- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

জাপান: বরফের ভেতর প্রজ্বলিত মোমবাতি হাইতিবাসীদের জন্য আশার স্ফুলিঙ্গ তৈরি করছে

বিষয়বস্তু: ক্যারিবিয়ান, পূর্ব এশিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, জাপান, হাইতি, মানবতামূলক কার্যক্রম, যুবা

এক তীব্র শীতের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অফ জাপানে (আইইউজে) [1] প্রায় ১০০ জন বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রী এক সাথে জড়ো হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বরফের বলের ভেতরে প্রজ্বলিত আশার মোমবাতি জ্বালানো। এটি করা হয়েছিল ১২ জানুয়ারিতে সংঘটিত হাইতির ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের [2] জন্য। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জাপান দেশটির নিগাতা জেলায় অবস্থিত।

বরফ মাঝে মোমবাতি প্রজ্বলিত করা (স্নো ক্যান্ডেল) নামক অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ছিল আইউজের বিশ্ব সচেতন সভা (গ্লোবাল কনসার্ন ফোরাম) এবং ফটোগ্রাফি ক্লাব [3] বা ছবি তোলা সংঘ। এটি ছিল ভূমিকম্প পীড়িত মানুষদের সাহায্যার্থে এক তহবিল তৈরির উদ্যোগ। এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০,০০০ ইয়েন (১,০০০ মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করা। সংগৃহীত অর্থ জাপান রেডক্রসকে প্রদান করা হয়, যাতে তা হাইতির ত্রাণ প্রচেষ্টায় ব্যবহার করা হয়।

আইইউজের সকল বিদেশী ছাত্রছাত্রীকে তাদের নিজ দেশের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাদের এক ছোট্ট ইগলু আকারের কাঠামো নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়, যা বরফের বল বা গোলক দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এই কাঠামোটি আলোকিত করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ মোমবাতি জ্বালানো হয়। এর মধ্যে দিয়ে “হাইতি” অক্ষরাকৃতির এই কাঠামো প্রজ্বলিত হয়। শূন্য থেকে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীরা এক সাথে মিলে বরফের গোলক তৈরি করেছে, যাতে প্রজ্বলিত মোমবাতির আলো সূর্যাস্তের সময় দেখা যায়। এই সময়টি নীরব প্রার্থনার সর্বোৎকৃষ্ট সময়।

নিচের ভিডিওটি বরফ প্রজ্বলিত মোমবাতির আলোকসজ্জার অনুষ্ঠানটি ধারণ করেছে, যার সাথে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্রদের বাণী রয়েছে। আইইউজের ছাত্রদের সাধারণ বাণীটি ছিল “ হাইতিবাসী তোমরা একা নও, বিশ্ব তোমাদের জন্য প্রার্থনা করছে এবং তোমাদের সমর্থন করছে!”


হাইতির জন্য প্রজ্বলিত মোমবাতি [4]
ভিডিও জাসমিনেসোফিয়ার [5]

কৌতূহলজনক বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীরা হাইতিবাসীদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছে, এই কারণে যে দেশটি সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, এবং চীনের ছাত্রছাত্রীরা এদের মধ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভূমিকম্পের শিকার হাইতির জনগণের জন্য তাদের বার্তাটি ছিল আবেগপূর্ণ এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে পরিষ্কার এক বাণী: বিপর্যয়ের সময় আমাদের দেশ বিশ্বের কাছ থেকে সাহায্য লাভ করে থাকে, এখন আমাদের সময় এসেছে তোমাদের সাহায্য করার”

এই অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্রছাত্রীরা হাইতি স্নো ক্যান্ডেল বা বরফের উপর প্রজ্বলিত মোমবাতি দিয়ে হাইতি লেখাটির পাশে পরস্পরের হাত ধরে থাকে, যা আন্তর্জাতিক একতার এক প্রতীক হয়ে দেখা দেয়। একটি কারণে সবাই এক হয় “হাইতি যেন হাল ছেড়ে না দেয়”।

jp1

সূর্যাস্তের সময় বরফের গোলক বা স্নো বল।

jp2

jp3

হাইতির জন্য একতা।