অ্যাঙ্গোলা: লুয়াণ্ডাতে মাত্রাতিরিক্ত জীবনযাত্রার ব্যয়

অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়াণ্ডা হচ্ছে খুব ব্যয়বহুল এক শহর – অ্যাঙ্গোলাবাসী আর বিদেশী সবার জন্য। আপনি এখানের বাসিন্দা হলে নিশ্চয় জানেন সেটা। সাধারণ জিনিষ যেমন খাদ্য, শিক্ষা আর বাসস্থান কিছু ইউরোপীয় দেশের সমান রাখা হয়েছে। আসল পার্থক্য হচ্ছে অ্যাঙ্গোলার বেতন তাদের ইউরোপীয় দিকের সাথে তুলনা করলে হাস্যকর, যার কারনে প্রতিদিনের সাধারণ চাহিদা মেটাতে অনেকের সংগ্রাম করতে হয়।

অবশ্যই এই যুদ্ধ যাদের অর্থ আছে তাদের লড়তে হয় না। এরা জানা অজানা কারনে এমন সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে রক্ষিত যা যে কোন মানুষকে ঈর্ষান্বিত করবে। ফেব্রুয়ারীতে ব্রিটিশ কোম্পানি এসিএ ইন্টারন্যাশানলের একটি জরিপ অনুসারে- বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের মধ্যে লুয়াণ্ডা প্রথমে আছে।

মিগুয়েল কাক্সিয়াক্স তার ব্লগ মুন্দো দা ভেরদাদেতে লিখেছেন:

“Só para terem uma ideia, o custo por noite no hotel em que estou é de 170 USD (quarto individual, com casa de banho e pequeno-almoço mesmo muito sofrível). Estamos a falar de um hotel que deve ter se tanto, duas estrelas. Para um europeu, não só por costumes alimentícios mas também por costumes de segurança, não se arrisca a comer em qualquer botequim de esquina, obviamente. No restaurante onde temos feito as nossas refeições, o custo médio de uma dose é de 30USD (junte-se a isso bebida, sobremesa, entradas e o preço salta logo para 40/45 USD de despesa individual).

Luanda está numa fase de construção massiva. Junto à Marginal existem apartamentos a 1 milhão de USD. Estão todos vendidos!!!”

“আপনাদের কেবল ধারণা দেয়ার জন্য, আমি যে হোটেলে আছি সেখানে এক রাতের ভারা ১৭০ আমেরিকান ডলার (সিঙ্গেল রুম, বাথরুমসহ, আর বেশ খারাপ নাস্তা)। খুব বেশি হলে, আমরা দুই তারকা হোটেলের কথা বলছি। তবে একজন ইউরোপীয়ানের জন্য কেবলমাত্র খাওয়ার ধরণই না, বরং নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাইরের রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ঝুঁকি নেই না, স্পষ্টভাবেই। যে রেস্টুরেন্টে আমরা প্রায় যাই, এক বেলা খাবারের গড় মূল্য ৩০ আমেরিকান ডলার (এর সাথে পানীয়, মিষ্টি আর প্রারম্ভিক খাবার যোগ করলে মূল্য ৪০/৪৫ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত উঠে যায় প্রতি জনের জন্য)।

লুয়ান্ডাতে অনেক নির্মাণ কাজ হচ্ছে। মার্জিনাল (সমুদ্রের কাছের এলাকা) এর কাছে কিছু এপার্টমেন্ট এর মূল্য ধরা হয়েছে ১০ লাখ মার্কিন ডলার। আর এগুলো সব বিক্রি হয়ে গেছে!!!”

দেশের উচ্চ জীবন যাপনের খরচ স্ব-বিরোধী, যেহেতু এটা উচ্চমানের জীবনের সাথে সম্পর্কিত না, অন্তত যারা অর্থনৈতিক ভাবে আরো অনেক নীচু স্তরে আছে তাদের তুলনায়। অ্যাঙ্গোলা উচ্চ উন্নয়নের হার দেখায়, যা দূর্ভাগ্যজনকভাবে বেশীরভাগ অ্যাঙ্গোলার নাগরিকের অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয় না। প্রচুর চাহিদা স্বল্প সরবরাহের সাথে মিলিয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে দেয়।

ব্লগ দিয়ারিও দে আফ্রিকার ব্রাজিলের লেখক অ্যাঙ্গোলাতে কি হয় তার একটা দ্রুত ব্যাখ্যা দিয়েছেন:

“Não são apenas os alugueres (habitação) que custam caro. Tudo é caríssimo. Um quilo de tomate pode sair por 20 USD. Uma bandeja de uvas pode custar 30 USD o quilo. Um bife com batatas fritas pode custar facilmente, 50 dólares. Um cano furado pode sair por 1000.000 USD. Tapar um pequeno furo na tubulação do ar-condicionado do carro e colocar o gás para enfrentarmos o calor luandense custa 200 USD.

Precisa de electricista? Ele não vai sair da sua casa sem ter tirado pelo menos 100 USD de você. Mesmo que só tenha trocado uma lâmpada. Porque é tudo tão caro?”

“কেবলমাত্র বাড়ি ভাড়া না যার দাম বেশী। সব কিছুই দামী। এক কিলো টমেটো ২০ আমেরিকান ডলারে বিক্রি হতে পারে। এক ট্রে আঙ্গুর ৩০ আমেরিকান ডলার কিলোতে বিক্রি হতে পারে। এক টুকরো গরুর মাংস আলু ভাজাসহ খুব সহজেই ৫০ আমেরিকান ডলার দাম হতে পারে। একটা পাইপ ফুটো হলে আপনার ১০০০ আমেরিকান ডলার খরচ হতে পারে। গাড়ির এয়ার কান্ডিশনিং পাইপে ছোট একটা ফুটো ঝালাই করে গ্যাস ভরা যাতে লুয়ান্ডার গরমের সাথে পাল্লা দেয়া যায় – তার জন্যে ২০০ আমেরিকান ডলার খরচ হতে পারে।

বিদ্যুৎের মিস্ত্রী দরকার? সে তার বাড়ি থেকে বেরুবে না আপনার কাছ থেকে অন্তত ১০০ ডলার না পেলে। যদি সেটা একটি বাল্ব পাল্টানোর জন্যও হয়। কেন সব কিছু এত ব্যয়বহুল?”

এই ব্লগার অনুসারে, এর উত্তর সহজ আর যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে যা এই দেশ থেকে ৩০ বছরের বেশী উন্নয়নকে চুরি করে নিয়েছে।

“O atabalhoado processo de independência e a guerra acabaram com tudo. Primeiro, a independência. Em 1975, pelo menos 300 mil portugueses abandonaram Angola. Médicos, dentistas, advogados, empresários, encanadores, mecânicos, burocratas, professores. Em questão de meses, Angola ficou sem quadros. Não havia quem soubesse gerenciar as finanças do país. Depois a guerra. O esforço de guerra sugou o dinheiro que deveria ser investido na saúde, na educação, nas infra-estruturas do país. Agora multiplique essa situação por 30 anos. O resultado chama-se Luanda.

Com a alta no preço do petróleo nos últimos anos, os fretes subiram e por tabela, o de todos os produtos. Chegou-se a uma situação tal que mesmo os itens produzidos em Angola podem custar mais que os importados. Porquê? Os economistas que me corrijam, mas parece ter algo a ver com a tal lei da oferta e da procura. Quem quer agora, tem de pagar mais.”

O país não tem indústrias. Tudo é importado. Vem de navio. No porto, não há espaço. Os navios ficam dois, três meses atracados em alto-mar, aguardando autorização para descarregar. Só agora é que a agricultura começa a dar os primeiros passos. Mas só nas áreas em que não há minas terrestres. O último número que ouvi era de que mais da metade das terras cultiváveis do país estava cheia de minas. Enquanto o terreno não estiver limpo, nada feito. Portanto, até a comida precisar ser importada.

“স্বাধীনতার জন্য কষ্টকর সংগ্রাম যার পরে যুদ্ধ হল তার ফলে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। প্রথমে স্বাধীনতা। ১৯৭৫ সালে অন্তত ৩ লাখ পর্তুগীজ নাগরিক অ্যাঙ্গোলা ছেড়ে চলে যান। ডাক্তার, ডেন্টিস্ট, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, মিস্ত্রী, সরকারী কর্মচারী, অধ্যাপক। কয়েক মাসের মধ্যে, অ্যাঙ্গোলা বিশেষজ্ঞ শূন্য হয়ে পড়ে। কেউ ছিল না দেশের অর্থনীতি সামলাবার জন্য। দ্বিতীয়ত, যুদ্ধ। যুদ্ধ সকল অর্থ শুষে নিয়েছে যা দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা আর অবকাঠামোতে ব্যবহার করা উচিত ছিল। এই পরিস্থিতিকে ৩০ দিয়ে গুন করুন, আর আপনি লুয়ান্ডা পাবেন।

সাম্প্রতিক বছরে গ্যাসের উচ্চ মূল্যের কারনে যাতায়াত খরচও বেড়ে গেছে আর, একই সাথে, অন্য সব পণ্যও। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে অ্যাঙ্গোলাতে তৈরি জিনিষের দামও আমদানি করা পণ্যের থেকে বেশী পড়ে। কেন? অর্থনীতিবিদরা আমাকে দয়া করে ঠিক করে দেবেন, কিন্তু মনে হচ্ছে এটা উৎপাদন আর চাহিদার নীতির সাথে যুক্ত। এখন দরকার হলে, আরো বেশী মূল্য দিতে হবে।

দেশে কোন শিল্প কারখানা নেই। সব কিছু আমদানি করা হয়। জাহাজে করে আনা হয়, আর বন্দরে কোন জায়গা নেই। বাহির সমুদ্রে জাহাজ গুলো দুই থেকে তিন মাস নোঙ্গর ফেলে থাকে, তাদের মাল খালাসের অনুমতির জন্য। এখন মাত্র কৃষিকাজ প্রথম ধাপে শুরু হয়েছে – শুধু সেইসব এলাকায় যেখানে ল্যান্ড মাইন নেই। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে অ্যাঙ্গোলার অর্ধেক চাষযোগ্য ভূমি ল্যান্ড মাইনে ভরা। যতদিন ভূমি পরিষ্কার হচ্ছে না, কিছুই হবে না। তাই খাদ্যও আমদানি করতে হয়।”

এক টুকরো ছাগলের মাংসের দাম ৬০০ স্থানীয় মুদ্রা (৭ মার্কিন ডলার)। ছবি @বেথিনাগাভার টুইটপিক থেকে

এক টুকরো ছাগলের মাংসের দাম ৬০০ স্থানীয় মুদ্রা (৭ মার্কিন ডলার)। ছবি @বেথিনাগাভার টুইটপিক থেকে

অনুবাদ করেছেন মেলিসা মান

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .