প্যালেস্টাইন: ইব্রাহিমি মসজিদ সম্পর্কে ইজরায়েলের ঘোষণায় ক্ষোভ

ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণা যে পশ্চিম তীরের দখলকৃত স্থানে অবস্থিত বেথলেহেমের র‌্যাচেলের কবর আর হেবরনে অবস্থিত ইব্রাহিমি মসজিদ/পিতাদের গুহা দুটোই ইহুদি উত্তরাধিকার স্থান হিসাবে বিবেচিত হবে – তা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। কারণ ইব্রাহিমি মসজিদ/পিতাদের গুহা নবী ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী সারা আর অন্যান্যদের কবরস্থান হিসাবে বিবেচিত, আর এই স্থান ইহুদি আর মুসলিম সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্থানে মুসলিম প্রার্থনাকারীদের উপর ১৯৯৪ সালে গণহত্যা হয়েছিল।

ইব্রাহিমি মসজিদ/পিতাদের গুহা। ক্রিয়েটিভ কমন্সের আওতায় ব্যবহৃত

ইব্রাহিমি মসজিদ/পিতাদের গুহা। ক্রিয়েটিভ কমন্সের আওতায় ব্যবহৃত

প্যালেসস্টাইন থিংক ট্যাঙ্ক ব্লগের একটা পোস্টে তালাল শিহাদে বর্ণনা করেছেন ইব্রাহিমি মসজিদে ইজরায়েলি বসবাসকারীদের যাওয়ার কথা:

আমি পুরানো শহরে জন্মগ্রহণ করি, ইব্রাহিমি মসজিদের খুব কাছে। পশ্চিম তীর ১৯৬৭ সালে দখলের পর পর, দখলকারী সরকার প্রথম জনবসতি স্থাপন করে হেবরন নাগরিকদের ভূমিতে, যার নাম ছিল কিরিয়াত আরবা। বেশীরভাগ লোক যারা সেখানে বাস করছেন তারা আমেরিকান। ৭০ আর ৮০র দশকে বসবাসকারীরা মসজিদে যেতেন, তাদের ধর্মকর্ম করা জন্য ইজরায়েলি বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ১৯৯৪ সালের রমজান পর্যন্ত এরকম চলেছে। এরপর বারুচ গোল্ডস্টাইন ইব্রাহিমি মসজিদে গণহত্যার পরিকল্পনা করে (এতে ২৯ মুসলমান নিহত হন আর ১২৫ জনের বেশী আহত হন ফজরের নামাজের সময়ে) এবং ঘটনার পরে ইজরায়েলি দখলদাররা গোল্ডস্টাইন আর বসবাসকারীদের পুরস্কার দেন মসজিদটাকে দুই ভাগে ভাগ করে, মুসলিম আর ইহুদিদের জন্য। এর পরে মুসলিমদের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া সহজ আছে এই মসজিদে ঢোকার থেকে। তারা যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন তার মধ্যে আছে আইডি পরীক্ষা, শারীরিক পরীক্ষা আর স্ক্যানার মেশিনের মধ্য দিয়ে যাওয়া (স্থানীয় ইহুদী বসবাসকারীরা এর মধ্যে পরেন না)।

র‌্যাচেলের কবর আর হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদ নিয়ে বর্তমান ঘোষণার পরে, তালাল এই বলে শেষ করেছেন:

ভূমি, ইতিহাস আর উত্তরাধিকার চুরি করাই হচ্ছে… মধ্য প্রাচ্যে ইজরায়েলের শান্তি প্রতিষ্ঠার চাবি।

রেবেল স্পিরিটস, আর একজন ফিলিস্তিনি লেখক, হাজেমস ব্লগে তার ভাবনা জানিয়েছেন:

قد يكون صباح شؤم كما اعتدته منذ ايام طويلة ، و لكن اليوم ليس ككل الأيام و لأكن واضحة أكثر فقد كان بالأمس سببا لولادة هذا اليوم بكل ما يحمله من مآسي الشعب الفلسطيني . فقرار رئيس الوزراء الاسرائيلي بنيامين نتنياهو، ضم المسجد الإبراهيمي في مدينة الخليل المحتلة وما يسمي “قبة راحيل” في مدينة بيت لحم المحتلة إلى قائمة المواقع التراثية اليهودية ، إنما هو جريمة جديدة و مبرمجة تضاف لقاموس المجازر اليهودية بحق شعبنا عهدناها منذ عقود طويلة
আজকের সকাল বিপর্যয়ের হতে পারে যেমন সকালের সাথে অভ্যস্ত হয়ে আমি বড় হয়েছি, কিন্তু আজকে সব দিনের মতো না। আরো পরিষ্কারভাবে, গতকাল কিছু ঘটেছে, যার ফলে আজকের দিন এসেছে, আর এর সাথে বিপদ হিসাবে সব কিছু এনেছে ফিলিস্তিনি মানুষদের জন্য। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত ইব্রাহিমি মসজিদকে দখলকৃত হেবরোনের অন্তর্ভুক্ত করা আর বেথলহেমের ‘র‌্যাচেলস স্টোন’কে ইহুদিদের উত্তরাধিকার অঞ্চলে পরিনত করা, একটা নতুন আর হিসাব করা অপরাধ। এটিকে বিবেচনা করা যায় আমাদের মানুষের উপরে নৃশংসতার ইজরায়েলি তালিকার আর একটা সংযোজন হিসাবে যার সাথে আমরা অনেক দশক ধরে পরিচিত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .