- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

যুক্তরাষ্ট্র: ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০১০ থেকে অনিবন্ধিত ছাত্রছাত্রীরা সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী শুরু করেছেন

বিষয়বস্তু: উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, আইন, প্রতিবাদ, যুবা, শিক্ষা

নতুন এক বছরের আগমন সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত অনিবন্ধিত ছাত্রছাত্রীদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে কিছু করা হয়নি, তাই ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন।

২২শে ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু করে ড্রিম একশন সপ্তাহ [1] পালন করবেন ড্রিম অ্যাক্টের সমর্থকরা [2] (এটি একটি প্রস্তাবিত ফেডারেল বিল যা প্রায় ৬৫,০০০ এর বেশী যুক্তরাষ্ট্রে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করতে পারে বৈধ নিবাসের অধিকার পেতে)।

যদিও একই ধরনের বিল ২০০১ সাল থেকে প্রস্তাব করা হচ্ছে, ২০০৭ থেকে কংগ্রেসে ঝুলে আছে ড্রিম অ্যাক্টটি, যার সাথে বিদেশী নাবালকদের জন্যে উন্নয়ন, ত্রাণ আর শিক্ষা অ্যাক্টের সাথে মিল আছে। কংগ্রেস পাশ করে দিলে আর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এটাকে আইন হিসাবে সই করলে, যেসব অনিবন্ধিত ছাত্র আমেরিকাতে ১৬ বছর বয়সের আগে এসেছে তাদেরকে ‘শর্তসাপেক্ষে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার‘ দেয়া হবে। যদিও প্রস্তাবিত ফেডারেল বিলকে থামিয়ে রাখা হয়েছে, রাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা অন্যান্য আইন পাশের কথা চিন্তা করেছেন যা অনিবন্ধিত তরুণদের ফ্লোরিডা আর টেনেসিতে থাকতে সাহায্য করবে।

[3]

আইন প্রণয়নকারী পর্যায়ে থেমে থাকা চেষ্টা সত্ত্বেও, ড্রিম অ্যাক্টিভিস্ট [4] আর ইউনাইটেড উই ড্রিম নেটওয়ার্ক [5] এর মতো দল সমর্থকদের আমন্ত্রণ করছেন বিনামূল্যে অনলাইন প্রশিক্ষণের [6] জন্য- ‘ওয়েবিনারস’ – যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যায় আর মানবিক অভিবাসন সংস্কার’ এর প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরার জন্য। চারটে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে: মূল নীতি, সমর্থক সংগ্রহ, আইনগত বিশ্লেষণ আর স্থানীয় মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ।

আবার ইন্টারনেট আর নাগরিক মিডিয়ার ক্ষমতা ব্যবহার করে অ্যাকশন সপ্তাহের কথা ড্রিম কর্মীরা ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে। ইমিগ্রান্টস ইন ইউএসএ [7] এর ব্লগাররা এই তথ্য আবার পোস্ট করেছেন, আর শত শত টুইটার ব্যবহারকারী এটা নিয়ে টুইট করছেন [8]

এশিয়ান প্যাসিফিক আমেরিকানদের অগ্রগতির জন্য ওয়েবসাইটে [9] একজন দক্ষিণ কোরিয়ান-আমেরিকান ব্লগার লিখেছেন ড্রিম অ্যাক্টের গুরুত্ব সম্পর্কে এবং সাথী অনিবন্ধিত ছাত্রদের অনুরোধ করেছেন বাধা সত্বেও ‘চুপ বা লজ্জিত’ না হতে। তিনি আরো লিখেছেন যে এই ব্যাপারটা কেবল ল্যাটিন আমেরিকার লোকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না বরং এশিয়ান আমেরিকানদের জন্যেও প্রযোজ্য।

এখন পর্যন্ত আমার ৩.৮ জিপিএ অর্জন আছে আর আমি কার্যকরভাবে একটা কমিউনিটিতে যুক্ত। আমি কঠোর পরিশ্রম করি এটা দেখাতে যে এই দেশে সব কিছু সম্ভব, আমার অনিবন্ধিত থাকা অবস্থায়ও। আর অন্য মানুষের কাছে নিজেকে রোল মডেল হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা আমি করেই যাব, বিশেষ করে এশিয়ান আমেরিকান সমাজে।

হাজার হাজার এশিয়ান আমেরিকান অনিবন্ধিত ছাত্র আছে যারা আমার মতো স্বাভাবিক জীবন যাপনের চেষ্টা করছে। পরিষ্কারভাবে, অভিবাসন কেবলমাত্র ল্যাটিনদের ব্যাপার না, এটার প্রভাব সবার উপরে পড়ে।

নয় বছর আটকে থাকার পরেও গতি ঠিক রাখতে, কেমি বেল্লো চেঞ্জ.অর্গ ব্লগে [10] লিখেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্র এসোসিয়েশন [11], বেশ পুরানো একটি ছাত্র সংঘ, অভিবাসন সংস্কারের আর ড্রিম অ্যাক্ট এর সমর্থনে একটা প্রস্তাব পাশ করেন যাকে তারা ২০১০ সালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।

ইউএসএসএর পরিচালনা বোর্ড পুরোপুরি দেশব্যাপী কলেজ ছাত্র দ্বারা গঠিত, আর এই সংস্থার কার্যকর উপস্থিতি আছে ৪০০র উপরে ক্যাম্পাসে। আর ছাত্রদের এই বিস্তৃত সংঘ ড্রিম অ্যাক্ট বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, স্টুডেন্ট এইড রিফর্মের সাথে, যা ২০০৯ আর ২০১০ সালে তাদের প্রধান একটা নির্বাহী গুরুত্বপূ্র্ণ কাজ ছিল। সিয়াইয়ার আসাপকে সমর্থন করার তাদের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনেকটা এই বাস্তবতা থেকে আসছে যে আইনে একটা ড্রিম অ্যাক্ট অংশ আছে যেটা অনিবন্ধিত তরুণদের কষ্টের কথা বলে যারা আমেরিকাতে অল্প বয়সে আসে।

কিন্তু বেল্লো তার ব্লগে দেখেছেন যে প্রচারণা কেবল অনিবন্ধিত ছাত্রদের ক্ষেত্রেই না সকলের জন্য।

ছাত্রদের কন্ঠ- তা অনিবন্ধিত ছাত্র, নাগরিক ছাত্র, সমকামী ছাত্র, অশেতাঙ্গ ছাত্র, সংখ্যালঘু ছাত্র বা প্রবীন ছাত্রই হোক- আমেরিকাতে জেগে উঠছে।

ড্রিম অ্যাক্টের উপরে গ্লোবাল ভয়েসেস এর বিশেষ পাতা [12] দেখুন আমেরিকাতে অনিবন্ধিত তরুণদের নিয়ে আরো গল্পের জন্য।