এ কারণেই আমি ব্লগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হানেভির বিষয় হচ্ছে, আরেকজন ব্লগার/সাংবাদিককে কেবল রাজনৈতিক কারণে সমাজ থেকে ছুঁড়ে ফেলার ঘটনা। তিনি সেই ব্যক্তি যার মাধ্যমে এই বিষয়টি গভীরভাবে প্রয়োগ করা হবে: যদি এক সাংবাদিকের সাথে করা এই আচরণের ক্ষেত্রে জেনারেল আজিজ কোন চাপ অনুভব না করে, তা হলে অবশ্যই সে ধারণা করে নিবে যে, যে কোন ভিন্ন আবেগকে, কোন ধরনের চাপ ছাড়াই দমন করতে পারবে। এটা বলতে পারি মৌরিতানিয়া নামক ছোট্ট এবং প্রায়শ:ই ভুলে যাওয়া জাতির নাগরিক অধিকার নামক বিষয়টির ভবিষ্যৎের এক পরীক্ষা।
গত ২৮ ডিসেম্বরে ওয়েড্ডাডি জানান যে, ওউলদ দাহাহা আমরণ অনশন শুরু করেছে। ৫ জানুয়ারি সিপেজি বা সাংবাদিক রক্ষা কমিটি, সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও ওউলদকে জেলে আটকে রাখার জন্য মৌরিতানিয়া সরকারের নিন্দা জানায়। এরাবিক নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইট বা মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আরব যোগাযোগ সংস্থা (এএনএইচআইআর) মৌরিতানিয়ার সরকারের কাছে আহ্বান জানায়, যেন তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
আজ পর্যন্ত ওউলদ দাহাহাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি দেখনাস্তানের নাসের ওয়াড্ডাডি পোস্ট করেছেন:
অবশ্যই তত্ত্বীয়ভাবে ভাবে বলা যায় হানেভি অউলদ দাহাহার (১৪ জানুয়ারিতে) সুপ্রীম কোর্ট বা সর্বোচ্চ আদালতে থাকার কথা, যখন হঠাৎ করেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে হাজির করার নির্দেশ দেয়। ব্যতিক্রমী বিষয় হচ্ছে পুরো আইনী প্রক্রিয়াটি হবে অবৈধ। এ ক্ষেত্রে কোন ভুল করা হয় নি। মৌরিতানিয়ার সরকার হঠাৎ করেই আবিষ্কার করেনি যে, তারা ভুল করেছে, তারা পুরো বিষয়টিকে প্রায় ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে। বলা যায়, ইতোমধ্যে তারা হানভির ক্ষেত্রে বড় মাপের অন্যায় করেছে। বাস্তবতা হল প্রশাসকরা অন্য আরেক ঘটনার সাথে জড়িয়ে তাকে আবার জেলে পাঠাতে যাচ্ছে!
ওয়েড্ডাডি ওউলদ দাহাহাকে গ্রেফতার করার সাথে প্রশাসনের যারা জড়িত রয়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করেছেন, কিন্তু তারপরে বলছেন, “হানেভির এই অগ্নিপরীক্ষা নিচ্ছে দেশটির সর্বোচ্চ শাসনকর্তা: জেনারেল মোহাম্মদ ওউলদ আবদেলআজিজ। মৌরিতানিয়ার নিয়ম হচ্ছে তিনি এবং কেবলমাত্র তিনিই. দেশটির তেমন কাউকে জীবন দান এবং মৃত্যুদণ্ড প্রদানের অধিকার রাখেন, যে তাকে অতিক্রম করে যাবার মত বোকামি করে”।