- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

হাইতির ভূমিকম্পের উপর রুশ ব্লগাররা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে

বিষয়বস্তু: ক্যারিবিয়ান, পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, রাশিয়া, হাইতি, দুর্যোগ, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, রুনেট ইকো

হাইতিতে এক শক্তিশালী ভুমিকম্প আঘাত হানে, যা ২০১০ সালে প্রখম এক বৈশ্বিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। রুশ ব্লগাররা যদিও এই বিপর্যয় কেন্দ্র থেকে অনেক দুরে ছিল, তবে তারা দ্রুত ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত লোকদের জন্য তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে [1] [রুশ ভাষায়]। এরপর লম্বা সময় ধরে হাইতির এই বিপর্যয় রুনেটে আলোচনার এক বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যদিও অনেক ব্লগার কেবল এই বিপর্যয় সংক্রান্ত তাজা খবর জানিয়ে গেছে, তবে অনেকে সংবাদের প্রধান শিরোনামগুলো উচ্চারণ করার বাইরেও [2] কিছু করার চেষ্টা করেছে [রুশ ভাষায়]। গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনের রুশ ব্লগস্ফেয়ার তার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরেছে।

এল জে ইউজার ডাইনিক [3] [রুশ ভাষায়] লিখেছেন:

Потрясен новостями с Гаити, чтобы так разворотило страну… Видел кадры в новостях, правительство не справляется с бедствием. Говорят, что это самое сильное землетрясение в регионе за последние двести лет. 7 баллов.

হাইতির সংবাদে আমি শঙ্কিত, দেশটি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে… আমি সংবাদগুলো দেখেছি। সরকার এই বিপর্যয়ের সাথে পেরে উঠছে না। তারা বলছে যে, বিগত ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্প এটি। এই ভূমিকম্প ছিল ৭.০ মাত্রার।

টুইটার ব্যবহারকারী প্লেপজএনস্টপ স্বীকার করেছেন [4] যে হাইতির উপর তোলা সকল দৃশ্য দেখে তিনি খুব ভয় পেয়েছেন [রুশ ভাষায়]।

ব্লগার মাগসুপগাস এই ভূমিকম্পের সাথে আর্মেনিয়ায় সংঘটিত হওয়া অন্যতম এক ভূমিকম্পের তুলনা করেছেন [5] [রুশ ভাষায়]। এটি ১৯৮৮ সালে দেশটির স্পিটাক নামক এলাকায় [6] সংঘটিত হয় [ইংরেজী ভাষায়]। তিনি যুক্তি দেখান যে, ভবন নির্মাণের আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণ না করার কারণে প্রচণ্ড ক্ষতি হয়েছে। ব্লগার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ঘটনা সংঘটিত হবার অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নেবার কথা বলেন, বিশেষ করে বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ভবন নির্মাণের গুরুত্ব দেবার কথা বলেন। প্রাক্তন সোভিয়েত আমলে নির্মিত ভবনের ক্ষেত্রে নির্মাণের আদর্শ গুণাবলী না মানা এক ব্লগের এলজে ব্যবহারকারী জারমানইচের [7] জন্য এক আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় [রুশ ভাষায়]।

কিছু ব্লগারের কাছে ভূমিকম্প প্রকৃতির শক্তিকে অনুভব করার এক বিষয় বলে বিবেচিত হয়েছে। যেমন এলজে ব্যববহারকারী হিলারিওস লিখেছেন [8] [রুশ ভাষায়]:

Как бы человечество не старалось бы обуздать капризы природы, все эти попытки заканчивались провалом. Огромный багаж знаний, колоссальные средства – ни что простив разбушевавшейся стихии.

মানুষ প্রকৃতিকে যতই নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুক না কেন, এই সব প্রচেষ্টা সব সময় ব্যর্থ হয়েছে। প্রচুর জ্ঞান লাভ এবং বিশাল সম্পদ অর্জনও প্রকৃতির উন্মত্ত বিপর্যয়ের সামনে কিছুই না।

অন্য ব্লগাররা সেখানে যা ঘটেছে, সেই পরাবাস্তবতার ছবি দেখে আতঙ্ক অনুভব করেছেন। ভ্লাদিমির মিলোভ (ওরফে এল জে ব্যবহারকারী ভি-মিলভ) লিখেছেন [9] [রুশ ভাষায়]:

Картинка разрушенного президентского дворца в Порт-о-Пренсе – как будто сошедший с экранов голливудский апокалиптический фильм. Помните, по-моему, “Крепкий орешек” четвертый, где они симулировали разрушение вашингтонского Капитолия? А тут – всё в реальности.

পোর্ট-অ-প্রিন্সের বিধ্বস্ত রাষ্ট্রপতি ভবন দেখে মনে হল আরেকটি মহাবিপর্যয়ের উপর নির্মিত হলিউডের চলচ্চিত্র কেবল পর্দা থেকে সরে গেল। আপনারা কি “ডাই হার্ড ৪” নামের হলিউডি ছবিটির কথা স্মরণ করতে পারেন, আমি মনে করি যেখানে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী শহর ওয়াশিংটন ডি.সির অনেক ভবন ধ্বংস হয়ে যায়? এবং -এখানে হাইতিতে তা বাস্তবে ঘটল।

এন্টন মালিয়ভাস্কি (ওরফে এলজে ব্যবহারকারী মালিয়াভাস্কি) সঠিকভাবে বলেছেন [10] [রুশ ভাষায়] যে লোকজনের স্বভাব হচ্ছে যখন হাইতিতে খারাপ কিছু ঘটে, তখন তা নিয়ে চিন্তা করে:

Среди современных государств Гаити, пожалуй, рекордсмен в области плохих новостей. Вообще новости из Гаити приходят редко, но всегда только плохие. Все последние десятилетия человечество вспоминает об этом тропическом острове с веселым населением исключительно по причине каких-то происходящих там кошмаров. То диктатура мрачных Дювалье (сначала папа Док, потом бэби Док), потом правление бесноватого попа Аристида, военный переворот, резня, перманентные беспорядки и т.д. И все это параллельно с тотальной бедностью местного населения. Теперь вот еще землетрясение. […]

Кино про Гаити тоже всегда с плохим концом. “Комедианты” с Бартоном и Тэйлор, “На Юг” с Шарлоттой Рэмплинг, – везде failed love, смерть и насилие.

Жалко их. И ведь даже непонятно, чем можно помочь этой стране. Хотя, по большому счету, ведь и России непонятно чем можно помочь… Заколдованы.

আধুনিক রাষ্ট্রের মধ্যে আমি মনে করি, খারাপ সংবাদ তৈরির ক্ষেত্রে হাইতি অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সাধারণত হাইতি প্রায়শ খবর হয়ে আসে, কিন্তু তার বেশিরভাগই খারাপ সংবাদ। সাম্প্রতিক দশকে লোকজন এই ক্রান্তিয় অঞ্চলের এক আনন্দে মেতে থাকা জাতীর দেশটিকে মনে রেখেছে ভীতিকর সব ঘটনা ঘটার কারণে। প্রথমত দেশটির নাম উঠে আসে তার বিবর্ণ স্বৈরশাসক দ্যুভলিয়রের কারণ (তিনি প্রথমেপাপা ডক [11] [ইংরেজী ভাষায়] নামে পরিচিত ছিলেন, পরে তিনি বেবি ডক [12] [ইংরেজী ভাষায়] নামে পরিচিত হন), এর পর দেশটি আরিষ্টিডের [13] [ইংরেজী ভাষায়] হাতে চলে যায়। অভ্যুত্থান, গণহত্যা, স্থায়ী গণঅসন্তোষ, ইত্যাদি, সমস্যা যেন দেশটিতে লেগে আছে। আর এখন, এক ভুমিকম্প আঘাত হেনেছে। […] হাইতিকে নিয়ে যে সমস্ত চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর শেষ পরিণত ভাল নয়। “দি কমেডিয়ান [14]” [ইংরেজী ভাষায়] যা বার্টন এবং টেইলর কে নিয়ে নির্মিত [ইংরেজী ভাষায়], চার্লটন রাম্পলি অভিনিত “হেডিং সাউথ [15]”- [ইংরেজী ভাষায়],সবগুলো ছবিতে ব্যর্থ প্রেম, মৃত্যু এবং হানাহানির কাহিনী। আমি সত্যিই তাদের জন্য দু:খিত। এটা পরিষ্কার নয়, কি ভাবে এই দেশটিকে সাহায্য করা যায়। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, এটাও পরিষ্কার নয় যে, কি ভাবে রাশিয়াকে সাহায্য করা যেতে পারে, যথারীতি একই অবস্থা…স্পেলবাউন্ডের মত।

মালি.রু ব্যবহারকারী ইলেকোরোস্টেলের চিন্তাপূর্ণ মন্তব্য [16] করেছেন [রুশ ভাষায়]:

Ужасно…Вот когда понимаешь,насколько смешны наши повседневные капризы.

এটা এক আতঙ্কের সৃষ্টি করে…. যখন আপনি বুঝতে পারবেন, প্রতিদিন আপনি কতটা প্রকৃতির খামখেয়ালীপনার উপর নির্ভরশীল।