পোল্যান্ড: এক ব্লগার বেনামে ট্যাবলয়েড পত্রিকা নিয়ে লিখবেন

আক্সেল স্প্রিংগার এজির মালিকানায় প্রকাশিত পোলিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা (সংবাদ চক্রিকা) ফাক্ট এ কাজ করতেন একজন অজ্ঞাত সাংবাদিক যিনি সম্প্রতি নতুন একটা ব্লগ শুরু করেছেন। ব্রুকোউইকস্টোরি (ইংরেজীতে ট্যাবলয়েড পত্রিকার গল্প) নামক ব্লগে তিনি সেই সত্যি কথা লিখতে চাচ্ছেন যে সংবাদ কামরায় (নিউজরুম) আর পত্রিকা প্রকাশনার অফিসে আসলে কিভাবে কাজ হয়।

ভিয়াদোমস্কি২৪.পিএল (http://www.wiadomosci24.pl/) নামের পোলিশ নাগরিক সাংবাদিকতার পোর্টাল উক্ত ব্লগারকে উদ্ধৃত করে লিখেছে যে পোলিশ বাজারে ফাক্টের সফলতা মূলত: অর্জিত হয়েছে সাংবাদিকতার নৈতিকতা ভঙ্গ করে।

এখানে ব্রুকোউইকস্টোরির প্রথম পোস্টের অংশবিশেষ অনুবাদ করে দেয়া হল:

আমার মনে হয় মুক্ত পোলিশ মিডিয়ার [১৯৮৯ সাল থেকে] সব থেকে বড় সফলতা হচ্ছে ফাক্টের সৃষ্টি। ২০০৩ সালের আগে কেবলমাত্র সুপার এক্সপ্রেস ছিল, একটা সহজ, হালকা বিষয় নিয়ে লেখা আর কিছুটা ভালো ট্যাবলয়েড পত্রিকা। একটা সুবিধা ছিল- তারা সব সময়ে সত্যি লিখত। ট্যাবলয়েড পত্রিকার চরিত্র অনুসারে তা প্রকাশিত হত যদিও তারপরেও এটাকে সাংবাদিকতা বলা যেত। আর হিসাব ঠিকই ছিল ফাক্ট বাজারে না আসা পর্যন্ত।

পোলিশ মিডিয়ার ইতিহাসে প্রথমবার আমরা নতুন একটা কথা দেখলাম- সত্যি তৈরি করা। “কিছু ঘটছে না? তাহলে ঘটনা তৈরি করো,” – প্রধান সম্পাদক কর্তব্যরত সাংবাদিককদের চিৎকার করে তা বলতেন বলে শোনা যায়।

এই ব্লগার আরো বলেছেন যে তিনি একটা সংস্থার নিবন্ধন করতে চান সেই সব মানুষের জন্য যারা ফাক্টের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আর উচ্ছৃঙ্খলতা সৃষ্টির জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিশাল আইনী ক্ষতিপূরণের পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সংবাদপত্রের কর্মীদের আইন ভঙ্গ সংক্রান্ত মজবুত কোন তথ্য প্রকাশ করার অপেক্ষায় আছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .