তাঞ্জানিয়া আর জাম্বিয়ার হাতির দাঁত বিক্রির প্রস্তাবের প্রতি বিরোধিতা বাড়ছে

হাতির ভাঙ্গা দাত

জিম্বাবুয়ের হুয়াঙ্গে ন্যাশনাল পার্কে পাওয়া হাতির ভাঙ্গা দাত। ছবি তুলেছেন টেরি ফয়ারবর্ন

জাম্বিয়া আর তাঞ্জানিয়া তাদের সরকারের আটক হাতির দাঁতের মজুত বিক্রির অনুমতির জন্যে সম্প্রতি প্রস্তাব দিয়েছে বিপদগ্রস্ত প্রজাতির বন্যপ্রাণী আর গাছের বাণিজ্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন সাইটসের কাছে। তবে তাদের এই প্রস্তাব নিয়ে ক্রমেই বিরোধিতা বাড়ছে।

হাতির দাঁতের কোন ব্যবসায় সব থেকে জোড়ালো প্রতিবাদ কেনিয়ার তরফ থেকে সাধারণত আসে, তাই এটা কোন বিস্ময়কর ব্যাপার না যে এই দেশের রক্ষণশীল দল গুলো থেকে সব থেকে বেশী বিরোধিতা আসছে এ ব্যাপারে। একই সাথে কেনিয়া ২০ বছরের মুলতবি প্রস্তাবের জন্য জোর দিচ্ছে যা বর্তমানে মাত্র ৯ বছরের জন্য আছে ২০০৮ এ চারটা আফ্রিকান দেশের হাতির দাঁতের নিলামের পরে। কেনিয়ার এনটিভি ইউটিউবে একটা ভিডিও তুলে দিয়েছে যার নাম বন্যপ্রাণী নিয়ে চিন্তা

বারাজা ব্লগ জাম্বিয়া আর তাঞ্জানিয়ার প্রস্তাবের বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে আর কেনিয়ার বিরোধী প্রস্তাবও তুলে দিয়েছে। বারাজাতে মায়না ব্যাখ্যা করেছেন:

একদিকে ব্যাবসা বিরোধী দেশ আছে কঙ্গো, ঘানা, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, মালি আর সিয়েরা লিওনের সমন্বয়ে। অন্যদিকে প্রত্যেকে নিজের প্রস্তাব নিয়ে আছে জাম্বিয়া আর তাঞ্জানিয়া, যারা তাদের জমা থাকা হাতির দাঁতের মজুত বিক্রি করার অনুমতি চান মার্চ ১৩-২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দোহা মিটিং এ- (সাইটস কনফারেন্স অফ পার্টিসের ১৫তম মিটিং -কপ১৫)। দুই পক্ষই সাইটস সচিবালয়ে তাদের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন আর সচিবালয় সদয় হয়ে তাদের ওয়েবসাইটে দুইটা প্রস্তাবই ছেপে দিয়েছে।

বারাজার আর একটা পৃথক ব্লগ পোস্টে, পলা জানিয়েছেন যে যুক্তরাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার:

যুক্তরাজ্য হাতির দাঁত বিক্রিতে না বলেছে। পরিবেশ সচিব হিলারি বেন গত রাত্রে বলেছেন: “ মার্চে সাইটসের মিটিং এ, যুক্তরাজ্য হাতির দাঁতের মজুত বিক্রির ব্যাপারে তাঞ্জানিয়া আর জাম্বিয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেবে, আর আমরা অন্যান্য দেশকেও আহ্বান জানাবো এমন বিক্রির বিরুদ্ধে ভোট দিতে।“

হাতির দাঁতের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নিবেদিত ওয়াইল্ডলাইফডাইরেক্টের নতুন একটা ব্লগ ব্যান আইভরি ব্লগে পলা লিখেছেন-“হাতির মূল্য কি তার দাঁতের থেকে বেশী”। তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন:” হাতিরা কি কেবল মূল্যবান একটা জিনিষের সূত্র , তার দাঁত? নাকি হাতির অন্যভাবে মূল্যায়ণ প্রয়োজন?”

এই সকল সমর্থন সত্ত্বেও যা আফ্রিকানরা বাইরে থেকে আশা করতে পারেন, পলার মতে হাতির জন্য যুদ্ধ আফ্রিকানদের কাছ থেকেই শুরু হতে হবে। তিনি বলেছেন:

দিনের শেষে হাঁতির দাঁতের ব্যবসা বন্ধে আফ্রিকানদের নেতৃত্ব দিতে হবে যদি বাকি বিশ্ব এটা লক্ষ্য করতে চায়। এই বিষয়টিই কেনিয়ার প্রচারণাকে এতো শক্তিশালী করেছে। কিন্তু যতক্ষণ চীন আর অন্যান্য এশিয়ার দেশ হাতির দাঁতের তৈরি জিনিষের বাজার রাখবে আর নিজের দেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে অস্বীকার করবে, হাতির দাঁতের উপরে নতুন নিষেধাজ্ঞা ব্যার্থ হবে আর আমরা হাতি হারাতে থাকবো।

কেনিয়া হাতি ফোরাম নামে পরিচিত একটা দল হাতির দাঁতের ব্যবসা শুরুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে আর এই ব্যাপারে তথ্য সম্বলিত শিট বের করেছেন। হার্ভে ক্রোজ হাতির জন্য ব্লগ এম্বোসিলি ট্রাস্ট পাতায় বলেছেন:

এটিই সংগঠন এই ব্যবসার বিরুদ্ধে। আমরা কেনিয়া হাতি ফোরাম (কেইএফ) এর সাথে মিলে সমমনা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আর ব্যক্তিদের সাথে কাজ করছি কিছু সমব্যাথী আফ্রিকান হাতির দেশকে কৌশলগত তথ্য দেয়ার জন্য যাদেরকে আফ্রিকান হাতি সংঘ (এইসি) বলা হয়।

উপরের ব্লগ পোস্টে, হারভে কেইএফ তথ্য শিটের লিঙ্ক দিয়েছেন যেটা আপনি পড়তে চাইতে পারেন হাঁতির দাঁতের সমস্যা বোঝার জন্য। তাঞ্জানিয়া ও জাম্বিয়ার প্রস্তাবের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কেও সেটি আলোকপাত করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .