- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

লেবানন, সিরিয়া: ২০১০ বিশ্বকাপের জন্য ব্লগাররা তাদের গা গরম করা শুরু করে দিয়েছে

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., লেবানন, সিরিয়া, খেলাধুলা

[1]ফুটবল বিশ্বকাপ [2] শুরু হবার আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকী এবং পুরো লেভান্ত [3] (আস শাম বা মাশরেক হিসেবে পরিচিত আরব জগত, যার মধ্যে লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান প্যালেস্টাইন, ইজরায়েল ইত্যাদি রাষ্ট্র অর্ন্তভুক্ত) জুড়ে ব্লগাররা তাদের কি বোর্ড ব্যবহার করছে এবং ক্যামেরা চাবি (শাটার) নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, প্রতি চার বছর পরপর যে বিশ্বকাপ এখানে উন্মাদনার সৃষ্টি করে তার দৃশ্য তুলে ধরতে।

সিরিয়া এবং লেবাননের জাতীয় ফুটবল দল কখনোই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তারপরে তা এখানকার লোকজনকে বিশ্বকাপের একনিষ্ঠ সমর্থক হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি এবং যে কোন ভাবেই হোক তারা তাদের প্রিয় দলের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করবেই। +৯৬১ [4] ব্লগের লেবানিজ ব্লগার রামি বর্তমান সময়কার ফুটবল জ্বরের বেশ কিছু রূপ প্রকাশ করেছে, তবে তার কিছু স্বদেশী যা করছে, তাতে তিনি খুশি নন। তিনি বলেন:

লোকজন ওই সমস্ত ছোট ছোট পতাকা তাদের গাড়িতে এবং বারান্দার ছাদে লাগাচ্ছে, এটা দেখতে হয়ত অদ্ভূত মনে হতে পারে, কিন্তু তা দারুণ এক ব্যাপার, যতক্ষণ এটি লোকজনকে রাজনৈতিক আলোচনা থেকে খানিকটা মুখ ফিরিয়ে রাখতে সক্ষম, ততক্ষণ পর্যন্ত।

তারপরেও, এটা সত্যিই বেদনাদায়ক বিষয়, যখন কেউ ১ মিটার চওড়া বা ১ মিটার লম্বা কোন পতাকা হাতে পায়! আমি নিশ্চিত যে, কেউ এই টাকা আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে!

[5]

ছবি +৯৬১ ব্লগের সৌজন্যে

অন্যদিকে কেন লোকজন ভিন্ন কারণে একটি বিশেষ দলকে সমর্থন করে সিরিয়া থেকে নাসডাক তা বিশ্লেষণের কাজে লেগে পড়েছে। তিনি ধর্মকে সমর্থনের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন [6] [আরবী ভাষায়]:

تطالعنا الأخبار كل فترة حول إسلام احد اللاعبين بالتالي زيادة شهرته في العالم الإسلامي وتوجه الناس لتشجيعه وتشجيع فريقه وحمل صوره و و و فقط لأنه أصبح مسلماً و لذا تشجعه .
যখনই আমরা কেউ শুনি যে, একটি খেলোয়াড় মুসলমানে পরিণত হয়েছে, তখনই তা তাকে ইসলামিক জগতের তারকা বানিয়ে ফেলে। সেখান লোকজন তার নামে জয়ধ্বনি করে ও তার দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেয় এবং তার ছবি বহন করে, ইত্যাদি। এই সব কাজ তারা করে যেহেতু সে একজন মুসলিম, এবং কেবল এই একটি মাত্র কারণেই তাকে সমর্থন করে।

একই সাথে তিনি সিরিয়ার তরুণদের “দক্ষতার” বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, যাদের অন্যতম সেরা টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য অর্থ প্রদান করার সমর্থ নেই, কাজেই চ্যানেলটিকে কি ভাবে টিভিতে আনা যায়, এরা তার সঙ্কেত উদ্ধার করে এবং বিনে পয়সায় খেলা দেখে।

طبعا لا احد يشك بقدرة الشباب السوري على تجاوز كل المعيقات التي تظهر أمامه – عدا المعيقات الرسمية – للوصول إلى أهدافه ، منذ أن كانت مجموعة محطات ART بأوج قوتها قام بعض الشباب باختراق شيفرة الترميز للبطاقات، ومع دخول الجزيرة الرياضية وغيرها تحركت مواهب الشباب وأصبح لدينا جيش من خبراء فك التشفير الذين لم يدرسوا في الجامعات ولم يقرأوا كتب في هذا المجال ، وربما تغلبوا على مهندسين في كسر الشيفرات الصعبة ومشاهدة قنوات رياضية مشفرة ومجانا .
অবশ্যই বলা যায়, কেউ সিরিয়ার তরুণদের যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করে না। যারা পথের সকল কঠিন বাঁধাকে অতিক্রম করে যায়, তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য, এমনকি সরকারি প্রতিবন্ধকতাকেও তারা পার হয়ে যায়। যখন এআরটি টিভি চ্যানেল পূর্ণমাত্রায় চলছে, তখন কয়েকজন তরুণ তাদের কার্ডের সঙ্কেত (চ্যানেল দেখার জন্য বিক্রি করা বিশেষ কার্ড) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং এদিকে আল জাজিরার ক্রীড়া চ্যানেল চালু হয়েছে এবং আমাদের একদল বিশেষ সেনা রয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সঙ্কেত উদ্ধার বিষয় পাঠ করেনি বা তারা বই পড়ে এ সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করেনি, এবং সঙ্কেত উদ্ধারের জন্য যে সব প্রকৌশলীরা রয়েছে, সম্ভবত আমাদের সেনারা তাদের চেয়ে দক্ষ এবং তারা এই সঙ্কেত আবিষ্কারের মাধ্যমে বিনে পয়সায় অন্যতম সেরা সব ক্রীড়া চ্যানেলগুলো দেখতে সক্ষম হয়।

লোলিট্টো [7] মন্তব্য করেছে যে সে ইতালীর ফুটবল দলের জন্য জয়ধ্বনি দেবে এবং নাসডাক থেকে দ্রুত এর প্রতি উত্তর চলে আসে:

তুমি এক বালিকা, কাজেই এটাই স্বাভাবিক যে তুমি ইতালীর জন্য উল্লাসধ্বনি দেবে, যখন আমার দাদি তরুণী ছিলেন, তখন তিনিও ইতালীর জাতীয় দলের জন্য উল্লাসধ্বনি দিত এবং তার মতে, এমনকি ইতালীর বর্তমান দলটির সদস্যরা চেয়েও তারা বেশি সুদর্শন ছিল।

এবং লেবাননের ইন্ডিপেন্ডেস ০৫ ব্লগ “পতাকা নির্মাণ শিল্পের” আরো ছবি প্রকাশ করেছে [8], বিশ্বকাপের সময় যে শিল্পের বিকাশ ঘটে থাকে:

[9]

বৈরুতে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে- ইন্ডিপেন্ডেন্স ০৫ ব্লগের সৌজন্যে

[10]

ইন্ডিপেন্ডেন্স ০৫ -এর সৌজন্যে

অন্যদের মত সে এ কারণে এমন এক জায়গায় বাস করে যা কোন এক ভাবে বিশ্বকাপের চরম উত্তেজনাপূর্ণ মনোভাবের মধ্যে থাকা, কিন্তু সেও একই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়:

এর ফলাফল? কেবল মজা, মজা, মজা।