ইন্টারনেট দিবস নামক অনুষ্ঠানটি ২০০৫ সালে স্পেনে শুরু হয় এবং এখন তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে। এর জন্য জাতি সংঘকে ধন্যবাদ, যারা ১৭ মে দিবসটিকে বিশ্ব তথ্য সামাজ দিবস (ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে) হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এ বছর ল্যাটিন আমেরিকার ( মূলত আমেরিকার স্প্যানিশভাষী দেশসমূহ) অনেক দেশে এই দিবসকে ঘিরে অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে, ব্লগ এবং টুইটার মাধ্যমে সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ও প্রচারণা চালানো হয়।
মেক্সিকোতে, মন্টেরিওর ন্যাশনাল প্যালেস যাদুঘর এই বিষয়ে এক অনুষ্ঠান হয়, যার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের সময় কি ভাবে এই শিল্পের বিকাশ ঘটানো যায়। নতুন ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং (অনলাইনে বিপণন, স্প্যানিশ ভাষায় তার নামের আদ্যক্ষর নিয়ে তাকে মিপওয়াইমেস নামে ডাকা হয়)। এছাড়াও, এই দিনের ঘটনাবলি অনলাইনে পাওয়া যাবে ডাব্লিডাব্লিউডাব্লিউ.ডায়াডিয়েইন্টারনেট.অর্গ.ম্যাক্স-এ, যেখানে সরাসরি ঘটনাগুলোকে এই পাতায় তুলে দেওয়া।
মেক্সিকোর ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সমিতির উপ-প্রধান নির্বাহী (এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট) ফার্নান্ডো সোলকা, ইন্টারনেটকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার ব্যাপারে দেশটির ২টি বিশাল বাঁধার কথা বলেছেন, দেশটির যেগুলোকে অতিক্রম করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটের গতি। তিনি বলেন, “এখানে ৫১২ কেবি (কিলোবাইট) ব্রডব্যান্ডের বিবেচ্য গতি। এ-ছাড়াও এখানে একই সাথে ফাইবার অপটিক সংযোগ ব্যবস্থার অভাব রয়েছে”। সরকার এখানে আমাদের কেবল ফাইবার অপটিকসের ২টি তারের বিষয় মেনে নিতে বলে, এটা একটি যন্ত্রণাদায়ক বিষয় এবং এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না যে, অনেক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও এই ক্ষেত্রে অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়ে গেছে। কেবল যে একটি মাত্র কাজ দেশটি আরো বেশি করে করছে, তা হচ্ছে ইন্টারনেটের গতি হ্রাস।
পেরুর রাজধানী লিমায় সান মার্টিন ডে পোরেস এর পৌরসভা একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে যার মধ্যে একটি স্ট্যান্ড অর্ন্তভুক্ত ছিল (স্ট্যান্ড- যন্ত্র রাখার স্থান, বা যন্ত্র) [স্প্যানিশ ভাষায়], যেখানে লোকজন ইন্টারনেট সম্বন্ধে তাদের প্রশ্নের উত্তর একটি ভিডিওর মাধ্যমে ধারণ করতে পারত, এটা এমন এক কর্ম যা জুয়ান আরেলানো তার ব্লগ গ্লোবালাইজাডোতে [স্প্যানিশ ভাষায়] উল্লেখ করেছেন:
En otro stand, o kiosko, estaban motivando a los asistentes a dejar un mensaje respondiendo a la pregunta “¿Qué significa internet para tí?”. Vi varios niños y adolescentes pensando que decir y luego usando las dos lap tops acondicionadas para tal fin.
ভেনিজুয়ালায়, এই দিবস উদযাপনের উদ্যোগ “টোডোস এন রেডস” [স্প্যানিশ ভাষায়] (সকলেই অনলাইনে) এই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া সব ঘটনার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে, তারা একই সাথে দেশটির সাইবার কর্মকাণ্ডের (সাইবারএক্টিভিজম) বিষয়টি তুলে ধরেছে। টু্ইটারে হাসটাগ #টোডোসেনরেড এর মাধ্যমে আপনি এই বিষয়ে তথ্য পেতে পারেন।
সবশেষে কালি নামক শহরটির কথা উল্লেখ করা যাক, এটি কলম্বিয়ার অন্যতম এক শহর যা এই দিনটির উপস্থিতিকে তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। ডিজিটাল ম্যাগাজিন একুইনক্সিয়া [স্প্যানিশ ভাষায়] এই দিনের কর্মকাণ্ডের কথা লিখেছে, যা এখানে আসা দর্শকদের ধারণাকে ছড়িয়ে গেছে এবং এই কর্মকাণ্ডকে পরবর্তীতে তার নিজস্ব ওয়েবসাইট [স্প্যানিশ ভাষায়] ও টুইটার পাতায় (@দিয়াইন্টারনেটকালি) তুলে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে, এই বিষয়ের উপর ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে [স্প্যানিশ ভাষায়], যেখানে এই অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অংশের ভিডিও দেখা যাবে।
2 টি মন্তব্য
Thanks a lot for your translation, Bijoy 😉
Best Regards,
Cati
Also Thanks to you Cati, for writing a good article