্ধৃত করা শুরু করবো, যে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি করা বিশ্বকাপ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরছে:

এ বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে বিবিসির এই প্রবন্ধে এই বিশ্বকাপের ব্যয় ও আয়ের বেশ কিছু হিসেব রয়েছে। (এসব হিসেব করা হয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ডে)
• ফিফার হিসেব মতে এবারের বিশ্বকাপ থেকে আয় হবে: ২.১ বিলিয়ন পাউন্ড
• ফিফার বাজেট বা ব্যয়: ৮৮০ মিলিয়ন পাউন্ড
• প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোর অবস্থা উন্নতির জন্য সম্প্রতি তার ব্যয় বেড়েছে: ৬৭ মিলিয়ন পাউন্ড
• এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যয়: ৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ড অথবা জিডিপির ১.৭২ শতাংশ,
দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যয়ের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে ১০ টি স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সেগুলোর সংস্কার কাজ পরিচালনা করা, পরিবহন খাতের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো। এখানে আপনি স্টেডিয়ামগুলো সম্বন্ধে জানতে পারবেন। তাদের দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দরভাবে (দক্ষতার) সাথেই তাদের ডিজাইন বা নকশা তৈরি করা হয়েছে…

কিন্তু এই প্রতিযোগিতা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা কি পরিমাণ আয় করতে পারবে [2]?

এই দেশটি এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কি পরিমাণ আয় করতে যাচ্ছে সে সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রদান করা হয়নি। তবে আসুন কাগজের উল্টো পিঠে এ সংক্রান্ত একটা হিসেব কষে ফেলি। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে মোট খেলার সংখ্যা ৪৮ টি। হারলেই বাদ (নক আউটস স্টেজ) এভাবে খেলা হবে ১৫টি, তৃতীয় স্থান নির্ধারনের জন্য একটা খেলা সহ মোট খেলা হবে (মোট ৬৪টি খেলা)। দশটি স্টেডিয়ামের প্রতিটির গড় দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৫৬,০০০। স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে খেলা দেখার জন্য গড়ে একটি টিকিটের দাম ২০০ ডলার মধ্যে পাওয়া সম্ভব (সাধারণ দুই ধরনের টিকেটের দামের মাঝামাঝি একটা হিসেব করে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অনেকটা গ্রহণযোগ্য), যদি সকল খেলার টিকিট গড়ে ২০০ ডলার মূল্যে বিক্রি হয়ে যায়, তা হলে কেবল টিকিট বিক্রি থেকে আয় হবে ৭১৭ মিলিয়ন ডলার (… এই প্রবন্ধে একটি তথ্য জানাচ্ছে যে গ্রান্ট থর্নটন এর একজন হিসেব রক্ষক বিশ্বাস করেন, ১.৭২ শতাংশ জিডিপিতে ব্যয়, “গ্রহণযোগ্য: কারণ এটি দেশের জন্য এক অর্থনৈতিক উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করবে, বিশেষ করে বিশ্ব অর্থনৈতিক এই মন্দার সময়ে। এই প্রবন্ধ এর সাথে জানাচ্ছে, ফিফার সাধারণ সম্পাদক এই বিষয়ে “আত্মবিশ্বাসী” যে এই প্রতিযোগিতা এই দেশ ও মহাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এ লম্বা সময়ের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার তৈরি করে যাবে।

ডেইলিস্টক.কম [3] এবং মানিমর্নিং [4]এই বিষয়ের আরো গভীরে প্রবেশ করেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেদেশের সীমানার বাইরে অর্থনীতি যে উন্নয়নের ছোঁয়া তৈরি করবে, তাদের পোস্টে এই বিষয়ের উপর নজর দিয়েছে:

“আমরা ধারাবাহিকভাবে সব সময় বলে আসছি এটা আফ্রিকার বিশ্বকাপ”, গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার সংসদে রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমা এই কথা বলেন। আমাদের সুযোগ রয়েছে এই সময় বিদেশী বিনিয়োগ, পর্যটন এবং বাণিজ্যের জন্য প্রচারণা চালানোর। উপরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা মোট ৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যার মধ্যে ডারবানে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং জোহানেসবার্গ বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্রস্থলে যাবার জন্য উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন সংযোগ তৈরি করা। মায়ামি হেরাল্ড….এর বিশ্লেষক হিসেব করে দেখেছেন, বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটন শিল্পকে ২ বিলিয়ন ডলার এনে দেবে, এবং খুচরা বিক্রেতাদের এই অনুষ্ঠানে আয় হবে ১.১ বিলিয়ন ডলার। তবে এ ব্যাপারে সত্যিকারের এক আশা রয়েছে, লম্বা সময়ের জন্য উন্নয়নের অর্থনীতিতে এই বিশ্বকাপ এক প্রভাব ফেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটন সংস্থার প্রধান নির্বাহীর নাম থান্ডিওয়ে জানুয়ারি ম্যাকলিন। ইকোনোমিক টাইমসকে তিনি বলেন, “এখানে আগত অতিথিদের দক্ষিণ আফ্রিকা আসলে কেমন, তা দেখানোর জন্য আমাদের এই সুযোগটিকে দুহাতে গ্রহণ করা উচিত। বিশ্বকাপের পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসা লোকদের ক্ষেত্রে সেবার মান বজায় রাখার জন্য ভেতরের সৃষ্টিশীলতা এবং শক্তি নিয়ে আমাদের কাজ করা উচিত’’। এই বিশ্বকাপ আমাদের কাছে আমাদের শ্রম এবং জাতীর কাছে এক সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার গড়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করছে। বিশ্বকাপকে আমরা এমন এক অনুষ্ঠান হিসেবে দেখছি না, যা আমাদের সকল অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করে দিবে, তার বদলে এটিকে আমরা এক সুযোগ হিসেবে দেখছি, এটি যে ভাবে আমরা কাজ করি তার সংস্কার করবে এবং ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য এক উত্তরাধিকার তৈরি করবে।

নাইজেরিয়াও এই অনুষ্ঠান থেকে ফায়দা লোটার কথা ভাবছে:

নাইজেরিয়া, যারা এই বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, তারা টুর্নামেন্টের বাইরে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে, তেল সমৃদ্ধ এই দেশে বিনিয়োগের প্রচারণার জন্য তারা এই প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে। নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশন প্রধান সানি লুলু এফপিকে বলেন আমরা নাইজেরিয়ায় এক প্রদর্শনের এই ইচ্ছে পোষণ করি এবং এটি অসম্ভব এক সম্ভাবনাময় বিষয়, যা নাইজেরিয়ার এক গ্রামের মাধ্যমে বিশ্বকাপে এসে হাজির হবে।

প্রতিযোগিতার অন্যতম পোশাক সরবরাহকারী (স্পন্সর) প্রতিষ্ঠান ‘পুমার ব্লগ [5]’ এই প্রতিযোগিতার বিপণন এবং বিজ্ঞাপনের বিষয়ে কথা বলছে:

বিশ্বকাপের বিপণন, বাণিজ্যিক বিপণন, সাধারণত বিশ্বকাপের স্পন্সরশিপের বা কারো ব্যয়ভারের মাধ্যমে ঘটে থাকে, এখানে নামের প্রচার মুখ্য, পণ্যের মুখপাত্র হিসেবে ফুটবল তারকাকে নিয়োগ করা হয়। পণ্যের ডিজাইন কেমন হবে তা বিশ্বকাপে উদ্বোধন করা হয়, একই সাথে বিশ্বকাপের জামা, বিজ্ঞাপনের জন্য বিক্রি হয়, স্টেডিয়াম বিজ্ঞাপন এবং অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন, প্রদান-গ্রহণ এর অনুপাত এর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ক্রীড়া বিপণন চলে, তাতে বিশ্বকাপের জন্য ব্যয়ভার বা স্পন্সর করা এবং ক্যাট পুমা জুতার ব্রান্ড বা তার নামের মূল্য বাড়ানোর জন্য তারকা ফুটবলারদের ভাড়া করা হয়, এর ফলে ব্যয়ভার গ্রহণ করার (স্পন্সরশিপের) বিষয়টি তিন থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগ মূল্যের জন্য প্রতিষ্ঠানের বিপণন কাজে বিশ্বকাপকে অবশ্যই তার সঠিক বিপণন ভাগ্য খুঁজে বের করতে হবে। যথাযথ প্রচার মাধ্যমের স্থাপনা বা প্লাটফর্ম বের করা হবে, সঠিক মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উপযুক্ত মাধ্যম।

কেনিয়ার অন্যতম এক ব্যবসায়ী ব্লগার বানকেলেলে [6] তার পুরোনো এক লেখায় দেখার চেষ্টা করছেন কি ভাবে আফ্রিকা, বিশেষ করে কেনিয়া এই বিশ্বকাপ থেকে সুবিধা লাভ করতে পারে:

পর্যটন: বিশ্বকাপ হাজার হাজার লোককে প্রথমবার বা বিরল এক যাত্রায় আফ্রিকা মহাদেশে নিয়ে আসবে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে অন্য কিছু দেশের লোকদের স্থানীয়দের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেবে।
-সৈকত পর্যটন: ফুটবল বিশ্বকাপ গরমের সাথে যুক্ত থাকে, তবে তা দক্ষিণ আফ্রিকায় শীতকালে অনুষ্ঠিত হবে (দক্ষিণ গোলার্ধে) এবং এই সময় আবহাওয়া ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় মৃদু থাকবে, এটি সৈকত ধীরে সুস্থে ভ্রমণ করার মত আবহাওয়া নয়, যে কেউ মোম্বাসা, জাঞ্জিবার অথাব সিশেলসে যেতে পারবে।
-আঞ্চলিক প্যাকেজ: ইথিওপিয়ার বিমান সংস্থার ভ্রমণ প্যাকেজ রয়েছে যা একটির বেশি দেশে নিয়ে যাবে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়ার, মিশর এবং কেনিয়ার আকর্ষণীয় এলাকাগুলো দেখুন এবং এই সমস্ত প্যাকেজগুলোকে সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকায় বিক্রি করা হবে। যেমন কেনিয়ার বিমান সংস্থা (অথবা তাদের স্থানীয় এজেন্ট) যাদের বিমানে হয়ত থাইল্যান্ড বা চীন থেকে ভ্রমণকারী আসবে, এই সমস্ত খেলা দেখতে আসা লোকদের ফিরে যাবার সময় তাদের দেশে যেতে উৎসাহিত করতে পারে। যেমন তারা কেনিয়ার গ্রেট রিফ্ট নামক এলাকার-এর উচ্চভূমিতে বেড়াতে নিয়ে পারে অথবা ইথিওপিয়ায় এবং ক্রীড়াবিদদের অনুশীলন শিবির গুলোতে নিয়ে যেতে পারে যেখানে বিশ্বকে পরাজিত করা অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নরা তাদের দক্ষতায় শান দিয়েছিল।

তিনি এখানে সরকারের ভূমিকার কথা আলোচনা করেছেন:

সরকার: এখানে সক্রিয় সরকারগুলোর জন্য সুযোগ রয়ে গেছে, এই বিষয়ে যুক্ত হয়ে পড়া এবং বিপণন প্রচারণার মধ্যে দিয়ে তাদের দেশগুলোকে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে পারে, অথবা স্থানীয় এলাকায় ভ্রমণের কথা বলতে পারে, অন্য কোন এলাকা যাওয়ার সময় কোন দেশে সাময়িক প্রবেশ ভিসা দ্রুত প্রদান করতে পারে (জেকেআইএ) অথবা পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারে, এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের সরকার কি করছে তা দেখুন।

যদিও এটি হালকা ভাবে লেখা রয়েছে, একটি ব্লগ, যার নাম যথাযথভাবে বিয়ারবিয়ার [7], তা বলছে, এখানে যে সমস্ত সমর্থক মজা পেতে চায়, তাদের যত্নের জন্য বিশ্বকাপে যথেষ্ট পরিমাণ মদ জাতীয় পানীয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বিশ্বকাপের সমর্থকদের উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই, মাসব্যাপী চলা এই প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় বিয়ারের ঘটতি দেখা দেবে না…. এই কথাগুলো বলেছে, বিয়ারবিয়ার:

বিশ্বকাপের সমর্থকদের উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই। দক্ষিয় আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বিয়ার ফুরিয়ে যাবে না, দেশটির সবচেয়ে বড় মদ প্রস্তুতকারী এ কথা বলছে। ‘সমর্থকদের চিন্তা করার কোন কারণ, এই সময়ে আমাদের কোম্পানীর তৈরি প্রচুর বিয়ার পুরো সময় জুড়ে সহজেই পাওয়া যাবে’, এই কথাগুলো বলেন নর্ম্যান এডামি, তিনি সাউথ আফ্রিকান ব্রুয়েরিজ (দক্ষিণ আফ্রিকার মদ প্রস্তুতকারক কোম্পানী) এর প্রধান। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পানীয় প্রস্তুতকারক সাবমিলারের স্থানীয় প্রতিনিধি। এই প্রতিষ্ঠান যা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি দশটি বিয়ারের বোতলের মধ্যে নয়টির উৎপাদনকারী, ১১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের সময় তারা ৫ তাদের বিয়ারের ৫ শতাংশ বিক্রি বৃদ্ধির আশা করছে। তবে এটা বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে-যা প্রায় ৩০ মিলিয়ন বোতল-কারণ দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকালে বিয়ার বিক্রির পরিমাণ কমে আসে। এডামি বলেন…বাডওয়াইজার মদ, যার মালিক সাবমিলার-এর প্রতিপক্ষ-আন হুইজার-বাস ইনবেভ, বিশ্বকাপে তারা ফিফার আনুষ্ঠানিক সহযোগী। বিশ্বকাপের সময় তারাই কেবল স্টেডিয়ামের ভেতর মদ সরবরাহ করতে পারবে। সাব কেবল যে সমস্ত শহরে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ফিফার ১০ টি সমর্থক উদ্যান (ফিফা ফান পার্ক)-এ মদ বিক্রি করতে পারবে, তবে কেবল লেবেল বা চিহ্ন ছাড়া তাদের পানীয় বিক্রি করত হবে, ফিফার ঈর্ষা তৈরি করা অধিকার নীতি এড়িয়ে যাবার জন্য।

অবশেষে, সাউথ আফ্রিকাব্লগ.ইনফো ব্লগ [8] বলছে,

যদিও যে পরিমাণ ধারণা করা হয়েছিল, হিসেবের পরিমাণ তার চেয়ে কমিয়ে আনা হয়েছে, তারপরেও এর কাঙ্খিত হিসেব নির্দেশ করেছে, এটি প্রতিযোগিতায় বিশাল প্রভাব ফেলবে। সাউন্ডার্স একথা বলেন” বিদেশী একজন পর্যটক ভ্রমণে কতটা ব্যয় করবে তার একটা অনুমান করা হয়েছে, এটা ৩০২০০ র‍্যান্ড, (দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রা) পূর্বের হিসেবে ছিল ২২০০০ র‍্যান্ড… এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পুরো অর্থনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি হবে ৯৩ বিলিয়ন র‍্যান্ডের, যার ৬২ শতাংশ তৈরি হবে ২০১০-এর অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে এবং ৩৮ শতাংশ হবে বছরের বাকী সময়ে। বিদেশী পর্যটন এতে মোট ১৬ শতাংশ পরিমাণ প্রভাব সৃষ্টি করবে.. আমরা বিশ্বকাপের প্রভাবে ক্রমাগত এগিয়ে যেতে থাকব, বলেন সাউন্ডার্স। স্টেডিয়াম পূর্ণ থাকবে এবং এটা একটা অসাধারণ অনুষ্ঠান হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোফাইল বা বৃত্তান্ত ও ভবিষ্যৎ-এ তার তৈরি করা প্রভাব অত্র অঞ্চলেরর জন্য সত্যিকারের এক সুবিধা বয়ে আনবে।