পেরু: দেশের সব থেকে ভালো ছাত্রদের জন্য নতুন উচ্চ বিদ্যালয়

২০০৯ সালের প্রথম দিকে লিমা থেকে ২৫ কিমি পূর্বে হুয়াম্পানিতে প্রেসিডেন্ট অফ পেরু হাই স্কুল স্থাপনের ঘোষণা দেন পেরুর প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্সিয়া । এই ধারণার পিছনে আছে এক অভিলাষী শিক্ষা প্রকল্প, যার লক্ষ্য হচ্ছে দেশের ৪৭টি সেরা সরকারী স্কুলের ৫০০ জন সেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র যোগাড় করা। যারা এই স্কুলে ভর্তি হবে তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শেষের দুই বছর শেষ করবে এখানে আর দেশের সব থেকে ভালো শিক্ষক আর সুযোগ সুবিধা পাবে।

এতে ভর্তি এক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে হয়েছে আর ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায়। তবে কেউ কেউ আবেদন করার তথ্য জানানোর প্রক্রিয়ার ব্যাপারে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। যেমন, ব্লগ অটোএডুকেশন ডিজিটাল ব্লগের সারাভিয়া তথ্য প্রবাহ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু চিন্তা তুলে ধরেছেন:

Un capricho presidencial como lo llamamos desde el inicio a la creación del Colegio Mayor se ve envuelto en algo que de haber sido transparente su concepción y proceso, se hubiera evitado. Desde el inicio, el Prospecto costó mucho “bajarlo” de internet por la forma cómo había sido diseñado. El Lima, tal vez quienes tienen internet en su casa, fue fácil, pero quienes recurren a cabinas, tuvieron que gastar varios soles para bajar el Prospecto como para imprimirlo. ¿Se imagina cómo sería en provincias?

এটি হচ্ছে প্রেসিডেন্টের একটা খেয়াল, যা এই উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘোষণার দিন থেকে আমরা বলছি। এটি শেষ হচ্ছে প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অস্বচ্ছতা নিয়ে যা এড়ানো সম্ভব ছিল। প্রথমত: তথ্যের বিবরনী ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা খুব কঠিন ছিল, সাইটের ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইনের কারনে। লিমাতে যাদের বাড়িতে ইন্টারনেট আছে তাদের জন্য হয়ত এটা সহজ ছিল, কিন্তু যারা গণ ইন্টারনেট ব্যবহার করছিলেন, তাদেরকে বেশ কয়েক সোলস (পেরুর মুদ্রা) বেশী ব্যায় করতে হয়েছে প্রস্পেক্টাস ডাউনলোড করতে প্রিন্টের জন্য। ছোট জেলাগুলোতে কেমন হবে কল্পনা করা যায়?

এর সাথে ব্লগ এল আর্তে দে এন্সেনার এর পেড্রো মার্টিনেজ আরো কিছু চিন্তার ব্যাপার বলেছেন এই প্রক্রিয়ার আইনগত দিক নিয়ে, যেহেতু এই উচ্চ বিদ্যালয় সরকারী হবে:

Según la Ley no está permitido que los colegios seleccionen o discriminen con evaluaciones el ingreso de los estudiantes y si se va a escoger a los mejores alumnos de segundo año de secundaria de las instituciones educativas a nivel nacional a través de exámenes sicológicos y académicos, entonces se requerirá un régimen legal excepcional.

আইন অনুযায়ী, যে কোন স্কুল বাছাই এর উপরে ভিত্তি করে কোন ছাত্রকে গ্রহণ বা বর্জন করতে পারে না, আর দেশব্যাপি উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তারা যদি সব থেকে ভালো ছাত্র বাছাই করেন মনস্তাত্ত্বিক আর লেখাপড়ার পরীক্ষা দিয়ে, তাহলে খুব ভালো অন্য রকমের কোন আইনী ব্যবস্থা দরকার।

কিছু পেরুবাসী এই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন, আর পেরু ২১ এ একজন মন্তব্যকারী আর্তুরো লিখেছেন:

Estupenda idea. En un mundo cada vez más competitivo necesitamos inculcar en nuestros escolares brillantes el deseo de superación (tal olvidado hoy en nuestro país) y de competitividad. El derecho a la educación gratuita está garantizado para todos, pero es de justicia que los mejores alumnos de todo el país también tengan las mismas oportunidades para desarrollarse y desarrollar el Perú. Ojalá que la currícula no sólo esté dirigida a “informar” sino a una completa “formación”: intelectual, física y espiritual.

দারুন ধারণা। আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, আমাদের প্রতিভাবান ছাত্রদের মধ্যে আমাদের উচিত পার হয়ে আসার ইচ্ছা রোপণ করা (যা আমাদের দেশ ভুলে গেছে) আর প্রতিযোগিতার ভাব জাগিয়ে তোলা। বিনামূল্যে পড়াশোনার অধিকার সবার জন্য নিশ্চিত করা আছে, কিন্তু এটা ন্যায় যে দেশের সব থেকে ভালো ছাত্র নিজেদের আর পেরুকে উন্নয়নে সমান সুযোগ পাক। আশা করা যাচ্ছে যে পাঠ্যসূচী শুধু ‘জানানোর’ উপরে ভিত্তি করে হবে না বরং সম্পূর্ণ মানসিক, শারীরিক আর আত্মিক ‘উন্নয়ন’ এর উপরে নির্ভর করে হবে।

পহেলা মার্চ সোমবারে নতুন স্কুল বছর শুরু হবে। তাই টিমিডিয়া ঘোষণা করেছে সেই ছাত্রের নাম যে ভর্তি পরীক্ষায় সব থেকে বেশী নম্বর পেয়েছে। তার নাম ইয়াজমিন লাজো চাহুই, বয়স ১৪ আর সে আরিকুইপাতে থাকে।

পেরুর শিক্ষা ব্যবস্থায়, ২০ সব থেকে বেশী নম্বর যা একজন ছাত্র পেতে পারে, আর ইয়াজমিন পেয়েছে ১৭.৫। লিখিত পরীক্ষায় সে তৃতীয় স্থান দখল করেছে, কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ক তার রচনা আর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব এতো ভালো লেখা হয়েছে বলে বিবেচিত হল, যে সে সব থেকে বেশী নম্বর পেয়েছে।

এক মিস্ত্রী আর গৃহবধুর মেয়ে ইয়াজমিন যে সব থেকে বেশী নম্বর পেয়েছে এই ঘোষণা দেশে ভালোভাবে গৃহিত হয়েছে কারন পেরুতে ছেলে আর মেয়ের পড়ালেখার পার্থক্য অনেক। অশিক্ষা ১৭.৫% নারীর উপরে প্রভাব ফেলে, আর মাত্র ৬.১% ছেলেরা অশিক্ষিত, যা বলা আছে নারীবাদী ওয়েবসাইট ফ্লোরা ত্রিস্তানে

এর সাথে দ্বিতীয় আর তৃতীয় সর্বোচ্চ নম্বর মেয়েরা পেয়েছে: ওয়েন্ডি লিওন এস্পিনোজা আর প্যামেলা রোজাস হুয়ামানলাজো দুজনাই ১৭ করে পেয়েছে। এরা তিনজন, আর তার সাথে অন্যান্য ছাত্র যারা প্রেসিডেন্ট অফ পেরু হাই স্কুলে ভর্তি অর্জন করেছে তারা তাদের নতুন স্কুল ফেব্রুয়ারী ২৬ তারিখ থেকে শুরু করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .