মরোক্কো: সীমান্তের বাইরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নওফেলের অভিজ্ঞতা

নওফেল চারা মরোক্কোর প্রতিভাবান একজন ব্লগার। তার ওয়েবসাইট সম্প্রতি ডয়েশে ভেলের ২০১০ ববস আন্তর্জাতিক পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ আরব ব্লগ শ্রেনীতে। নওফেলের সাধারণত: তার দেশের মানুষ সম্পর্কে আর আরব বিশ্ব সম্পর্কে বিদ্রূপাত্মক দৃষ্টিভঙ্গী প্রায় ভালো সাড়া ফেলে দেয় তার বিশাল পাঠকশ্রেণীর মধ্যে।

মনে হতে পারে একটি প্রতিবাদী কণ্ঠ কেবলমাত্র স্থানীয় স্বৈরাচারী কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা দ্বারা প্রতিহত হতে পারে, কিন্তু নওফেলের জন্য বড় বিস্ময় ছিল যখন তিনি জানতে পারেন তার ব্লগ আসলে সীমান্তের বাইরে নিষিদ্ধ হয়েছে।

নীচের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে এই ব্লগার জানিয়েছেন তিনি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কি করে জানতে পারলেন আর এটার প্রভাব তার লেখার উপরে কিভাবে পড়েছে।

আপনি কি আপনার ব্লগের পরিচয় করিয়ে দেবেন আর আপনি কি ধরনের বিষয়ে লেখেন তা জানাবেন?

حسنا ..في مدونتي اكتب عن كل شيء..عن الديمقراطية الغائبة..عن حقوق الانسان التي لم نجدها بعد و عن يوميات الوطن العربي..باختصار عن وجهة نظري في الاحداث التي تقع.
আমার ব্লগে, আমি সব কিছু নিয়ে লিখি: গণতন্ত্রের না থাকা, মানবাধিকার লঙ্ঘন আর আরব বিশ্বের প্রতি দিনের জীবন নিয়ে। সংক্ষেপে বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আমার মত আমি লিখি।

আপনি কি করে জানতে পারেন যে কিছু আরব দেশে আপনার ব্লগ ব্লক করা হয়েছে?

كنت اتحدث مع الزميلة لينا بن مهني من تونس حول حجب مدونتها، بعدها اخبرتني ان مدونتي محجوبة هناك، في اليوم التالي كنت ادعوا بعض الأصدقاء الى التصويت على مدونتي في جائزة البوبز، حيث تأهلت الى المرحلة النهائية..عندها سأعلم ان المدونة حجبت في السعودية و الامارات.
তিউনিশিয়ার সহকর্মী লিনা বেন মেন্নির সাথে তিউনিশিয়ায় তার ব্লগে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কথা বলার পরে তিনি বলেন যে আমার নিজের ব্লগও ওখানে ব্লক করা। পরের দিন ববস আন্তর্জাতিক ব্লগ প্রতিযোগিতায় আমার ওয়েবসাইটের জন্য ভোট দিতে আমি আমার কিছু বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করছিলাম, তখন আমি জানতে পারি যে আমার ব্লগ সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিষিদ্ধ।

আপনি এই সেন্সরশিপকে কিভাবে ব্যাখ্যা করেন?

في تونس الأمر بديهي، كل تضامن مع نشطاء حقوق الانسان هناك يؤدي الى المنع..السعودية تفعل نفس الامر مع من تعتبرهم أصوات علمانية..الامارات هي علامة الاستفهام و لا أدري لماذا حجبت مدونتي هناك.
তিউনিশিয়াতে কারণ পরিষ্কার: মানবাধিকার কর্মীদের সাথে একাত্মতার কোন নিদর্শন সেখানে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে। সৌদি আরব একই কাজ করছে সেই সব কন্ঠের সাথে যাদেরকে তারা বেশী ধর্ম নিরপেক্ষ মনে করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। আমার কোন ধারণাই নেই আমার ব্লগ কেন ওখানে নিষিদ্ধ হল।

আপনার ব্লগের পাঠকদের প্রতিক্রিয়া কি ছিল?

الأراء اجتمعت حول أن حجب المدونة في دول تقيد حرية التعبير و توضع دائما في أسفل ترتيب حقوق الانسان هو نيشان للمدونة
মতামত একটিই ছিল: যারা প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বনে পরিচিত আর তাদের নিম্নমানের মানবাধিকার রেকর্ড আছে সেইসব দেশ দ্বারা নিষিদ্ধ হওয়া একটি ব্লগের জন্য সম্মানের তলোয়ার।

এই নিষেধাজ্ঞা আপনার ব্লগে লেখার ধরনে কি প্রভাব ফেলবে?

قطعا لا..أسلوبي و كتاباتي وجدوا قبل المدونة..حجبها هناك لا يعني لي شيئا سوى ضياع قراء محتملين للمدونة
অবশ্যই না। আমি আজও সেইভাবে লিখি যেমন ব্লগ শুরু করার আগে লিখতাম। এই নিষেধাজ্ঞার কোন মূল্য আমার কাছে নেই পাঠকদের সম্ভাব্য ক্ষতি ছাড়া।

এই সেন্সরশিপ পাশ কাটানোর উপায় কি আছে?

خبرتي بالأمور التقنية ضحلة للغاية..و لا أدري فعلا ان وجدت طرق .للالتفاف حول هكذا حجب
আমার প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা খুব সীমিত আর আমি আসলেই জানি না এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে পাশ কাটানো যাবে কিনা।

কোন শেষ চিন্তা?

فقط شكري لمن راسلوني أو من عبروا لي عن مساندتهم..
আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে সমর্থন করেছেন।

* এই লেখা গ্লোবাল ভয়েসেস এডভোকেসিতেও প্রকাশিত হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .