ভূমিকম্পের পরে হাইতি থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা টুইট করছেন

আজকের বিকেলে (১২ই জানুয়ারী, ২০১০) যে ৭.০ মাত্রার ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প এই দ্বীপে আঘাত হেনেছে, সে কারণে বর্তমানে টুইটারে হাইতি একটি প্রধান আলোচ্য বিষয়। প্রধান ধারার মিডিয়া রিপোর্টের রি টুইটের ভিড়ে আর ক্যারিবিয়ান এই দ্বীপের জন্য যেসব টুইট প্রার্থনা ও শুভ কামনা পাঠাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবহারকারী তার মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীর কিছু রিপোর্টও আছে। সঙ্গীতকার আর হোটেলের মালিক রিচার্ড মোর্স, যিনি @রামহাইতি হিসাবে টুইট করেন, তার প্রথম বার্তাটি পাঠান হাইতি সময় প্রায় বিকাল ৬টার দিকে:

ওলোফসনে ( যে হোটেল তিনি চালান) সব ঠিক আছে… ইন্টারনেট চলছে!! ফোন নেই! আশা করি সবাই ভালো আছে… পাপে [পোর্ট অ প্রিন্স, হাইতির রাজধানী] অনেক বড় বাড়ি ভেঙ্গে গেছে!

এক ঘণ্টা পরে তার বেশ কিছু টুইট বার্তা জানিয়েছে:

পোর্ট অ প্রিন্সের প্রায় সব আলো নিভে গেছে…মানুষ এখনো চিৎকার করছে তবে অন্ধকার হতে থাকায় শব্দ কমে যাচ্ছে।

কোন কোন বাড়ি ধ্বসে গেছে তা নিয়ে অনেক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে…ওলোফসনের পিছনে ক্যাসেল হাইতি ..যা ৮ তলা উচুঁ ছিল.. ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আমাদের অতিথিরা গাড়ি চালানোর রাস্তায় বসে আছেন…ওলোফসানে বেশী ক্ষতি হয় নি কিন্তু কাছের অনেক বড় বাড়ি ধ্বসে গেছে।

আমি শুনেছি যে রাজবাড়ির কিছু অংশ ধ্বসে গেছে… এখানে রু কাপিওস রাস্তায় ইউনিব্যাঙ্ক ধ্বসে গেছে।

মানুষ মানুষকে স্ট্রেচারে করে আনছে।

কয়েক জায়গায় কিছু আগুন জ্বলা ছাড়া পুরো পোর্ট অ প্রিন্স অন্ধকারে।

ওলোফসোনের উল্টোদিকে তৈরি করা বড় একটা হাসপাতাল ধ্বসে গেছে।

গাড়ী চলা শুরু হয়েছে…আমি দুরে আলো দেখতে পাচ্ছি।

পরে মোর্স রিটুইট করেছেন @ইসাবেল মোর্স এর বার্তা, যিনি জানিয়েছেন “গ্রান্ড রু (আভে ডেসালিনিস) এ অনেক ক্ষতি হয়েছে, তবে ড্যানিয়েল মোরেল ঠিক আছে। পুলিশ স্টেশন, ক্যাথিড্রাল, শহরতলীর টেলিকোম্পানি, চার্চ সেন্ট এ্যান সব ধ্বংস হয়ে গেছে।“

হাইতি সময় বিকাল ৭.৩০টার ঠিক পরে মোর্স লিখেছেন:

ফোন কাজ করা শুরু করেছে… একজনের ফোন পেলাম যার বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে…বাচ্চা ব্যথা পেয়েছে কিন্তু ঠিক আছে। কিছু মানুষ বেরিয়ে আসছে @ওলোফসান এ… সড়ক বন্ধ দেয়াল পড়ে… গ্রান্ড রুতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি শুনলাম জেনারেল হাসপাতাল ধ্বসে পড়েছে।

মানুষের ঔষধ, খাবার, বাড়ি দরকার, পানির অবস্থা জানি না;

তার পরে সন্ধ্যা ৭.৪৫ এর দিকে:

আর একটা ভূমিকম্পের আফটার শক (পরের কম্পন)…মানুষ চিৎকার করে পাগলের মতো স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছে…। অনেকে এক সাথে গান করে আর প্রার্থনা করতে করতে যাচ্ছে

হাইতি সময় রাত ৮.৪০ মিনিটে:

আর একটা আফটার শক (পরের কম্পন)…একটু বেশী সময়…শহরতলীতে অনেক চিৎকার…দীর্ঘ রাত্রী হবে

টুইটারে নাগরিক সাংবাদিকরা ছবি তুলে দিচ্ছে যাতে ধ্বংসের বীভৎসতা বোঝা যাচ্ছে – যেমন নীচেরটার মতো, যা টুইটার ব্যবহারকারী @মারভিনাদিকে পাঠিয়েছে হাইতি রেডিও ওয়ানের সাংবাদিক কারেল পেদ্রে


@ লিসান্দ্রোসুয়েরো ও ধ্বংসের ছবি পোস্ট করেছেন বেশ কিছু, নীচেরটাসহ:

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .