ফ্যান ইয়াংকিয়ং (范燕琼), ইউ জিঙ্গিউ (游精佑) আর উ হুয়েইং (吴华英) এর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এর বিচারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলতে রাখা মামলার রায় আজ ১৯শে মার্চ, ২০১০ তারিখে হওয়ার কথা ছিল। এই তিনজন কর্মী ফুঝাওতে পুলিশের কাছে আটক আছেন গত গ্রীষ্মে তাদের গ্রেপ্তারের পর থেকে ।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে লিন জিউং এর সাথে একটি চলচ্চিত্রায়িত সাক্ষাৎকার থেকে যেখানে তিনি তার মেয়ে ইয়ান জিয়াওলিংকে পুলিশ দ্বারা গণ ধর্ষণের পরে হত্যা করার সন্দেহের কথা বলেছেন। এই ফুটেজ অনলাইনে বিতরণ করা হয়, যার ফলে ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে বেশ কিছু নেট নাগরিক গ্রেপ্তার হন। এদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজনকে দ্রুত মুক্তি দেয়া হয় আর যে দুই নারী আর একজন পুরুষ পুলিশ হেফাজতে এখনো আছে, তাদের সম্পর্কে লিন জিউং অনেক বার বলেছেন যে তাকে সাহায্য করার জন্য এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেশ কয়েকজন নেট নাগরিক ফুঝোও এর মাওয়েই জেলার আদালতে হাজির হন বিচারের আগে আজ সকালে রায় মাইক্রোব্লগের মাধ্যমে জানানোর জন্য। এদের মধ্যে পরিচিত নাগরিক সাংবাদিক আর দারিদ্রের বিরুদ্ধে কর্মী টাইগার টেম্পল (লাওহু মিয়াও) ছিলেন যিনি সকাল ৯ তার কিছু পরেই টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে আদালতের কার্যক্রম মাত্র এক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, যেখানে বিচারক আরো তদন্তের জন্য রায় ঘোষণা মুলতবি করেছেন।
তিন নেটিজেনের আইনজীবি লিউ জিয়াওউয়ান, যিনি প্রায় ২০০টি ব্লগ পোস্ট লিখেছেন কেসের অগ্রগতির বিষয়ে, চীনা মানবাধিকার সংরক্ষকদের ওয়েবসাইটের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন বিচারের একটু পরেই যে, তাকে বাধা দেয়া হয়েছে স্থানীয় পিটিশন অফিসে প্রবেশ করা থেকে, তার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে প্রমানের অভাব জানিয়ে প্রোকিউরাটোরেটের কাছে একটা অভিযোগ দায়ের করা। লিউ সাক্ষাৎকারে আরো জানিয়েছেন যে আরো তদন্তের ব্যাপারে বিচারকের পূর্বের আহ্বানের ব্যপারে তাকে জানান হয়নি।
বিচারের পরে আদালত ভবনের বাইরে, প্রায় এক হাজার জন উপস্থিত ছিলেন; পুলিশ আর নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে হাতাহাতির কথা শোনা যায় যেখানে ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে আর ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। চীনা মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম জুসাতে আগে যা দেখা যেত তা এখন আর যায়না, কেবল মাত্র টাইগার টেম্পেলের কিছু আছে:
现场来了一个母亲控诉福州司法黑暗。
WHY女儿杜梅控诉流氓打人和抢走相机和手机,现在还没归还。
[সর্বশেষ খবর: আদালত ভবনের আরো চিত্র এখানে দেখা যাবে]
এখন টাইগার টেম্পলের ব্লগে একটা ভিডিও চিত্র পাওয়া যাবে যেখানে লিন জুইং তার মেয়ের মৃতদেহের ছবিসহ মামলার যেসব অগ্রগতি হয়েছে দা দেখাচ্ছেন: