- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

গুগুল, ইয়াহু আর অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানি কিউবাতে মুক্তভাবে কাজ করবে

বিষয়বস্তু: উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, কিউবা, যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতি, রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট [1] কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রত দেশগুলোতে আমেরিকার প্রযুক্তির কোম্পানিগুলোকে উন্মুক্ত করার [2] একটি সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথম কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত তা কিউবাতে রেডিওর নীরবতার সম্মুখীন হয়।

ট্রেজারির ইচ্ছা হচ্ছে যে ঐসব দেশে ‘তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করা [2]’ এই ধারণাতে যে ‘এটার রাজনৈতিক অবদান থাকবে অনেক ধরনের'। কিন্তু অনলাইনে এর খুব কম প্রতিক্রিয়া এই লক্ষ্যে সব থেকে বড় বাধার প্রতি ইঙ্গিত দিচ্ছে: সামাজিক মিডিয়া যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ ভালো সেখানে কাজ করে।

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন [3] অনুসারে, মাত্র ১৩% কিউবাবাসীর ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আছে, আর অন্য দুই দেশ যারা এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে, ইরান আর সুদান, তাদের জনসংখ্যার যথাক্রমে ৩১ আর ১০ শতাংশের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আছে।

কিউবার ব্লগ জগত থেকে প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে আসছে- দ্বীপের মধ্যে থেকে আর প্রবাসীদের ব্লগ থেকে- যেখানে এই বিষয়টা তুলে ধরা হচ্ছে। “এটা স্বেচ্ছাচারীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য থাকবে, কারন কিউবাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই,” মন্তব্য করেছেন ডিয়ারিও দে কিউবা [4] ব্লগের এল কোলমো

ডিয়ারিও দে কিউবা ব্লগের জুয়ান রড্রিগেজ বলেছেন [5]:

La dictadura militar cubana nunca dejara que el pueblo cubano tenga servicios de internet en sus casas:Desde que se implanto la dictadura ‘revolucionaria’ de Fidel Castro, al pueblo cubano le han bloqueado los accesos a las fuentes internacionales de informacion…ellos saben que mantener desinformado al pueblo cubano garantiza la sobrevivencia de la propia dictadura.

কিউবার সেনা একনায়করা কখনো কিউবার মানুষকে ইন্টারনেট সার্ভিস পেতে দেবে না বাড়িতে: ফিডেল কাস্ট্রোর ‘বিপ্লবী’ একনায়কতন্ত্রের শুরু থেকে, কিউবাবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক তথ্যের সূত্র বন্ধ হয়ে গেছে… তারা জানে কিউবার মানুষকে অজ্ঞ রাখা একনায়কতন্ত্রের সফলতা নিশ্চিত করবে।

অনেকের মতে সুযোগের অভাব একমাত্র কারণ না যা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দাবিয়ে রাখছে। হাভানা টাইমস লিখেছে [6]:

এইসব দেশ যদি আসলেই চায় যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট কোম্পানিকে ব্যবহার করার তাহলে অন্য কথা।

আর আমেরিকা বিরোধী মনোভাবের ব্যাপারটাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলে, কিউবা জার্নাল [7] “এইসব কিছুর গরিমাতে” শিরোনামে একটি পোস্টে লিখেছে:

আমি বলছি যে নতুন এই নিয়ম সাম্রাজ্যবাদীদের সাহায্য করবে এই তিনটে দেশের ভিতরে তারা যেসব পলাতকদের ভাড়া করেছে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে।

যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা নীতির ব্লগার ফিল পিটার্স [8] এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেছেন:

এটা অগ্রগতি, এই নীতি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ইন্টারনেট স্বাধীনতার ভাষণের সাথে মিল রেখে হচ্ছে।

আর ব্লগিং বাই বোজ [9] টুইটারে মন্তব্য করেছেন:

যুক্তরাষ্ট্র কিউবার সাথে বানিজ্য করা সকল ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তাদের কাছে এখন আর কোন অজুহাত নেই।

যদিও যে গুগুল আর ইয়াহুর মতো কোম্পানি এইসব দেশের মধ্যে কি করতে বা করতে পারবে না সে নিয়ে পরিষ্কার কোন নীতির ব্যাপারে তর্ক করা যায়, তবে সামনের দিকে এই পদক্ষেপ মনে হচ্ছে কেবলমাত্র বড় মাপের কোন পরিবর্তনের অভাব তুলে ধরেছে যা অনেক কিউবান আর কিউবান-আমেরিকানরা আশা করছেন।

এই পোস্টে ব্যবহার করা ছোট ছবিটি [10] ফ্লিকার ব্যবহারকারী ম্যানফ্রাইস [11] এর তোলা এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত।