- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

প্যালেস্টাইন: হুরভা সিনাগগ খোলাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, প্যালেস্টাইন, ধর্ম, প্রতিবাদ, রাজনীতি

ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদের [1] মধ্যে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে জেরুজালেমের পুরানো শহরে পুনর্নির্মিত হুরভা (ধ্বংসস্তুপ) সিনাগগকে [2] জনসাধারণের জন্যে খোলা হয়। বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নেতা এর নিন্দা [3] করেছেন এবং একে তারা আল আকসা মসজিদকে [4] ধ্বংসের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দেখছেন, যা মাত্র ৭০০ মিটার দূরে অবস্থিত।

জেরুজালেমে যা হচ্ছে সেই ব্যাপারে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের আচরণের সমালোচনা করেছেন মোহাম্মাদ আবু আল্লান, কারণ তারা বড় ধরনের জাতীয় কনফারেন্সের আহ্বান জানিয়েছে কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা সিদ্ধান্ত নিতে। তিনি বলেছেন [5]:

الأمر يبدو وكأن الإجراءات الإسرائيلية في القدس وغيرها من المدن الفلسطينية أمر مستجد وليس سياسة دائمة منذ عشرات السنين .. هذه الخطوة الفلسطينية المنتظرة دلالة واضحة على غياب إستراتيجية واحدة موحدة في مواجهة الاحتلال، وسياسة فلسطينية قائمة على ردة الفعل بالدرجة الأولى وليس ضمن سياسة مؤسسية مرسومة تتناسب مع حجم الحدث المضاد من قبل سلطات الاحتلال
মনে হচ্ছে জেরুজালেম আর অন্যান্য ফিলিস্তিনি শহরে ইজরায়েলের কাজ একটা বিষয় নীতি না হয়ে যা কার্যে আছে বেশ কয়েক শতক ধরে… ফিলিস্তিনিদের এই প্রত্যাশিত পদক্ষেপ পরিষ্কার নির্দেশক যে একটা সম্মিলিত কৌশলের অভাব এই দখলের বিরুদ্ধে, একটা ফিলিস্তিনি নীতি যা মূলত প্রতিক্রিয়ার উপরে ভিত্তি করে গঠিত, যা একটা পরিকল্পিত নিয়মতান্ত্রিক নীতির অংশ না যা যথোপযুক্ত বিরোধী কর্তৃপক্ষের বিরোধী কাজের মাত্রার সাথে।

ওলা এলিওয়াট তার পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চান ৪০ বছর আগে আল আকসা মসজিদে আগুন [6] লাগার সময়ে গোল্ডা মায়ার [7] কি করেছিলেন আর বলেছিলেন। তিনি বলেন [8]:

قبل 40 سنة لما انحرق المسجد الأقصى، كانت رئيسة الوزراء الإسرائيلية وقتها هي جولدا مائير، فلما صار اللي صار اختبات وطلبت تشديد الحراسة عليها، فسألوها ليش هيك مرعوبة، قامت حكت: إنتوا عارفين شو يعني المسجد الأقصى ينحرق؟ هلأ الأمة العربية والإسلامية كلها رح تثور علينا ..

চল্লিশ বছর আগে আল আকসা মসজিদে যখন আগুন লাগে, গোল্ডা মায়ার, সেই সময়ের ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী, লুকিয়ে নিজের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা দাবি করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি এতো আতঙ্কিত কেন আর তিনি উত্তর দেন,” আপনারা কি বোঝেন আল আকসা মসজিদ পোড়ানোর মানে কি? এখন আরব আর ইসলামি বিশ্ব আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে…”

বেশ কিছু ক্রুদ্ধ বার্তা আর প্রশ্নের তালিকা করে, ওলা জিজ্ঞাসা করেছেন:

بس يا ترى لو انهدم الأقصى رح يصير اللي كانت مائير خايفة منه وهو إنه أمة كاملة تصحى؟ ولا حيصير اللي إحنا خايفين منه، وهو إنه أمة كاملة تنمسح بكرامتها الأرض؟
কিন্তু আল-আকসা যদি ধ্বংস করা হয়, তাহলে মায়ার যা ভয় পাচ্ছেন তা কি হতো, যে পুরো জাতি জাগ্রত হবে? নাকি আমরা যা ভয় পাই তাই ঘটবে- যে পুরো জাতি অপমানিত হবে?

হায়াত আল আলম নামে ব্লগার গাজাবাসী হিসাবে জেরুজালেম আর আল আকসা মসজিদ সম্পর্কে দেশপ্রেম মূলক ভাব বর্ণনা করেছেন [9]:

كَوْني فلسطينية كل قطرة دم تجري في شراييني هي غَزِّية بحتة خالصة لا شائبة تشوب أصالة نسبي لابدَّ وأنّ كلّ خليةٍ في جسدي تتوجه الآن بكل أيضياتها نحو القدس -على اعتبارها الشغل الشاغل للإعلام وأفواه الناس هذه الأيام لما لا يخفى على أحد من محاولات تهويد ومسح لكل أثر يدل على وجود معلم تاريخيّ أثريّ دينيّ إسلاميّ قدسيّ يسمى المسجد الأقصى عن أرض بيت المقدس , بل ومحاولة ليس فقط محو التاريخ بل وإعادة صياغته من جديد ..
ফিলিস্তিনি হিসাবে, আমার শরীরের প্রতি বিন্দু রক্ত বিশুদ্ধ গাজাবাসী হিসাবে, আর আমার উৎসতে কোন অবিশুদ্ধতা নেই, আমার শরীরের প্রতি বিন্দু এখন জেরুজালেমের দিকে ফিরছে, এই জন্য যে এটা মিডিয়া আর মানুষের আজকাল কথোপকথনের প্রধান বিষয় হয়ে গেছে। এই শহরটাকে ইহুদিদের মতো করার পরিষ্কার প্রচেষ্টা থেকে আর আল আকসা নামে ইসলামের পবিত্র ঐতিহাসিক মনুমেন্ট এর সকল অস্তিত্ব জেরুজালেম থেকে মুছে ফেলা থেকে দেখা যায়। এটা অবশ্যই ইতিহাস মুছে ফেলা না তা আবার লেখার প্রচেষ্টা।