কলম্বিয়া: সান বাসিলিও দে পালেঙ্কে আফ্রো- কলম্বিয়ার সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা

উত্তর কলম্বিয়ার ছোট একটা গ্রাম সান বাসিলিও দে পালেঙ্ক ছিল স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক সময়ের প্রথম স্থান যেখানে আফ্রিকান দাসেরা পালিয়ে এসে বাস করেছিল। এইসব আফ্রিকান দাসদের বংশধররা এখন চেষ্টা করছেন তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখার। তার সাথে তারা জীবিত রাখতে চান পালেঙ্কুরো ভাষাকে যেটি স্প্যানিশ ক্রেওল ভাষা এবং ধারণা করা হয় যে প্রায় ২৫০০ লোক এই ভাষায় কথা বলেন। প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে দাসত্বের কাহিনী চলে আসছে, আর সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হচ্ছে এই সমাজে। এই গ্রাম মনে হয় কলম্বিয়ার এই কোনায় আফ্রিকা মহাদেশকে নিয়ে এসেছে।

সান বাসিলিও দে পালেঙ্কের ছবি তুলেছেন রয়াল_উইথ_চীজ এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

সান বাসিলিও দে পালেঙ্কের ছবি তুলেছেন রয়াল_উইথ_চীজ এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

আজাদোন দে পালো ব্লগ এই গ্রামের একজন বাসিন্দা এম.এলেনা সাল্গাদোর সাক্ষাৎকার নিয়েছে আর তিনি এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, ”সান বাসিলিও দে পালেঙ্কে থাকতে কেমন লাগে?

Es un lugar pequeño, donde todos nos conocemos. Somos generaciones de todas las familias, desde las primeras que se refugiaron en los Montes de María (así se llama la zona que rodea a San Basilio). Nuestras casas son humildes, hechas con material que nos da la naturaleza; tierra, bahareque, tapia y cemento a la vista. Nuestros techos son de palma y lata, que ayuda a refrescar y soportar el calor.

এটা ছোট জায়গা, যেখানে আমরা সবাই সবাইকে চিনি। আমরা সব পরিবারের বংশধর, প্রথম যে পরিবার মারিয়া পাহাড়ে (সান বাসিলিও কে ঘিরে থাকা এলাকাকে তাই বলা হয়) আশ্রয় নিয়েছিল সেখান থেকে। আমাদের বাড়ি গুলো ছোট, প্রকৃতির দেয়া জিনিষ থেকে তৈরি; ময়লা, কাদার তৈরি ইট আর সিমেন্ট। আমাদের ছাত টিন আর তাল পাতা দিয়ে তৈরি, যার ফলে ঠাণ্ডা থাকে আর গরমকে বাইরে রাখে।
লাস আলেগ্রেস অ্যাম্বুলান্সিয়াস - সান বাসিলিও দে পালেঙ্কের এক সঙ্গীত দল। ছবি তুলেছেন ট্রসকিলার এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

লাস আলেগ্রেস অ্যাম্বুলান্সিয়াস – সান বাসিলিও দে পালেঙ্কের এক সঙ্গীত দল। ছবি তুলেছেন ট্রসকিলার এবং ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আফ্রো-কলম্বিয়ান আওয়াজ প্রতিফলিত হয়, আর সমাজের লোকেরা এমনটিই দাবী করতে চায়। এই ধারণার মূল বিষয় হল ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে আর ব্লগ কলম্বিয়ান পাসপোর্ট এই ইতিহাস নিয়ে নীচের অংশ প্রকাশ করেছেন:

Lo que bien se sabe acerca de los colombianos negros es que son las personas descendientes de los que fueron traídos como mercancía, forzados por las compañías negreras europeas entre los siglos XV y XVIII a todo el territorio de las Américas.

কৃষ্ণাঙ্গ কলম্বিয়ানদের যে ব্যাপারটা জানা গেছে তা হল ১৫ আর ১৮ শতাব্দীর মধ্যে পুরো আমেরিকা জুড়ে ইউরোপীয় দাস কোম্পানি দ্বারা জোর করে যাদেরকে দাস পণ্য হিসেবে এখানে আনা হয়েছিল তাদের বংশধর তারা।

এতনিকোগ্রাফিকা ব্লগে প্যাট্রিশিয়া কুইন্তেরো বারেরা লিখেছেন:

La Afrocolombianidad o Identidad étnica Afrocolombiana es el conjunto de aportes y contribuciones, materiales y espirituales, desarrollados por los pueblos africanos y la población afrocolombiana en el proceso de construcción y desarrollo de nuestra Nación y las diversas esferas de la sociedad Colombiana. Son el conjunto de realidades, valores y sentimientos que están integrados en la cotidianidad individual y colectiva de todos nosotros y nosotras. La Afrocolombianidad es un patrimonio de cada colombiano(a), indistintamente del color de la piel o el lugar donde haya nacido.

আফ্রো –কলম্বিয়ান জাতি সত্ত্বা হচ্ছে এই সব বিষয়ের সমষ্টি – আমাদের জাতির গঠন আর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আফ্রিকার মানুষ আর আফ্রো- কলম্বিয়ান জনগণের সমন্বয়ে উন্নীত করা বস্তুগত আর আত্মাগত চেতনা, যা কলম্বিয়ার সমাজের বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে আছে। এগুলো বাস্তবতা, মূল্যবোধ আর ভাবনার সমন্বয় যেটা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে একীভূত। আফ্রো-কলম্বিয়ান ঐতিহ্য হচ্ছে প্রত্যেক কলম্বিয়াবাসীর সম্পদ, গায়ের রঙ বা জন্ম স্থান ব্যতিরেকে।

পরিশেষে ইউটিউবে আসাব্বাগের চ্যানেলে, একটা ডকুমেন্টারির কিয়দংশ আছে যেখানে এখনকার সান বাসিলিও দে পালেঙ্ক গ্রাম দেখানো হয়েছে। এই গোত্রকে ইউনেস্কো মানবতার মৌখিক আর আবশ্যকীয় ঐতিহ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .