১২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, আলজেরিয়ার আদিবাসী কাবিলি জনগোষ্ঠী দেশটির উত্তরপূর্ব এলাকা কাবিলিই-তে এক শোভাযাত্রা বের করে। এটি তারা করে বারবার জাতির নববর্ষ উদযাপন করার জন্য (বারবার নববর্ষের নাম ইননাইয়ার)। তারা কেন্দ্রের কাছ থেকে আরো স্বায়ত্তশাসন দাবি করছে। দি মুভমেন্ট ফর দা অটোনমি ইন কাবিলিই (ম্যাক) বা কাবিলিইর স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন নামের সংগঠন এই প্রতিবাদী শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। তারা ব্যাখ্যা করেন যে শান্তিপূর্ণ এক শোভাযাত্রাকে কর্তৃপক্ষ নির্মম ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। তারা এই সংবাদটি প্রচার মাধ্যমে যাতে এড়িয়ে যায় তার ব্যবস্থা করে। বিশ্বের মনোযোগ যখন হাইতির দিকে ছিল এবং এই বেদনাদায়ক ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের পরে আলজেরিয়ায় সংঘটিত প্রতিবাদের খুব সামান্য অংশই মূলধারার সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এর ফলে প্রতিবাদকারী এবং তাদের সমর্থকরা ইন্টারনেটে দ্রুত এই ঘটনার সংবাদ ছাপায়।
আলজেরিয় সরকারের সাথে কাবিলি অঞ্চলের লোকদের সংঘর্ষের অনেক লম্বা ইতিহাস রয়েছে। আদিবাসীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি পাল্টে গেছে। বর্তমানে তারা দাবি করছে তারা কেন্দ্রের অধীনে থাকবে না। তারা এখন প্রস্তাবিত এক স্বায়ত্তশাসনের পরিকল্পনা করেছে [ফরাসী ভাষায়]। ২০০১ সালে এই আন্দোলন তার চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছে। এই আন্দোলন ব্লাক স্প্রীং বা কালো বসন্ত নামে পরিচিত। যখন এই নিয়ে চারিদিকে এক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, তখন প্রতিবাদকারী এবং আলজেরিয় সেনাবাহিনী এক ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিলানুম এই ভিডিওটি ইউটিউব নামক ভিডিও সাইটে সবাইকে প্রদর্শনের জন্য তুলে দিয়েছে। এই ভিডিওটি প্রদর্শন করছে যে প্রতিবাদকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনী এক ভয়াবহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং প্রতিবাদকারীরা আওয়াজ তুলেছে “খুনী দের ক্ষমতা!”
এই ঘটনাটিকে মাইক্রোব্লগাররা যেমন, কাবিলে অনুসরণ করেছে। সে এই শোভাযাত্রার ঘটনার টুইট করেছে এবং এই বিক্ষোভ প্রদর্শনীর ছবি সংযুক্ত বা লিঙ্ক যুক্ত করেছে:
সাইদুয়ালি ব্লগ করেন ল পোর্টেইয় দে অম লিব্রে [ফরাসী ভাষায়]। তিনি এক বিক্ষোভ শোভাযাত্রার ছবি পোস্ট করেছেন। এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হয় উপকূলীয় শহর বেজাইয়াতে:
সোশাল নেটওয়ার্ক ওয়েব সাইট ফেসবুকে এই ব্যাপারে একটি গ্রুপ বা দল [ফরাসী ভাষায়] সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দল প্রায় ৮০০ জন সদস্যকে আকৃষ্ট করেছে এবং এই বিষয়টি কাবিলিইর স্বায়ত্তশাসনের সমর্থক এবং বিরোধীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং উভযের স্ব স্ব অবস্থানে এক করেছে। এই দলের ওয়ালপোস্ট বা নোটিশ লেখার জায়গায় লি লো মন্তব্য করেছেন। যদিও তিনি নিজে একজন বারবার জাতির একজন, কিন্তু তিনি এই স্বায়ত্তশাসনের বিরোধিতা করেন। এই মন্তব্যে তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি লিখেছেন:
Vous nous faites honte. Je suis Amazigh mais mon pays reste l'algérie […] Vous n'avez aucune chance, alors là zero chance […] Tout le reste des Kabyles sont contre çà!
কাবিলাস.নেটে [ফরাসী ভাষায়] ব্লগ করেন এলাস ডি টেলেলিই। তিনি উপরের দাবির বিরোধিতা করেন। তিনি লিখেছেন:
[L]es forces existantes en Kabylie sont, plus ou moins, acquises pour l’autonomie de la Kabylie avec une différence d’approche qui relève beaucoup plus de l’idéologie politique.
এই ঘটনাটি ঘটলো এমন সময়, যখন সম্প্রতি প্রতিবেশী রাষ্ট্র মরোক্কো সেদেশের আমাজিঘ জনগোষ্ঠীকে আরো বেশি অধিকার প্রদান করেছে (স্কুলে আদিবাসী ভাষা শেখানো এবং সম্প্রতি সেদেশে বারবার ভাষায় একটি টিভি চ্যানেল খোলা হয়েছে)। এছাড়াও মরোক্কো সরকারের আরো এক বিশদ পরিকল্পনার রয়েছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করছে দেশটির ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলকে তারা আরো স্বায়ত্তশাসন প্রদান করতে যাচ্ছে। এই সব এলাকার মধ্যে বিতর্কিত পশ্চিম সাহারার মত অঞ্চলও রয়েছে।