- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মিশর: এবং এটি জামিলা বুহিরেদের জন্যে

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., আলজেরিয়া, মিশর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, তাজা খবর, সরকার

আলজেরিয়ার ৭৫ বছর বয়স্ক সামাজিক কর্মী এবং বিপ্লবী জামিলা বুহিরেদ [1]অসুস্থ এবং তিনি তার স্বদেশ ও দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন যেন তারা তার চিকিৎসার ব্যয় ভার নির্বাহ করে। এই সংবাদ মিশরীয় অনেক ব্লগারকে উদ্বিগ্ন করে তুলে, যারা এই ভদ্রমহিলাকে আরব জাতির এক প্রতীক এবং বীর হিসেবে বিবেচনা করে।

ইজিপশিয়ান ক্রনিকলে লেখার সময় জেইনোবিয়া উল্লেখ করেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে আরব হিসেবে আমরা আমাদের জাতীয় বীরদের ধ্বংস করার কাজটি ভালোভাবে করতে পারি [2]:

জামিলা বুহিরেদ আলজেরীয় সরকার এবং নাগরিকদের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে তার এই অসুস্থ অবস্থায় তাকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। তিনি আরব জাতির বিখ্যাত এক বীর নারী, যিনি ১৯৬০ এর দশকে পুরো আরব জাতির স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি এখন আলজেরীয় সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থী!! এই মহীয়সী নারী এখন সরকারের কাছে সাহায্য কামনা করছেন, যেন সরকার, বিশেষ করে এক সময় জাতির গর্ব এবং মর্যাদার প্রতীক এক রমণীকে সাহায্য করে, যে কিনা উপসাগরীয় এলাকার অন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছে:(

জামিলার পরিস্থিতি জোইনোবিয়া মিশরীয় যুদ্ধ কালীন সময়ের সহযোদ্ধাদের স্মৃতির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন:

১৯৭৩ সালে সুয়েজ যুদ্ধের সময় তার মিশরীয় ভাইরা সৈনিক হিসেবে লড়েছে, যাদের অবসর কালীন ভাতা অতি সামান্য। যার ফলে তারা সুয়েজে মাইক্রোবাস চালকের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের মর্যাদা রক্ষার জন্য এই সমস্ত সৈনিকেরা শ্যারোনের বিরুদ্ধে সপ্তাহ ধরে লড়েছে!! বাস্তবতা হচ্ছে পুরো আরব জগৎেই তার ভাই বোনেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারা তাদের জাতির জন্য নিজেদের জীবন দেবার ক্ষেত্রে খুব বেশীক্ষণ চিন্তা করে নি, কিন্তু যখন তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেবার সময় এসেছে, তখন জাতি তা বুঝিয়ে দেবার ক্ষেত্রে অনেক লম্বা সময় ধরে চিন্তাভাবনা করেছে।

আলেজরিয়ার সাথে মিশরের ফুটবল যুদ্ধের বদলে জেইনোবিয়া ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে:

আমাদের সম্পর্ক উষ্ণ থাকবে। খুব ভালো হয় যদি আমরা আমাদের সেরা চিকিৎসককে জামিলার জন্য পাঠাই অথবা আবার তাকে কায়রোতে আসার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি সব সময় কায়রোতে সাদর আমন্ত্রিত এক অতিথি ছিলেন।

নাওয়ারা নেজাম নামক ভদ্রমহিলা তার ব্লগ [3]: দি ফার্স্ট ভিডিও [4]-তে দু'টি ভিডিও পোস্ট করেছেন; প্রথম ভিডিওটি আলজেরিয়ান কমান্ডো দলের একটি বার্তা। এই বার্তায় কমান্ডোরা তাকে তাদের মাঝে স্বাগত জানাচ্ছে এবং তার চিকিৎসার ব্যয় ভার বহনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করছে। দ্বিতীয় ভিডিওটিতে [5] একজন আলজেরীয় সারা বিশ্বকে ব্যাখ্যা করছে জামিলা বুহিরেদ কে এবং কি ভাবে আরব বিশ্ব তাকে হেয় করছে!

নাওয়ারা এই বলে মন্তব্য করেছেন:

اسفخص على دنيا كلها لما جميلة بو حريد تحتاج يوم تستلف عشان تاكل … مافيش حد فينا احسن لما ست الناس تعيش مش لاقية تاكل … هي جميلة دي جزائرية يا ناس؟ جميلة اللي كسفت رجالة العالم (ايام ما العالم كان فيه رجالة) تخص الجزائر بس؟ ما تخصش كل انسان عربي؟ هو لو النيل نشف تبقى مشكلة مصر والسودان بس؟ هو فيه اغنى من العرب؟ الله، بتروح فين الفلوس يا عم الامور انت وهو؟ بتتصرف على هيفا واخواتها اللي نافخين كل حتة فيهم عند بتاع الكاوتش لما شوية وح نلاقيهم طايرين في الهوا … يعني ايه؟ يعني ايه جميلة تضطر تستلف وللا حتى تضطر تطلب زيادة معاش؟ يعني ايه انا مش فاهمة يعني
সারা বিশ্বের উপর এক নিন্দা জ্ঞাপন করি, যেখানে জামিলা বুহিরেদ বেঁচে থাকার জন্য ভিক্ষা মাগছে! যখন এ রকম এক মহীয়সী নারী কায়ক্লেশে বেঁচে থাকে, তখন তার জন্য আমরা সবাই অপরাধী হয়ে দাঁড়াই! জামিলা কেবল এক আলজেরীয় নারী নয়! সে এমন এক নারী, যে সকল পুরুষকে লজ্জায় ফেলে দেয়। এমন এক সময়, যখন পৃথিবী সত্যিকারের মানুষের দ্বারা পরিপূর্ণ! তিনি কি কেবল আলজেরিয়ার জন্য একটি বিষয়? তিনি কি আরব বিশ্বের এক প্রতীক নন, যাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্ব করি? কোথায় সেই আরব আর তাদের অর্থ? তিনি কি কেবল এক গায়িকা ও বিনোদন প্রদানকারীর চেয়ে বেশি কিছু হিসেবে তাদের ডলার থেকে কিছু পাওয়ার যোগ্য নন? পৃথিবীর ধ্বংস আসন্ন.. এমন এক পৃথিবী, যেখানে এ রকম একজন নারী টাকা ধার চেয়ে বেড়ায়! আমি সত্যিই এর কোন অর্থ খুঁজে পাই না!

তারেক এজ এলডেন নামক ভদ্রমহিলা আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বুতাফ্লিকার কাছে লেখা তার এক চিঠি পোস্ট করেছেন [6];

إن ما يتقاضاه المجاهدون لا يرقى إلى المبالغ الكبيرة التي يتقاضاها نواب البرلمان أو ما تحصلون عليه أنتم شخصيا (بوتفليقة) وكذا ما يحصل عليه محيطكم”، ودعت بوتفليقة إلى التوقف عما أسمته “الإهانة”، بإعادة النظر في “المنحة المتواضعة التي يحصل عليها المجاهدون ليعيشوا بكرامة ما تبقى لهم من أيام”.
“আপনি (বুতাফ্লিকা) অথবা সংসদ সদস্যরা যে পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন, তার তুলনায় বিপ্লবী এবং প্রবীণ যোদ্ধারা যে অবসরকালীন ভাতা পান তা যৎসামান্য”। তিনি এ ছাড়াও রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানান, যারা দেশের জন্য লড়াই করেছিল তাদের আবার দেখতে যাবার মত অপমানকর কাণ্ড না করার জন্য- সে সমস্ত লোকদের অবশিষ্ট জীবন সম্মানের সাথে যাপন করার অধিকার রয়েছে”।