২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গ্লোবাল পালস ২০১০ এর লক্ষ্য হচ্ছে ২০,০০০ এর বেশী ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের একটা অনলাইন কথোপকথনের আয়োজন করা যেখানে মানব উন্নয়ন থেকে প্রযুক্তি পর্যন্ত বিষয় আলোচিত হবে।
এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর করেছে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আর এর লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের নাগরিকদের একটা সুযোগ দেয়া যাতে তারা সামাজিক সমস্যার সমাধান নিয়ে নতুন সব ধারণা সম্পর্কে তাদের মতামত জানাতে পারে। ইউএসএইড বলেছে যে অনলাইন এই অনুষ্ঠানের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে গত বছর জুন মাসে কায়রোতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেয়া এক বক্তৃতা যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তিনি বাকি বিশ্বের সাথে সহযোগিতা বাড়াবেন।
আলোচনার দশটি বিষয়
অনুষ্ঠান রাত বারোটায় (জিএমটি সময়) শুরু হবে আর এক নাগারে ৭২ ঘন্টা ধরে চলবে। অংশগ্রহণকারীরা অনলাইনে একে অনুসরণ করে বেশ কয়েকটি সরাসরি আলোচনায় একই সাথে মন্তব্য করতে পারবেন। সকল আলোচনা সেইসব খ্যাতিমান নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হবে যারা মতামতে নেতৃত্ব দেন। আরও থাকবেন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী আর এনজিও সদস্যরা, যার মধ্যে আছেন বিখ্যাত সেনেগালিজ সঙ্গীত শিল্পী ইয়োসু এন’দুর যিনি ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে চালাচ্ছেন জোরালোভাবে, আর ইকবাল জেড কাদির, বাংলাদেশে গ্রামীনফোনের প্রতিষ্ঠাতা, এবং ইথান জুকারম্যান, গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
অন্তত ১২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারীরা দশটি বিশাল বিষয়ে আলোচনা করবেন, যার তালিকা এখানে দেয়া হয়েছে:
- নতুন একটা প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা
- নারী আর মেয়ে শিশুদের ক্ষমতায়ন করা
- প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান
- শক্তিশালী সহযোগিতা গঠন
- রাজনৈতিক আর নাগরিক অধিকার চর্চা করা
- বিশ্ব স্বাস্থ্য তুলে ধরা
- নতুন উদ্যোগ, বানিজ্যিক আর অর্থনৈতিক সুযোগ এগিয়ে নেয়া
- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর নতুন উদ্ভাবনকে লালন করা
- একটা চিরস্থায়ী গ্রহের ধারণাকে সমর্থন করা
- বড় প্রতিবন্ধকতাকে দুর করা
নতুন প্রযুক্তি
একই সময়ে হাজার হাজার মানুষকে অনলাইনে একত্র করা কষ্টকর কাজ হতে পারে। সৌভাগ্যক্রমে, আইবিএম জ্যাম নামে যে ফোরাম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তাকে এরই মধ্যে অন্য অনুষ্ঠানেও সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
২০০৫ সালে বিল টিপ্টন তিন দিনব্যাপী একটা অনলাইন অনুষ্ঠান হ্যাবিটাট জ্যামে অংশগ্রহন করেছিলেন- যেখানে শহরের স্থায়ীত্ব নিয়ে ধারনা চাওয়া হয়েছিল। গ্লোবাল ডায়লগ সেন্টারের এক ব্লগে তিনি তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানিয়েছেন:
২০০৫ সালের এমন একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি জানি যে এটি কাজ করবে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ- বিশেষ করে সরকারী আর ব্যবসায়ী নেতা, এনজিও কর্মকর্তা আর বিশেষজ্ঞ- একত্র হয়েছিলেন এমন সব বাস্তব সমস্যা আর সমাধানের ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে যা বিশ্বের শহুরে সমাজ মুখোমুখি হচ্ছে।
সেই খুবই চমৎকার জ্যামে পরিচিত হওয়া মানুষের সাথে আমি এখনো সম্পর্ক রাখি আর কাজ করি আর আশা করছি আরো দারুণ মানুষের সাথে দেখা হবে গ্লোবাল পালস ২০১০ এ।
অংশগ্রহণ
গ্লোবাল পালস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য, আপনার কেবল একটা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ দরকার- আর আপনাকে ২৯শে মার্চ এর আগে রেজিস্টার করতে হবে (বিনামূল্যে)। আপনি টুইটারে @globalpulse2010 অনুসরণ করতে পারেন বা হ্যাশট্যাগ #গিপি২০১০ দিয়ে সংবাদ ট্যাগ করতে পারেন। একটি ফেসবুক পাতাও আছে প্রায় ৭০০ ভক্তসহ, যেখানে এ সংক্রান্ত পরামর্শ এরই মধ্যে পোস্ট করা হয়েছে।
অলিভার মুপিলার একটি ধারণা এমন:
জিজ্ঞাসা: গ্লোবাল পালস কি পারবে কার্যকর নির্দেশক দিতে সূচনা থেকে তদন্তকারী এজেন্সি পর্যন্ত বিশাল দুর্নীতির অগ্রগতি অনুসরণ করার ব্যাপারে, বিশেষ করে ডাইরেক্টর অফ প্রসেকিউসন্স পর্যন্ত। এটি পারবে কি পরে ব্যক্তি অধিকার খর্ব না করে ন্যায় বিচারে বা নাম বদনাম না করে আদালতের দিকেও লক্ষ্য রাখতে আর বিচারে অভিযুক্ত হওয়ার আগে আদালতে থাকাকালীন সেই দুর্নীতির অভিযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে? এই ক্ষেত্রে কোনটিকে ভালো চর্চা বলা হয় আর কোন দেশ কি আছে যারা এটা ভালোভাবে করে? আর আফ্রিকার সংবাদদাতারা সরকারের সুনজরে কেন নেই?
ইউএসেইডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ড: রাজিভ শাহ এর মতে অনলাইন এই সামিট এমন ব্যক্তিদের একত্র করবে যারা সাধারণত মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সাথে এক টেবিলে বসেন। এটা কি গণতন্ত্রের দিকে একটা পদক্ষেপ হতে পারে? দেখাটা অন্তত উপাদেয় হবে।