- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

স্পেন: মেক্সিকানরা ব্লগে লিখছেন নিজেদের দেশে থাকার অনুভূতি পাবার জন্য

বিষয়বস্তু: পশ্চিম ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা, মেক্সিকো, স্পেন, দেশান্তর ও অভিবাসন, নাগরিক মাধ্যম

অনেক ল্যাটিন আমেরিকান স্পেনে অভিবাসী হতে যান [1] বেশী সুযোগের আশায়, যা তাদের নিজেদের দেশে সম্ভব না বলে তারা মনে করেন। স্পেনে আসা ল্যাটিন আমেরিকার বিশেষ একদল অভিবাসী হচ্ছে মেক্সিকান।

মেক্সিকানোস এন এস্পানা [2] সাইট অনুসারে ২০০৯ সালে স্পেনে ১৫,৫৯৩ জন মেক্সিকান বাস করছিলেন, যার মধ্যে সব থেকে বড় দল পাওয়া যাবে রাজধানী মাদ্রিদে যেখানে প্রায় ৪৬৭৫ জন বাস করেন। তবে এই সংখ্যা একটি পরিসংখ্যান মাত্র, এর থেকে বেশী অনেকে থাকেন বলে ধরা হয়।

স্পেনে বসবাস করা বেশীরভাগ মেক্সিকানদের মধ্যে অধিকসংখ্যকই ছাত্র যাদের সংখ্যা ৪৯১৯। অন্যরা কাজ করছেন অথবা মানুষ যেটাকে ‘গোলাপি অভিবাসন’ বলে তার অংশ – অর্থাৎ তারা স্প্যানিশ কারো সাথে প্রেমে পড়েছেন।

স্পেনে বসবাসকারী মেক্সিকানদের একটা সমাজ আছে যেটা তাদেরকে সুযোগ দেয় নিজেকে প্রকাশের, দেশে তাদের প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ রক্ষার আর একই এলাকায় বসবাসকারী মেক্সিকানদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের।

দে পিরাতাস ই ওট্রাস হিস্তোরিয়াস [3] (দস্যু আর অন্যান্য গল্প) ব্লগের লেখক, এলিজাবেথ হেরনান্দেজ কুইজানো, তার প্রতিদিনের জীবনের বর্ণনা দেন কবিতা সহকারে:

Esta blog es libre y hablaré de temas diversos. Tiene enlace a mis otros blogs y a los que comparto. Mis escritos son la unión con la gente que tengo lejos. Es espacio de poesía, de relatos, de literatura; mía y de escritores amigos o que me gusten. Por supuesto esta blog es para compartir amistad. Una bitácora para salir del mundo cotidiano, un diario personal abierto.

এই ব্লগ বিনামূল্যের, যেখানে আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলি। এতে আমার অন্যান্য ব্লগের আর কিছু সাইট যাতে আমি লিখি তার লিঙ্ক আছে। আমার লেখা আমার সমাজের মানুষের সাথে আমার মিলন, যারা অনেক দূরে আছে। এটা আমার বা আমার বন্ধুদের কবিতা ও গল্প বা যা কিছু আমার পছন্দ তা প্রকাশের স্থান। অবশ্যই এই ব্লগ বন্ধুত্ব প্রসারের স্থান। এটি সাধারণ দুনিয়া থেকে বের হওয়ার স্থান, একটি খোলা ব্যক্তিগত ডায়রি।

আর একটা মজার ব্লগ হচ্ছে মেক্সিকো লিন্ডো ই কুয়েরিদো [4] (সুন্দর আর প্রিয় মেক্সিকো) যেখানে লেখক স্পেন আর মেক্সিকোতে অনুসরণ করা মেক্সিকোর ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বলেছেন।

উদাহরণস্বরূপ, দিয়া দে মুয়ারতোস বা মৃত্যুর দিন মেক্সিকোর একটি অনুষ্ঠান যেখানে মানুষ মজা করে, হাসে আর খাদ্য, ফুল আর বেদি দিয়ে মৃত প্রিয়জনের স্মৃতি উদযাপন করে। বার্সেলোনার মেক্সিকানরা মেক্সিকোর মতই এটা উদযাপন করে যেটা ব্লগে দেখা যাচ্ছে:

মার্থা ইনেস সাঞ্চেজ নাভারোর তোলা ছবি। অনুমতিক্রমে ব্যবহৃত [4]

মার্থা ইনেস সাঞ্চেজ নাভারোর তোলা ছবি। অনুমতিক্রমে ব্যবহৃত।

চিদো গুয়ে – মাদ্রিদ [5] ব্লগে কাপড়ে মেক্সিকোর বিভিন্ন ডিজাইন দেখান হয়েছে। এই ব্লগে স্পেনে মেক্সিকোর শিল্পকর্ম সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনীর সংবাদ আছে।

মাদ্রিদে লুভিয়া মোরালেস একজন মেক্সিকান পিএইচডি ছাত্রী, আর মাই সুইট লুভিয়া [6] (আমার মিষ্টি বৃষ্টি) ব্লগের লেখক, যেখানে তিনি তার প্রতিদিনের জীবনের কথা লেখেন আর দুই দেশের পরিস্থিতির মধ্যে তুলনা করেন [7]:

Aqui en España muchos niños comen en la escuela y cada escuela tiene su nutricionista que se dedica a balancear la comida diaria. Que les encantan la cerveza y las tapas? Si, pero con moderación. Se toman dos o tres copitas y un bocata, no se atascan tres litros o mas de cerveza en una noche y se comen todos los tacos y el pozole que les es posible.

এখানে স্পেনে অনেক বাচ্চা স্কুলে খায় আর প্রত্যেক স্কুলের নিজস্ব পুষ্টিবিদ আছেন যিনি প্রতিদিনের খাবারের সমতা রক্ষার দায়িত্বে আছেন। তারা কি বিয়ার আর তাপাস পছন্দ করেন? হ্যাঁ, কিন্তু অল্প। এরা (স্প্যানিজরা) দুই তিনটা পানীয় আর একটি বাগেট খাবেন, তারা এক রাত্রে তিন লিটার বা তার বেশী পান করবেন না, আর যতো টাকোস বা পোজোলে [8] খেতে পারেন তা খাবেন না।

সমাজের গুরুত্বপুর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে ব্লগ; যেহেতু এর সাহায্যে বেশ কিছু মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা আর তথ্য আদান প্রদান সম্ভব, বা এই ক্ষেত্রে, এক দেশের মানুষ যারা আর এক দেশে বসবাস করেন। উদাহরণস্বরূপ, মেক্সিকানোস এন এস্পানা [9] স্পেনে বসবাসকারী মেক্সিকানদের জন্য সব থেকে বড় আর উপকারী অনলাইন সমাজ। মাদ্রিদে মেক্সিকান সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ঘোষণা ছাড়াও তারা চাকুরির সুযোগ ঘোষণা, মেক্সিকান মিডিয়ার লিঙ্ক যেমন সংবাদপত্র, টিভি অনুষ্ঠান, ম্যাগাজিন ইত্যাদির আর মেক্সিকান রান্নার বিভিন্ন পরামর্শও দেয়।

অন্য কথায়, এইসব ব্লগ স্পেনে বসবাসকারী মেক্সিকানরা গত কয়েক বছর ধরে যে অনলাইন বিপ্লব ঘটাচ্ছেন তার উদাহরণ। যেহেতু এইসব ব্লগের ক্ষমতা আছে মানুষকে একত্র করার, তাদেরকে জানান, আর তাদেরকে বাড়িতে থাকার অনুভূতি দেয়া, যদিও তারা তাদের প্রিয় বাসভূমি থেকে অনেক মাইল দূরে আছেন।