প্যারাগুয়ে: ইপিপি গেরিলা দলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা

উত্তর প্যারাগুয়েতে একটা সন্ত্রাসী দল বেশ কিছু হত্যা আর অপহরণের ঘটনায় ভীতি ছড়াবার পরে সেখানে সেনা আর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কথিত প্যারাগুয়ান পিপলস আর্মি (তাদের নামের স্প্যানিশ আদ্যাক্ষর ইপিপি) একটি ফার্মে একজন পুলিশ অফিসার আর তিন জন কর্মীকে মেরে ফেলার পরে প্রেসিডেন্ট ফের্নান্দো লুগোকে কংগ্রেস পাঁচটি বিভাগে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করতে দিয়েছে। এই জরুরী অবস্থা আর প্রতিরোধ্মূলক ব্যবস্থা ইপিপির কার্যক্রম বন্ধের জন্য সব থেকে জোরালো ব্যবস্থা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এই দল একজন ধনি জমিদার ফিদেল জাভালাকেও অপহরণ করে, আর জামিনের অর্থ নেয়ার দুই মাস পরে তাকে ছেড়ে দেয়।

পেদ্রো জুয়ান কাবাল্লেরোতে একটি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী। ছবি এলিল এফ জের তোলা – ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত

এই ইপিপি দল আগের সরকারের সময়েও সক্রিয় ছিল: তাদের সব থেকে ভয়ানক অপরাধ ছিল ২০০৪ সালে ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট রাউল কুবাসের ৩২ বছরের মেয়ে সিসিলিয়া কুবাসকে অপহরণ, যাকে ২০০৫ সালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ব্লগার বোজ লিখেছেন যে দক্ষিন আমেরিকার অঞ্চলের দেশগুলোর উচিৎ একত্র হয়ে লুগোকে সমর্থন করা এই সন্ত্রাসী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যখন তিনি সরকার আর নাগরিকদের এক অংশের কাছ থেকে বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছেন:

প্রেসিডেন্ট এই সমালোচনার ব্যাপারে স্পর্শকাতর যে তিনি মারামারি রোধে যথেষ্ট করেননি বা তাকে দেশের চরমপন্থীদের সাথে সম্পর্কিত করা হচ্ছে।

এই অঞ্চল সাম্প্রতিক ঘটনার পরে বেশ চুপচাপ মনে হচ্ছে। ইপিপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এমন বিষয় মনে হচ্ছে যা ইউএনআসুর বা এসএডিসি (বা ওএএস) এর মধ্যে আলোচনার জন্য ভালো হবে। আমি মনে করি এই অঞ্চল একত্র হবে লুগোকে সমর্থন করতে আর তার সরকারকে এক দিকে সংঘর্ষের বিরুদ্ধে মজবুত করতে আর অন্য দিকে রাজনৈতিক সমালোচনা থেকে বাচাতে।

তবে, এটা পরিষ্কার যে সরকারের সদস্যরা লুগোর সমর্থনে একত্র হচ্ছেন না। ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেডেরিকো ফ্রাঙ্কো প্রশ্ন তুলেছেন যে ইপিপির সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনি যথেষ্ট করছেন কিনা, আর ভাবছেন যে জরুরি অবস্থা কেবল একটা ধোঁকা ছিল মানুষকে দেখানোর জন্য যে তিনি ইপিপির বিরুদ্ধে কিছু করছেন।

জরুরি অবস্থা জারির পিছনে লুগোর আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে ফেডেরিকো ফ্রাঙ্কো প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলছেন যে ইপিপিকে আটকের আসল কোন প্রচেষ্টা নেই

ফ্রাঙ্কোর কথা অনেকের কাছ থেকে সমালোচনা জাগিয়েছে, যার মধ্যে প্যারাগুয়ের ব্লগার জোস এঞ্জেল লোপেজ বারিওস আছেন যিনি তার ব্লগে পোস্ট করেছেন:

Bien harían los señores de la política en acompañar el gobierno de Lugo hasta que termine su mandato, las divisiones en tiempo de crisis solo nos debilitan doblemente y le prestan un flaco favor a la población…..

Mientras tanto el EPP a desatado en el norte de nuestro país una vorágine de “ajustes de cuentas” en el que ya empezaron a destacarse senadores y diputados, los mencionados parecen ser ahora el blanco de los sicarios del narcotrafico.

Por ahora parece que el gobierno esta abocado ardorosamente a desarticular el EPP y espero que tenga éxito, porque otro resultado nos traería mas sufrimiento y delito por mucho tiempo.

রাজনীতিবিদদের জন্য ভালো হবে লুগোর সরকারকে শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করে, বিপদের সময়ে বিভেদের ফলে আমাদের শক্তি কমে যায় আর মানুষের এটা কোন উপকারে আসে না…

এরই মধ্যে ইপিপি দেশের উত্তরে সব সমান করছেন যেখানে কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষের ডেপুটিরা আর সিনেটরদের লক্ষ্য করা হচ্ছে, এখন মনে হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের খুনিদের তারা লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন।

মনে হচ্ছে সরকার এখন নিবেদিত হয়ে ইপিপিকে ভাংতে চাচ্ছেন আর আমি আশা করি তারা যেন সফল হন, কারন অন্য যে কোন ফল আমাদের জন্য আরো ভোগান্তি আর দীর্ঘ মেয়াদের অপরাধ বয়ে আনবে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে লুগো প্যারাগুয়ের গ্রামীন এলাকায় ধর্মযাজক আর বিশপ ছিলেন, যেখানে পরে জানা যায় যে একজন বেদি বালক পরে জাভালার অপহরনকারীতে পরিণত হয়েছে। কিছু মানুষ এই দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক বের করার চেষ্টা করছেন আর চাচ্ছেন যে লুগো যাতে জানান যে তাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে কিনা। সাংবাদিক আর ব্লগার বেঞ্জামিন ফার্নান্ডেজ বোগাদো লিখেছেন:

Es además el tiempo de la sinceridad del presidente de la república con el país; él debe decirnos no solo que no tiene nada que ver con estos grupos, que si lo fuera, no solo sería escandaloso, sino razón para desalojarlo del poder inmediatamente; además debe explicarnos cuánto conocía a estos dirigentes de sus tiempos obispales y cuánto coincidió con sus métodos. Mientras no lo haga, ni militares y menos aun los desmoralizados y quebrados policías harán nada ni en 30 ni 60 días.

এখন সময় এসেছে প্রেসিডেন্টের তার দেশের প্রতি সৎ থাকার, তার কেবল এটাই বলা যথেষ্ট না যে এইসব দলের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই, কারন যদি থাকে, এটা কেবল কেলেঙ্কারি হবে না, বরং তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার একটা কারণও হবে। এরই সাথে তার দরকার আমাদের জানান এইসব নেতা সম্পর্কে তিনি কতটুকু জানতেন যখন তিনি বিশপ ছিলেন আর তাদের পদ্ধতির সাথে তার মিল কতোটা। যতক্ষণ না তিনি এইসব করেন, সেনা বা হতাশ আর ভঙ্গুর পুলিশ কি কিছু অর্জন করতে পারবে ৩০ বা ৬০ দিনে।

জরুরি অবস্থা ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেও কোন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .