- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ক্যাম্বোডিয়া: ব্লগাররা খেমার সাহিত্য তুলে ধরছেন

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, যুবা, শিল্প ও সংস্কৃতি, সাহিত্য

អក្សររលត់ ជាតិរលាយ អក្សរពណ្ណរាយ ជាតិថ្កើងថ្កាន
Aksar roluat jeat roleay Aksar ponnareay jeat thkeung thkan.

“অক্ষর যদি গায়েব হয়ে যায়, জাতি গায়েব হয়ে যাবে, অক্ষর যদি অত্যুত্তম হয়, জাতি অত্যুত্তম হবে।“

উপরের বাক্যটি ক্যাম্বোডিয়ার একটি প্রবাদবাক্য যা প্রাইমারি থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত দেশের বেশীরভাগ সাহিত্য ক্লাসে ব্যবহৃত হয়। এটা সব থেকে প্রভাবশালী বার্তা যা খেমার সাহিত্য তুলে ধরতে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে। অদ্ভুত ভাবে তরুণ ক্যাম্বোডিয়ার ব্লগাররা এই বাণীকে কাজে পরিণত করেছেন আগের আমলের লেখকদের প্রাপ্তি তুলে ধরে আর একই সাথে ডিজিটাল আর ছাপানো লেখা প্রকাশের মাধ্যমে তাদের নিজেদের সাহিত্য তৈরি করে আর গুণীজন সৃষ্টি করে।

২০০৭ এ প্রতিষ্ঠিত খেমার ইয়ং রাইটার্স [1] কিছু গুণী তরুণ লেখকদের দ্বারা শুরু করা একটি ব্লগ যারা ক্যাম্বোডিয়ার খেমার সাহিত্য আর তার বাজারকে উন্নত করার প্রয়াসে লিপ্ত। দলের অনেক তরুণ সদস্য জাতীয় খেমার সাহিত্য প্রতিযোগিতায় জিতেছেন, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাৎসরিক ভাবে আয়োজন করে।

তাদেরকে আরো প্রশিক্ষণ দিয়েছে বিভিন্ন সাহিত্য সংস্থা যেমন নোউ হাচ লিটারেরি এসোসিয়েশন [2] যাদের লক্ষ্য হচ্ছে ক্যাম্বোডিয়ার সাহিত্যকে তুলে ধরা আর শক্তিশালী করা। তাদের প্রকাশনা বাহবা পেয়েছে সেইসব পাঠকদের কাছ থেকে যারা জানতে উৎসুক কি করে গুণী লেখক হওয়া যায়।

লেখার ব্যাপারে তার আগ্রহ আর সাহিত্যিক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে ২৬ বছরের চানফাল সোক [3], যিনি দাবি করেন যে তিনি দলের সব থেকে বড় (দলের গড় বয়স ১৯ থেকে ২২), খেমার ভাষায় উত্তর দিয়েছেন:

ខ្ញុំ! ចាប់អារម្មណ៍ព្រោះយល់ថាជាសិល្បៈដែលមិនងាយនឹងធ្វើបាន ទាល់តែមនុស្សពូកែទើបអាចសរសេរស្នាដៃបាន
ចង់ក្លាយជាមនុស្សពូកែក៏ចង់ក្លាយជាអ្នកនិពន្ធ
គិតថា មិនមែនមនុស្សគ្រប់គ្នាអាចអ្វើការងារនេះបានទេ បើខ្លួនឯងមាននិស្ស័យអាចទៅរួចគួរតែខំប្រឹង

আমি এই ক্ষেত্রে উৎসাহী কারণ সাহিত্য কঠিন শৈল্পিক কাজ। মাত্র কয়েকজন গুণী লোক এটা করতে পারে। সাহিত্যে বিশেষ গুণসহ, আমি তাই একজন লেখক হতে চাই।

সোফাল [3] তার দলের সাহিত্য বিষয়ক কাজ খেমার পাঠক আর পুরো সমাজের উপরে কি প্রভাব ফেলবে তা জানিয়েছেন:

ទីមួយ ខ្មែរមានអក្សរសិល្បអាន។ អប់រំតាមស្នាដៃនិពន្ធ។មនុស្សអាចសិក្សាពីសង្គមមួយតាមស្នាដៃអក្សរសិល្ប៍ ។ខ្ញុំសង្កេតឃើញថា បើប្រទេសណា មានអ្នកនិពន្ធពូកែច្រើនប្រទេសនោះក៏រីកចម្រើនដែរ ។ មនុស្សរៀនតាមសៀវភៅ បើមានសៀវភៅល្អច្រើនប្រាកដជាល្អ។

প্রথমত, খেমার পাঠকরা ক্যাম্বোডিয়ার সাহিত্য থেকে উপকৃত হবেন। এটা শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। মানুষ সাহিত্যের মাধ্যমে একটা সমাজকে বুঝতে পারবে। আমি দেখেছি কোন দেশে গুণী লেখক থাকলে সেই দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষ বই পড়ে শেখে; তাই, দারুন হবে যদি অনেক বই প্রকাশিত হয়।

প্রদেশে থাকা কিছু সদস্য নিয়মিত দলের মিটিং এ আসতে পারেন না। ইন্টারনেট সাহায্য করে দলের মধ্যে সাথে সাথে যোগাযোগের। সোফাল [3] মনে করেন ব্লগ যোগাযোগের দারুন মাধ্যম। “একটা ব্লগ আমাদের অফিসের মতো যা আমরা ভাগ করে নিই আর আমাদের কাজ বিশদভাবে তুলে ধরি,” বলেছেন সোফাল।

খেমার তরুন লেখকদের একজন উদ্যোক্তা, আর্চপাখাই [4] বা নক্ষত্র, তার প্রোফাইলে দলের নীচের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দিয়েছেন:

«ក្រុមអ្នកនិពន្ធវ័យក្មេង» ត្រូវបានបង្កើតឡើងដោយក្រុមសិស្សនិស្សិតមួយក្រុម ក្រោយពីបាន ឆ្លងកាត់វគ្គសិក្សារឿងខ្លីនៅសមាគមអក្សរសិល្ប៍នូហាចរួចមក។ ក្រោយមកក្រុមនេះត្រូវបានដូរឈ្មោះជា «ក្រុមយុវអ្នកនិពន្ធខ្មែរ» វិញម្តង ដោយបានទទួលការផ្តល់យោបល់ពីអ្នកស្រីប៉ិចសង្វាវ៉ាន អ្នកនិពន្ធខ្មែរនៅប្រទេសបារាំង។

‘তরুণ লেখকদের দল’ একদল ছাত্র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যারা সাহিত্যের কোর্স নিয়েছেন নৌ হাচ লিটারেরি এসোসিয়েশনে। খেমার লেখক পিচ সানভাবানের পরামর্শে এই দল পরে তাদের নাম পরিবর্তন করেন ‘খেমার তরুণ লেখক’ হিসেবে।

এখানে তরুন দলের সদস্যদের ব্লগের লিঙ্ক আছে আর সাহিত্য লেখকদের যারা বিভিন্ন ছোট গল্প আর কবিতা লিখেছেন: আর্চপাখাই [4], বোরান [3], চানফাল সোক [3], চেত্রা [5], খেমেং তোক [6], নারাথ [7], নিমোল [8]

লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, ক্যাম্বোডিয়া ভাগ্যবান বেশ অনেক বিজ্ঞ লোক আর লেখক নিয়ে যারা সাহিত্যে গুণী। এই লেখকরা তাদের জীবদ্দশায় সমাজের বাস্তবতা সম্পর্কে জানানো আর শিক্ষিত করার প্রচেষ্টায় ব্যবহার করেন চাবাপ (ডিড্যাক্টিক কোড), রিয়াউং প্রেং (লোককাহিনী) আর উপন্যাস ইত্যাদি উপাদান। যেমন ১৯৩০ দশকের শেষের দিকে সব থেকে জনপ্রিয় যেসব উপন্যাস প্রকাশিত হয়, যা স্কুলের মূল পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে তা হল পাখা স্রাপোন বা নৌ হাচের মূর্ছানো ফুল, রিম গিনের সোপাত আর নুক থিমের কৌলাপ পাইলিন বা পাইলিন গোলাপ। এইসব উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। আর ১৯৫০ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে, প্রতি বছর প্রায় ৫০টি করে বই প্রকাশিত হয়েছে (নেপোট, জ্যাকিস আর খিং হোক দাই, ‘আধুনিক ক্যাম্বোডিয়ার সাহিত্য আর সমাজ [9]’ ১৯৮১:৬৪)।

গণতান্ত্রিক ক্যাম্পুচিয়ার (১৯৭৫-১৯৭৯) শাসনামলে ক্যাম্বোডিয়ার বেশীরভাগ সাহিত্যকর্ম ধ্বংস হয়ে যায় যখন জাতীয় গ্রন্থাগারে শুকর পালন করা হত। ধারণা করা হয় যে খেমার ভাষায় লেখা ৮০% সাহিত্যকর্ম ধ্বংস প্রাপ্ত হয় (পড়ুন কালচারাল সার্ভাইভ্যালে লেজারুড এর লেখা ‘এ বিল্ডিং ফুল অফ বুকস [10]’)।

ক্যাম্বোডিয়ায় নিজের পাঠ্যপুস্তকের অভাব আছে, বিশেষ করে খেমার রুজ শাসকদের পতনের পরে। আশা করা যাচ্ছে, তরুণ ক্যাম্বোডিয়ার লেখকদের উৎসাহী এই কাজ খেমার সাহিত্যের আগের সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে।