ইকুয়েডর: সরকার টেলিভিশন চ্যানেল টেলিআমাজোনাস সাময়িকভাবে বন্ধ করেছেন

গত ২২শে ডিসেম্বর এ ইকুয়েডরের টেলিভিশন চ্যানেল টেলিআমাজোনাস সাময়িক ভাবে ৭২ ঘন্টার জন্য বিরত রাখার জন্যে বন্ধ করে দেয়া হয় টেলিযোগাযোগ দফতরের সুপারিটেন্ডেন্ট দ্বারা। টেলিআমাজোনাস একটি চ্যানেল যেটি অফিসিয়াল ধ্যানধারণাকে সমর্থন ও প্রচার করে না। গত ৩ বছর ধরে এটা প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়ার সরকারের সাথে জোরালো মত পার্থক্য রেখে চলেছে, এবং পার্টির লোকেরা অনেক বার এই টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধের দাবী জানান।

টেলিযোগাযোগ দফতরের সুপারিটেন্ডেন্ট গত ২২শে মে সংঘটিত ঘটনার জন্য চ্যানেলটি বন্ধ করার যৌক্তিকতা দেখান। সেই দিন তারা ধারণার উপরে ভিত্তি করে খবর প্রচার করেছিল যে পুনা দ্বীপের গ্যাস উত্তোলন প্রভাব ফেলবে দ্বীপের বাসিন্দাদের উপরে, যারা মৎস বাণিজ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সুপারিটেন্ডেন্ট এর কথা অনুসারে, এই সংবাদ ছড়িয়ে, টেলিআমাজোনাস বর্তমান সংবিধানের ধারা ১৮, নম্বর ১ লঙ্ঘন করেছে যা প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের অধিকার “খোঁজার, বিনিময় করার, নির্মাণ করার” আর “সত্য, যাঁচাইকৃত, সময় মত, বিস্তৃত, সেন্সরবিহীন তথ্য, বা ঘটনা” ছড়িয়ে দেবার।

এর পরেই ইকুয়েডরের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রতিবাদ উঠেছে, যারা বিক্ষোভ আর মিছিলের পরিকল্পনা করছেন সরকারী এই ব্যবস্থার প্রতিবাদে। অনেকের জন্য এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপরে আক্রমণ। এই সাম্প্রতিক ঘটনার সাথে সম্পর্ক আছে বর্তমানে জাতীয় কংগ্রেস নতুন একটি যোগাযোগ আইন নিয়ে বিতর্ক করছে

অনলাইনে মতামতও আছে সরকারের এই পদক্ষেপের পক্ষে আর বিপক্ষে। অনেকের জন্য টেলিভিশনের এই চ্যানেল বন্ধ করা প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতার উপর পরিষ্কার আক্রমণ। আর এটা দাবিয়ে রাখার একটা পদক্ষেপ বলেও মনে হয়। ব্লগ লা আলহারাকার জিকা বলেছেন:

Por más de que el gobierno ecuatoriano haya decidido sacar del aire a Teleamazonas por solo 3 días, esto es suficiente para enviar un fuerte mensaje a los demás medios y a los asambleístas: podemos cerrar un medio y no necesitamos la ley de comunicación para hacerlo.

ইকুয়েডরের সরকার যতই ভাবুক টেলিআমাজোনাসের প্রচার বন্ধ করা কেবলমাত্র ৩ দিনের জন্য, এটা যথেষ্ট অন্যান্য মিডিয়া আর এসেমব্লীর জন্য একটি কঠিন বার্তা পাঠাতে: আমরা একটা মিডিয়া চ্যানেল বন্ধ করতে পারি আর তার জন্য আমাদের মিডিয়া আইনের প্রয়োজন নেই।

টেলিআমাজোনাস সম্পাদকীয় লাইন, যা সরকার বিরোধী, তাদেরও নিন্দুক আছে। আর সংবাদ উপস্থাপক জর্জ অর্টিজ এদের দৃশ্যমান প্রধান হিসেবে রয়েছে, যিনি সব সময়ে জ্বালাময়ী মন্তব্য করে সরকারের বিরুদ্ধে। তার সাথে, এই বাস্তবতা যে চ্যানেলটির মালিক ব্যাঙ্কার ফিডেল এগাস, সেটি উদ্যেশ্য আর তথ্যের পক্ষপাতিত্বের ব্যাপারে সন্দেহ জাগায় মানুষের মনে। এর সাথে সম্পর্কিত, মাস লিব্রোস অটোরেস ওট্রোস রিয়েসগোস ব্লগের এডুয়ার্ডো ভারাস লিখেছেন:

Aplaudir que sea el Ejecutivo el llamado a prohibir opiniones o a definir lo que es o no una profesión es un acto de lo crueles que confunden todo y no les importa. Todos debemos tener la libertad de decir lo que quisiéramos, así seamos un medio con todo el dinero del mundo y con un dueño que se crea el portador de la verdad, o un presidente que también se crea dueño a la verdad, o un gil como yo, o giles que celebran lo cierres de medios como maniobras justas. Todos.

নির্বাহী শাখার মতামত প্রদানের অধিকার নিষিদ্ধ করা বা তাদের ঠিক করা কোনটা পেশাগত কাজ আর কোনটা নয় হচ্ছে নিষ্ঠুর একটা কাজ আর একে বাহবা জানানোর মানে হচ্ছে সব কিছুকে গুলিয়ে ফেলা। আমাদের সকলের স্বাধীনতা থাকা উচিত বলার জন্য যে আমরা কি চাই। যদি আমরা একটা মিডিয়া আউটলেট হই বিশ্বের সকল অর্থসহ আর একজন মালিক যে নিজেকে সত্যের ধারক মনে করেন, বা একজন প্রেসিডেন্ট যিনি নিজেকে সত্যের ধারক হিসেবেও মনে করেন, বা আমার মতো একজন বোকা, বা যেসব বোকারা মিডিয়া চ্যানেল এর বন্ধ হওয়া উদযাপন করে সঠিক কাজ মনে করে। আমাদের সবার ক্ষেত্রেই বিষয়টি খাটে।

এই টিভি চ্যানেলকে স্থগিত করার ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়েছে আর এখন দেখার বিষয় এটি নতুন যোগাযোগ আইন যা বর্তমান জাতীয় কংগ্রেসে বিতর্কিত হচ্ছে তার উপরে কোন প্রভাব ফেলে কিনা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .