কয়েক ঘন্টা আগে (১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০১০) ভারতের পুনের জনপ্রিয় ক্যাফে ‘জার্মান বেকারি’তে বোমা বিষ্ফোরণ ঘটে। এটা পোস্ট করার সময়ে প্রেস জানাচ্ছে যে ৮ জন নিহত আর ৪০ জন আহত হয়েছে এই বিষ্ফোরণের ফলে কিছু দেহ পুড়ে গিয়ে চেনা যাচ্ছে না। এই বেকারি বিদেশী পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
শশী আরো বলেছেন:
- এটা ২০০৮ এর মুম্বাই আক্রমণের পর থেকে (১৪ মাস আগে) বন্ধ থাকা ভারত পাকিস্তান আলোচনা শুরু করতে সম্মত হওয়ার [4] একদিন পরে ঘটলো।
- ডেভিড হিডলে [5] যিনি বর্তমানে শিকাগোর জেলে আছেন পুনে এসেছিলেন বিষ্ফোরণের স্থানে কাছের অশো আশ্রম দেখার জন্য [6]।
- বিষ্ফোরণের স্থান পুনে চাবাদ হাউজের [7] (ইহুদী স্থাপনা) কাছে আর ২০০৮ এর ২৬/১১ এর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল মুম্বাই চাবাদ হাউজ।
- বিষ্ফোরণের স্থান অশো আশ্রমের [8] কাছে যেখানে পর্যটক প্রায় আসে যা মুম্বাই ২০০৮ এর বিষ্ফোরণের সাথে মিল আছে।
প্রাগম্যাটিক ইউফোনি সাবধান করেছেন [9]:
জেহাদিরা আবার আক্রমণ করেছে ভারতের মূল ভুমিতে; এইবার পুনেতে, নভেম্বর ২০০৮ এ মুম্বাইতে জঘন্য হামলার এক বছরের কিছু সময় পরে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে যা সব থেকে সম্ভাব্য আর গ্রহনযোগ্য তা হল যে এই বিষ্ফোরণ পাকিস্তানে অবস্থিত জেহাদী দলের কাজ, আর এর ফলে সাড়া ছিল ঘৃণার। এর ফলে বোঝা যায় যে রাগ চড়ে যাচ্ছিল মানুষের। আর এই মনোভাব আরো বেড়ে যেতে পারে যখন ভারতের প্রধান ধারার মিডিয়া মানুষের আবেগ উস্কে দিয়ে প্রয়োজনের থেকে বেশী এটা প্রচার করে।
মানুষে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক এরই মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন। অফস্টাম্পড জানিয়েছে [10] যে পুনের বিষ্ফোরণ লস্কর-এ-তাইয়েবার হুমকির পরে হয়েছে। পাকিস্তানে অনুমতিপ্রাপ্ত একটি জন সমাবেশে লস্কর –এ- তাইয়েবার উচ্চ পর্যায়ের এক নেতা পুনের নাম নিয়েছে [11] পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে। দ্যা অ্যকর্ন বলেছে [12]:
লস্কর-এ-তাইয়েবার হুমকি সত্ত্বেও এখনই পাকিস্তানী এই মিলিটারি-জিহাদি চক্রকে হামলার দায়ভার দেয়া সম্ভব না। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে এই পাকিস্তানী মিলিটারি- জিহাদি চক্রের ভারতে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে অশান্তি ছড়ানোর অভিসন্ধি আছে [13]। ‘পুর্বের অশান্তির’ বাহানা ছাড়া, ওয়াশিংটনের কাছে পাকিস্তানের তালিবানদের সম্পর্কে তাদের দ্বৈত নীতি ব্যাখ্যা করার কিছু থাকবে না।
দিলিপ ডি'সুজা তার ডেথ এন্ডস ফান ব্লগে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের উচিত দেশে বাড়তে থাকা সন্ত্রাসের ব্যাপারেও কিছু করা [14]:
যতক্ষণ না আমরা দেশে বাড়তে থাকা সন্ত্রাসকে বুঝতে পারছি- যা বাইরের থেকে কোন অংশে কম না- আর যতক্ষণ না আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়াই, আমরা কখনো সন্ত্রাসবাদ দমন করতে পারবো না।
টুইটার জগত টুইট আর রিটুইটে ভরা ছিল যা এই সংবাদ ছড়াচ্ছিল। এখানে কিছু প্রতিক্রিয়া আছে:
ইন্ডিয়াহ্যাপেনিং: [15] ৯ জন নিহত, ৩২ আহত পুনে সন্ত্রাসী হামলায় http://bit.ly/arLssZ [16] #ইন্ডিয়া
আর_শেখাওয়াত: [17] আমার শহর পুনেতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে – আবার নিরাপরাধ মানুষ কিছু বেখেয়াল সন্ত্রাসী দ্বারা নিহত হলেন। পুনে, মহান শহর, আহত ও ক্ষতবিক্ষত।
প্রাগম্যাটিক_রেবেল: [18] ভ্যালেন্টাইন দিবসের দু:খজনক আরম্ভ পুনেতে! এখনো বিষ্ফোরণে নাড়া খেয়ে আছি, আমি আশা করি ভারত এবারে সত্যিকারের আলাদা কিছু করবে।
ভুবন_চেলসি: [19] ভারতের দরকার ব্যাটম্যানের মতো কোন বীরের – খবরদারি করার জন্য।
টুইটসম্রাট: [20] সম্প্রতি পুনে বোমা বিষ্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করছি।
নেহাশশী [21]: রিটুইট @দিপিতগাঞ্জু [22]: জাহাঙ্গির হাসপাতাল পুনেতে রক্ত দরকার এবি+ আর বি+ যোগাযোগ করুন: ১০৬৬। যারা পুনেতে আছেন, দয়া করে খবরটি ছড়িয়ে দিন।
_ইন্ডিয়া_: [23] পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় পুনে বিষ্ফোরণ কালো ছায়া ফেলেছে।
সন্দেহ নেই পুনের বিষ্ফোরণ ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যকার সম্প্রতি আলোচনাতে প্রভাব ফেলবে। কিন্তু মনে হচ্ছে সন্ত্রাসীরা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে কারণ চতুর্দিকে আবেগ দিয়ে সবাই ঘটনা বিচার করছে।