বিশ্বব্যাপী #গাজার জন্য টুইট করা

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে গাজাতে ইজরায়েলের হামলার এক বছর পূর্তিকে স্মরণ করতে, বেশ কিছু সামাজিক কর্মী পরিকল্পনা করেছিলেন টুইটারের মাধ্যমে ‘গাজার জন্য টুইট’ প্রচারণা করার। টুইটার ব্যবহারকারী নাদিন মোওয়াদ কর্তৃক ব্যাপক ভাবে প্রচারিত এই প্রচারণার লক্ষ্য হচ্ছে গাজার বর্তমান ইজরায়েলি দখলের প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করা। আর এই প্রচারণার সময় নির্ধারিত হয়েছিল ২৭শে ডিসেম্বর রবিবার গ্রীনউইচ মান সময় বিকাল ৩ টা আর ৭টার মধ্যে, যাতে #Gaza (#গাজা) একটি টুইটার ট্রেন্ডিং টপিকে (আলোচ্য শব্দে) পরিণত হয়।

বিশ্বব্যাপী টুইটার ব্যবহারকারীরা এই ঘোষণায় সমর্থন জানাতে একত্র হচ্ছেন, আর যদিও ‘রি-টুইট’ জনপ্রিয়, অনেক লোক টুইটার ব্যবহার করছেন গাজার যুদ্ধের এক বছর পরে এ নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত মত জানাবার জন্য। উক্ত যুদ্ধের ফলে ১৪১৭ জন ফিলিস্তিনি আর ১৩ জন ইজরায়েলি নিহত হয়। সিরিয়ার একজন টুইটার ব্যবহারকারী রিমা আল্লাফ এর মানে কি তার কাছে তা বুঝিয়েছেন:

আমার মত লোকের কাছেও, যার জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা গাজার জন্যে সংগ্রামে, গাজার যুদ্ধের আগে এক রকম আর পরে একরকম।

এই প্রচারনার আয়োজক নাদিন মোওয়াদ, বৈরুতে টুইটার শেখাচ্ছেন প্রচারণায় চালিকা শক্তি আনার জন্য:

টুইটার এবং #গাজা প্রচারণা সম্পর্কে বৈরুতে একটি ক্র্যাশ কোর্স দিতে যাচ্ছি নাসাউইয়ার সদস্যদের। আজ রাতে অনলাইনে আসব।

জোল্লে হাতেম অন্যদের সাথে এই স্বল্প সময়ের টুইটারের কোর্স করেছেন। একজন নতুন টুইটার ব্যবহারকারী, তিনি লিখেছেন:

আজ একটি টুইটার ১০২ ক্র্যাশ কোর্স নিয়েছি #গাজা প্রচারণার প্রস্তুতিতে।

আক্রমণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে টুইটার ব্যবহারকারীরা #গাজা হ্যাশট্যাগটা ব্যবহার করছেন তথ্য ছড়ানো আর একই সাথে ব্যক্তিগত মতামত জানানোর জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সাইয়েদ ধানসে জানিয়েছেন:

সাইয়েদ ধানসে
আজকে আমরা শোক করছি #গাজা

আর ব্রাজিল থেকে টুইটার ব্যবহারকারী জাস_সি গাজা দখলের ব্যাপারে তার মতামত জানিয়েছেন:

গাজা সারা মানব জগৎের অমানবিকতা দেখায় কারণ সারা বিশ্ব কিছু না করে চেয়ে ছিল

প্রচারণাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রীনউইচ মান সময় বিকাল ৩টা থেকে ৭টা পর্যন্ত, যখন টুইটারের সব থেকে বেশী ব্যবহৃত হয়। টুইটগুলো দেখার জন্য, #গাজা হ্যাশট্যাগ দিয়ে খোঁজেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .