ব্রাজিলের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট বা কেন্দ্রীয় জেলার প্রশাসক জোসে আরুডা। তিনি এবার নিজেকে কেন্দ্রীয় পুলিশী তদন্তের মুখে আবিষ্কার করেন । এটা ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় রাজনীতিবীদদের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সাম্প্রতিক তম আবিষ্কার করা নেটওয়ার্ক বা সংযোগ। এরপর হোসে আরুডাকে অনলাইনে নেটিজেনরা ভিডিও গেম বা খেলায় গুলি করছে। এই গেম বাজারে মুভিমেন্টো ব্রাজিলিয়া লিম্পা (পর্তুগীজ ভাষায়, “ব্রাজিলের দুর্নীতি পরিষ্কার করা”) নামক প্রচারণার উদ্বোধন করে। এই গেমে অরুডা এবং পানেট্টোনেকে (এক সময় এটি ছিল বড়দিনের এক জনপ্রিয় কেকের নাম, কিন্তু এখন তা দেশটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক প্রতীকে পরিণত হয়েছে) সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। গেমের ভেতরে এই দু'টি বস্তু বাতাসে উড়ছে। পাওলা লিমা ব্যাখ্যা করছে, কিভাবে এই গেমটি খেলতে হবে [পর্তুগীজ ভাষায়]:
O passatempo é simples – e feito em cima do que se tornou o símbolo da crise, o panetone. O jogador tem de destruir os quitutes natalinos que aparecem na tela, assim como os bonequinhos do governador José Roberto Arruda. Ao fim do jogo, a mensagem: “Você ajudou a limpar Brasília”.
আরুডার পানেট্টোনে বা বড়দিনের কেক। ব্রাজিলের দুর্নীতি পরিষ্কার করার জন্য দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবীদদের উপর আঘাত করুন। পানেট্টোনেকে আঘাত করলে ১ নাম্বার অর্জন করবেন। আরুডাকে আঘাত করলে ৫ নাম্বার পাবেন। আমরা ‘ক্লিন আপ ব্রাজিলিয়া মুভমেন্ট’ বা ‘ব্রাজিলের দুর্নীতি পরিষ্কার কর’ নামক আন্দোলনকে সমর্থন করি।
এই গেমের ধারণা পাওয়া গেছে নভেম্বর, ২০০৯ এর, এক ঘটনা থেকে। সে সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ আরুডার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ এবং সরাসরি ও সক্রিয়ভাবে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনে। এক সিন্ডিকেট বা অনেকগুলো কোম্পানী মিলে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তিনি ঘুষ নিয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তৈরি হয়। জানা যায়, প্রতি মাসে তাকে যা প্রদান করা হত তার মোট পরিমাণ ৬০০,০০০ ব্রাজিলিয়ান রিয়াল (৩৪০,০০০ ইউএস ডলার প্রায়)। এই পরিমাণ মুদ্রা মেয়র এবং তার সহযোগীদের প্রদান করা হয়। তার এই অন্যায় কাজ ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়। এরপর ইউটিউবের মাধ্যমে এটি সারা ব্রাজিলে ছড়িয়ে পড়ে। আরুডা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, এই টাকা গরিবদের পানেট্টোনে কেক কেনার জন্য নেওয়া হয়েছিল।
বলার প্রয়োজন নেই, এই অজুহাত দুর্নীতির সাথে মিশে গছে এবং তা বেশ কিছু কৌতুকের জন্ম দিয়েছে; এমনকি শিশুরাও এখন তাকে খুঁচিয়ে মজা পায় এবং সরকার থেকে তাকে বের করে দিতে বলে। এই ঘটনাকে ঘিরে ইউটিউবে অনেক গান, এনিমেশন এবং ভিডিও দৃশ্যে তৈরি হয়েছে। সবকিছুতেই গল্পটি পুনরায় বলার জন্য আগে থেকে ধারণ করা জনতার কিছু দৃশ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর সাথে অনেক বিদ্রূপ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে ব্রাজিলিয়ানরা হাস্যকৌতুক এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিশ্চিত করছে যে জনতা এই ঘটনার স্মৃতি ভুলবে না। রাজনীতির বেলায় ব্রাজিলের জনতার পূর্বের ঘটনা ভুলে যাওয়ার কারণে খুবই বিখ্যাত।
এই ধারাবাহিক বেশ কয়েকটি দৃশ্যে (পর্তুগীজ ভাষায়) অভিনেতা এমন এক প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে, যা দেখে মনে হয় গভর্নর এবং তার সহযোগীরা টাকা লুকাচ্ছে। তারা জাঙ্গিয়া, মোজা এবং জ্যাকেটের ভেতরে টাকা ভরছে। এই দৃশ্যে অভিনেতার অবশ্য টাকার বদলে পানেট্টোনে কেক ব্যবহার করেছেন।
এমসি পোউলাডা দু'টি মজার দ্রুত লয়ের গান তৈরি করেছে (দু'টি গানই পর্তুগীজ ভাষায় তৈরি)। এটি করা হয়েছে, “প্যান্ডেরার বাক্স” নামের কেলেংকারির ঘটনা উদযাপন করার জন্য।
“আরুডার বহিষ্কার! প্যান্ডেরার বাক্সের মজার গান” (উপরের) ভিডিও দৃশ্যের শুরু এক কণ্ঠস্বর দিয়ে। যে বলছে, “ঠিক আছে, চল লাভের হিস্যা গুনি। ওহ না, কেন্দ্রীয় পুলিশের দল! আমাদের ধর্ষণ করা হয়েছে, এখন আমরা কি করব? টাকাগুলো জাঙ্গিয়ার ভেতরে ভরে নাও।, না না তোমার মোজার ভেতরে ভর… না, তোমার জাঙ্গিয়ার ভেতরে ভর! এটা কোন বিষয় না, চল যাই”!!!
“অরুডা এবং লুকানো টাকার গান”-এ, এমসি পাউলোডা এক আওয়াজ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এই আওয়াজ বলছে: “তোমার টাকাগুলো কোথায়? এগুলো সব লুকানো রয়েছে তোমার মোজা, কোট, জাঙ্গিয়া এবং ব্যাগে”।
“প্যান্ডেরার বাক্স” বিষয়ক তদন্ত বড়দিন এবং নতুন বছর শুরু হবার পর আবার আরাম হবে, যখন সুপ্রীম কোর্ট বা সর্বোচ্চ আদালত এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের এক সংসদীয় তদন্ত কমিশন (সিপিআই) এই ঘটনার বিশ্লেষণ করবে। যদি এই প্রতিষ্ঠান, এর চেয়ে কার্যকারী কোন তদন্ত পদ্ধতি বের করতে না পারে, তা হলে ধীর গতির এক আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি এক অভিসংশনের মত ভীতিজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে এবং পরবর্তী নির্বাচনের আগে তার পদ থেকে তাকে অপসারিত হতে পারে। পরবর্তী নির্বাচন অক্টোবর, ২০১০-এ অনুষ্ঠিত হবে।
গেমাসক্তি
“আরুডার পানেট্টোনে” গেম, ব্রাজিলিয়ান রাজনীতিবিদদের নানাবিধ অসৎ কাজের ফিরিস্তি নিয়ে অনলাইনে ছাড়া প্রথম গেম নয়। ব্রাজিল সিনেট বা সংসদের সভাপতি জোসে সারনেই। গত বছরের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে ওঠে। তিনিও অনলাইনে এই রকম মজার গেমের শিকার হন। তাকে নিয়ে এক গেম নির্মাণ করা হয়। এই গেমে তার মাথা লক্ষ্য করে কামানের গোলা ছোড়া হয়। সে খেলায় তিনি তার সহকর্মী সংসদদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন। এই গেমেও প্রচুর মজা রয়েছে। ওয়েবসাইট পারেসি পাইডা এই গেম তৈরি করেছে। এই গেমটি খেলার জন্য নিচে ক্লিক করুন:
সারনেইকে নীচে ফেলে দিন! এখন আপনার পালা কংগ্রেসকে সাজিয়ে নেওয়ার!
গেম নির্মাণের এই ঐতিহ্য শুরু হয় ১৯৯০ এর দশকে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফার্নান্ডো কলোর ডে মেলোকে অভিসংশন করা হয়। তিনি ছিলেন এ ধরনের মজার প্রথম শিকার। ফুটেপোকার হিসেব মতে [পর্তুগীজ ভাষায়] কোলোর’কে নিয়ে তৈরি করা গেম হচ্ছে এ ধরনের প্রথম ভিডিও গেম:
O primeiro escândalo de corrupção a ganhar as telas de vídeogames e computadores foi o que envolvia o então presidente Fernando Collor de Mello. Com o nome “Roxo”, o objetivo do passatempo era acertar a figura de um caricato mandatário – com faixa presidencial a tira-colo – com um martelo. Ao garantir o sucesso da empreitada, o pequeno Collor no joguinho, seu membro ganhava a cor roxa e surgia um balãozinho com o dizer: “Ui!”. Tudo em alusão à declaração do próprio alvo da piada, ainda em campanha eleitoral, de que ele teria “aquilo roxo”.
1 টি মন্তব্য
প্রতিদিনের আড্ডাব্লগ অনলাইন গেমস…
I found your entry interesting thus I’ve added a Trackback to it on my weblog :)…