জর্ডান: টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের দেশকে উদযাপন করেছেন

অন্যান্য আরব দেশের টুইটার ব্যবহারকারীদের নেয়া একটা উদ্যোগের অনুকরণে, মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের জর্ডানি ব্যবহারকারীরা একটা হ্যাশট্যাগ তৈরি আর প্রচার করেছেন যা উদযাপন করছে তারা তাদের দেশের সব থেকে বেশী যে ৫০টি জিনিষ ভালবাসেন সেইগুলো। #টপ৫০জো শীঘ্রই হাজার না হলেও জর্ডান ব্যাপী শত শত অংশগ্রহনকারীকে আকৃষ্ট করেছে যারা জর্ডানের প্রতি তাদের ভালোবাসা ১৪০ অক্ষর বা তার কম পরিসরে প্রকাশ করতে আগ্রহী।

অব্জারভেশন্স অফ এ জর্ডানিয়ানের ফারাহ তার ব্লগে টুইটার সংক্রান্ত প্রিয় কিছু জিনিষের তালিকা দিয়েছেন:

- কিভাবে যার সাথে আপনার কথা হয় সে আপনার পরিচিত কাউকে চেনে
– কিভাবে সবার একজন ‘মামা’ আছেন যিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আছেন
– আমাদের রানীর ইউটিউব আর টুইটার আছে আর আসলে তিনিও #টপ৫০জো তে অংশগ্রহণ করেছেন
– আপনি মেয়রের কাছে অভিযোগ করতে পারেন টুইটারে @মেয়রঅফআম্মান এ
– সবাই কিভাবে একত্র হন খুশি আর শোকের সময়ে

দ্যা ব্লাক আইরিস ব্লগের নাসিম তারাওনাহ #টপ৫০জো সম্পর্কে লিখেছেন যে এটি “সকল হতাশা আর দৈনিক বাস্তবতা ভুলিয়ে দিতে আপনাকে দেখাতে পারে যে জর্ডান আসলে কত মহান”। আর এন্ড ফার আওয়ে ব্লগের রোবা আল-আসসি অন্যান্য টুইপ থেকে কিছু ধার করেছেন আর সেগুলোকে বিভিন্ন গোত্রে ভাগ করেছেন:

- জর্ডানের জাতীয় সঙ্গীত দিনের প্রচারণা শেষে জর্ডান টিভিতে

- প্রার্থনার গম্ভীর ডাক আম্মান জুড়ে ঘুরে ফিরছে, আর অবশ্যই এখানের আবাহাওয়া, অন্য কোনটার সাথে তুলনা নেই!

- মান্সাফ 🙂 এটা সহজ।

- ঈদের প্রথম দিনে বাচ্চাদের উৎসাহ দেখা, সেজে গুঁজে, রাস্তায়, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা, উপহার আর খেলার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত থাকা।

টুইটে রানী রানিয়াও অংশগ্রহন করেছিলেন, আবু আহমাদের সাথে তার ছবি পোস্ট করে। আহমাদ এমন একজন জাতীয় প্রতীক যিনি আম্মানের শহরতলীতে চীনাবাদাম বিক্রি করতেন আর সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। উদ্যোগটাকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য, দুইজন জর্ডানী টুইটার ব্যবহারকারী পরিকল্পনা করেছেন মানুষ জর্ডান সম্পর্কে কি ভালোবাসে তা ফিল্মে লিপিবদ্ধ করবেন:

“ আমরা #টপ৫০জো শুরু করেছি। এখন চলুন এটাকে ভিডিওতে নথিভুক্ত করি। আমাদের সাথে যোগ দিন ধারণ করতে যে জর্ডানের কোন কোন বিষয় আমরা সব থেকে ভালবাসি।“

একজন জর্ডানি টুইটার ব্যবহারকারীর জন্য যা ছিল সময় কাটানো (কেউ বলেন @সুশ্মো), ক্রমেই তা ফ্যাশনে পরিবর্তিত হয়ে মিশরী আর লেবানিজ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে যারা নিজেদের হ্যাশট্যাগ তৈরি করেন। সেগুলো ব্লগার আর রাজকীয় সদস্যরা সমর্থন করেন, আর এখন বেশ সৃজনশীলভাবে অফলাইনে ছড়িয়ে পরছে। টুইটার বেশ রহস্যজনকভাবে কাজ করে!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .