তিউনিশিয়া: ব্লগারদের জন্য একটি কালো দিবস

তিউনিশিয়ার ব্লগাররা নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করছেন তাদের ব্লগে এই ধরনের স্ক্রীণ প্রকাশ করে

২৭শে এপ্রিল, ২০১০ মঙ্গলবার দিনটিকে তিউনিশিয়ার ব্লগ জগত কালো একটি দিন হিসেবে দেখছে। এ দিনটিতে ইন্টারনেট পুলিশ ব্লগারদের বিরুদ্ধে আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধ ঘোষণা করে যেখানে ১১টিরও বেশী ব্লগকে নিষিদ্ধ করা হয়। এটি একটি একপক্ষীয় নিষেধাজ্ঞা যা অনেক মাস ধরে অকার্যকর ব্লগকেও আঘাত করেছে। নিষিদ্ধ হওয়া ব্লগের তালিকা:

আমচা ফি ব্লেদ আল ইমিয়ান (আরবী)
ট্র্যাপ বয় (আরবী)
অ্যান্টিকর (ফরাসী)
আরাবিস্তা (ফরাসী)
ইয়া তুনেস (আরবী)
আবিদক্লিফি
উনরমাল (আরবী)
কার্পে দিয়েম (ফরাসী)
বেন্ত ৩য়ায়লা (আরবী)
আর্তাআর্তিকুলের
স্টুপিউর (ফরাসী)

পরের দিন আরো কিছু ব্লগ নিষিদ্ধ হয়:

লো ব্লগ দো হুসেইন
লো ব্লগ দো লিনা বিন মেন্নি (‌আমার নিজস্ব ব্লগ এটি)
লো ব্লগ দো আকুর এনেজি
লো ব্লগ দো বুদুরু
লো ব্লগ দো মেটালিক নাদ্দু

কিন্তু এটা জানা দরকার যে এর পূর্বে দুই সপ্তাহের বেশী সময় ধরে, ইন্টারনেট পুলিশ সংবাদ ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আটকাচ্ছিল, যেমন: লো নুভেল অবসারভেতুর আর রু৮৯; এছাড়া ভিডিও প্লাটফর্মও যেমন www.wat.tv আর www.metacafe.com

ফেসবুকের কিছু প্রোফাইলও আটকানো হয়েছে আমারটা সহ। গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনকে বেশ কয়েক মাস ধরে আংশিক বন্ধ রাখার পরে তিন দিন আগে পুরোপুরিভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

তিউনিশিয়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারিরা বিশেষ করে ব্লগাররা, এই একতরফা নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ করেছেন আর ভিডিও, ছবি তৈরি করে এবং লেখার মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন:

কিসসা অনলাইন লিখেছে:

La censure du Net par le blocage des blogs et des sites est une atteinte grave au droit des gens à un libre exercice du droit d’expression. La Censure ,pour la enieme fois, a encore frappé et bloqué en Tunisie les blogs .

মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হচ্ছে ব্লগ আর ওয়েবসাইটের নিষিদ্ধকরণ আর আটকে দেয়া। তিউনিশিয়ায় আবার ব্লগকে বন্ধ আর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

“মেধাস্বত্বের আত্মহত্যা” শিরোনামে ফ্রি থটস লিখেছে:

البارح في الليل , و بعد غياب وقتي بسبب الفروض , قلت نعمل طلة عل فايسبوك و جو البلوغسفار ..
ياخي مع الأسف تصدمت , نلقا لي عمار عاث فيها فسادا لا خلى لا أخضر لا يابس .. الحجب ولى لعبة قذرة تواجهنا كل يوم , اضافة الى انو مجهول الاسباب
وليت نحس لي احنا عايشين في القرن ال14 منين الكنيسة كانت تحرق في الكتب
আমার পরীক্ষার জন্য পড়ালেখার কারণে দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির পরে গতকাল রাতে আমি নিজেকে বললাম যে নিজের ফেসবুক পাতাটি আর তিউনিশিয়ার ব্লগ জগৎ একবার দেখি। দূর্ভাগ্যজনক, আমি অবাক হয়ে গেছি। আমি দেখলাম যে আম্মার (তিউনিশিয়া অনলাইন গোত্রের দেয়া সেন্সর কর্তৃপক্ষের ডাকনাম) কোনকিছু বাছবিচার না করে সব ধ্বংস করে দিয়েছে। সেন্সরশীপ নোংরা একটা খেলায় পরিণত হয়েছে যার মুখোমুখি আমরা প্রতিদিন হচ্ছি। তাছাড়া, সেন্সরশীপের পরিষ্কার কোন কারন নেই। আমার মনে হচ্ছে আমরা চতুর্দশ শতাব্দীতে আছি যেখানে চার্চ বই পোড়াত।

এরমধ্যে, তিউনিশিয়ার ব্লগাররা এই সেন্সরশীপের প্রতিবাদ করছেন তাদের ব্লগে ৪০৪ স্ক্রিন স্থাপন করে। উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে এমন একটা নিষেধাজ্ঞায় পরা ব্লগের স্ক্রিন শট।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .