ম্যাসেডোনিয়ার ইন্টারনেটে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর এগ্রিগেটর (সমন্বয়ক) পিঙ্ক.এমকে [1] এর রান্নার গ্রুপের কার্যকলাপ বিচার করে দেশটির সব থেকে সচল ও জনপ্রিয় খাবার নিয়ে ব্লগ হচ্ছে সিত্নো সেকানো [2] (ভালোভাবে ফালি করা)।
সিত্নো সেকানো নিয়মিতভাবে ম্যাসেডোনিয়ান আর ইংরেজী ভাষায় তিনজন লেখক দ্বারা পরিক্ষিত রান্নার রেসিপি প্রকাশ করে ছবি সহকারে, যা বিভিন্ন স্তরের অন্তর্দৃষ্টি দেয়। এখানে আছে স্প্রিং ক্যারট কেক [3] এর রেসিপি:
২০০৯ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে এই ব্লগের প্রভাব ক্রমে বাড়ছে। তাদের মূল বিষয়ের অভিনবত্ব, বিপণন এর প্রচেষ্টা দ্বারা যা সমর্থিত যেমন ম্যাসেডোনিয়ার ব্লগ জগতে প্রথম উপহার কর্মসূচী [4]। এদের রেসিপি অন্যান্য ব্লগে দেয়া হয় যেমন বল্কান কুইজিন [5]।
এই ক্ষেত্রে উঠতি এক জনপ্রিয় ব্লগ ভেজিটারিজানস্টভো (সবজি) যেটা বিষয়ভিত্তিক ব্লগ প্লাটফর্ম কাউজা.এমকে তে হোস্ট করা। এটিকে সামাজিক পরিবর্তনের প্রচারণার বিষয় [6] হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।
আর একটি উঠতি খাওয়ার ব্লগ প্রিকাজনি ওড এডনা মালা কুজনা [7] (ছোট রান্নাঘরের গল্প), যেটা বিশেষ একধরনের রেসিপি উপস্থাপন করে: হাতে লেখা নোটখাতার ছবি যার সাথে পোস্টে বাড়তি তথ্য থাকে। যেমন নাবিকের সালাদ [8] (ম্যাসেডোনিয়ান ভাষায়):
সময়ে সময়ে, ‘সাধারণ’ ব্লগাররাও তাদের খাবার সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখেন। যেমন, বোচভারোভ একবার তার ‘মাংসের ইট [9]’ খাবারের বর্ণনা দিয়েছিলেন যেটা ৩০ কেজি কিমা করা শূকরের মাংস, ৫ কেজি রসুন আর ২ লিটার মদ দিয়ে তৈরি..
রান্নার ব্লগের শক্তিশালী ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য স্বাদের বৈপরিত্যে, ব্যবসায়িক রান্না সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট যেমন হ্রানা [10] (খাদ্য) আর গুরমান [11] (গৌরমান্দ), একটি কর্পোরেট চেহারা উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাঝে মাঝে অন্যান্য বিষয়ের ওয়েবসাইটেও খাবার ব্লগের গল্প প্রকাশ করে। ভেব সাজত না দেনত (আজকের সেরা ওয়েবসাইট) এ একটা বিভাগ আছে রান্নার ওয়েবসাইটের পর্যালোচনার [12] আর মেসিডোনিয়ার ক্যান্সার পোর্টাল প্রায় তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার বিভাগে [13] খাদ্য আর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আলোচনা করে। টিকভেশ ওয়াইনারি [14], কথিত প্রথম ম্যাসিডোনিয়ান কোম্পানি ব্লগ, মাঝেমাঝে খাদ্য আর মদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
তবে, ম্যাসেডোনিয়ার ভাষাতে লেখা রান্না বিষয়ক অনলাইন প্রকাশনার সংখ্যা কম, আর স্থানীয় ব্লগ জগতের প্রভাব এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। হয়ত এই কারনে, যখন স্থানীয় সর্ববৃহৎ খাবার ব্র্যান্ড হ্রানা ই ভিনো [15] (খাদ্য আর মদ, যেটার একটা টিভি শো আর ম্যাগাজিন আছে- একটা সংখ্যা প্রকাশ করেন ‘ইন্টারনেট থেকে রেসিপি’ শিরোনামে, তার সকল সূত্র ছিল সার্বিয়ার ব্লগ – যেমন পালাচিঙ্কা [16] (প্যানকেক) আর মোজে গ্রনে [17] (আমার হাঁড়ি)।