মনে হয় ইরান বিস্ময়ের দেশ আর এর বিস্ময়ের কোন শেষ নেই। আন্তর্জাতিক আর ইরানী মিডিয়া জানিয়েছে যে সাম্প্রতিক কালে ইরানী জাতীয় বীরদের ১১টি তামার মূর্তি চুরির পিছনে ধর্মীয় কারন থাকতে পারে।
রাজধানীর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত উদ্যান থেকে চুরি হওয়া এই মূর্তিগুলোর মধ্যে বিশিষ্ট সাহিত্য পণ্ডিত মোহাম্মাদ মঈন (ছবিতে ডান দিকে, মেহের সংবাদ সাইটের সৌজন্যে) আর ইরানী সাংবিধানিক বিপ্লবের বিশিষ্ট ব্যক্তি সাত্তার খানের মূর্তি আছে।
মোক্তাসাতেহোনার ব্যঙ্গ করে বলেছেন:
এমন পরিমানে মূর্তি চুরি করা সাধারন জিনিসে পরিনত হয়েছে আর মানুষ এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে…মেয়রের অফিস এইসব চুরি বন্ধ না করে মিডিয়া আর সাংবাদিকদের বোঝাচ্ছে যে এটা উচ্চ ক্ষমতা আর পরিকল্পনা সম্বলিত চোরের কাজ…যেন ইরানীরা বুঝতে পারেননি যে দিনের বেলা ৪০০ কেজির মূর্তি চুরি করা সাধারন চোরের কাজ না।
আর একজন ব্লগার, এভামলিঙ্ক, সেইসব মূর্তির ছবি প্রকাশ করেছেন যা এখনো চুরি হয়নি।
আর নঘ্রি নেভেস্ত লিখেছেন:
হয়ত এইসব মূর্তি চুরি হয়নি, কোন ধর্মীয় দল জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত স্থান থেকে এদের সরিয়ে নিয়েছে। এরা যদি এমন স্বচ্ছভাবে করতো, মানুষ হয়ত বিক্ষোভ করত। তাই এখন চুরির নামে এটা করা হচ্ছে।
উক্ত ব্লগার ভাবছেন এগুলো চুরি হয়েছে নাকি ‘গায়েব’ করা হয়েছে। যাই হোক না কেন, ঘটনাটা দু:খজনক।